প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে উনারা কথা বলছেন। কখনো বলেন যাবেন না, কখনো বলেন যাবেন। কখনো বলেন এটা হলে যাব, কখনো বলেন ওটা হলে যাব। এটা আমি সরকারকে বলছি না। আমি বলছি, সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। এই সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করছেন, পক্ষান্তরে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধবংস করার জন্য চেষ্টা করছেন। এ দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছেন, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার জন্য চেষ্টা করছেন। আপনাদের বলব, দয়া করে এ সব কাজ থেকে বিরত থাকুন।
রাজনৈতিক দলগুলোর এসব বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, আমরা এই সরকারকে বলতে চাই— আপনারা ডিসেম্বরের ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে দলের সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মির্জা আব্বাস। এ সময় সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়ির ভেতরে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাদের মনে আছে? নাকি ভুলে গেছি সবাই? আমাদের কি এটা মনে আছে যে ওই দিন আমরা তার পাশে দাঁড়াতে পারি নাই? কেন পারি নাই? এই প্রশ্নটা আজ আপনাদের সামনে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে যে দিন কারাগারে নিয়ে যায়, সে দিনও আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। সে দিন সারা বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। কারণ দলের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে, যারা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। আমি অন্য কাউকে দোষারোপ করব না, এখানে আমার নিজের দোষও আছে।
‘খালেদা জিয়াকে বাসায় আটকে রাখতে পারে, গ্রেফতার করতে পারে— এটাই আমার মাথায় আসেনি। বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে গ্রেফতার করবে— ভাবতেও পারিনি। ভাবলে একানব্বই সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতাম হয়তো। জানি, এ কথা নিয়ে সমালোচনা হবে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই আমার,’— বলেন মির্জা আব্বাস।
এসব বাস্তবতাতেই সদস্য সংগ্রহে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ এ কথা কেন বলছি? এ জন্যই বলছি যে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে আপনারা সতর্ক থাকবেন। যদি নবায়নের সময় দেখা যায়, ওই ব্যক্তি সংগঠনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তার সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না। দলের বদনাম হচ্ছে— এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত লোকদের সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কিংবা সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক দলের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করবে, যারা আমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তারা আমাদের ক্ষতিই করবে। তাদেরও সদস্য করা যাবে না। এতে হয়তো দলে লোকের সংখ্যা কমে যাবে। কিন্তু আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটিতে না। হাজার হাজার লোকের দরকার নাই। আমার খুব সলিড লোককে সদস্য করব, যারা দেশকে ভালোবাসবে, দলকে ভালবাসবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বাণিজ্য সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে উনারা কথা বলছেন। কখনো বলেন যাবেন না, কখনো বলেন যাবেন। কখনো বলেন এটা হলে যাব, কখনো বলেন ওটা হলে যাব। এটা আমি সরকারকে বলছি না। আমি বলছি, সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। এই সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য চেষ্টা করছেন, পক্ষান্তরে তারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ধবংস করার জন্য চেষ্টা করছেন। এ দেশের মানুষের কথা বলার অধিকার হরণ করার চেষ্টা করছেন, এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করার জন্য চেষ্টা করছেন। আপনাদের বলব, দয়া করে এ সব কাজ থেকে বিরত থাকুন।
রাজনৈতিক দলগুলোর এসব বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, আমরা এই সরকারকে বলতে চাই— আপনারা ডিসেম্বরের ঘোষণা দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিন। আমরা সবসময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে দলের সদস্য নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মির্জা আব্বাস। এ সময় সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, ভুলে গেলে চলবে না, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়ির ভেতরে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাদের মনে আছে? নাকি ভুলে গেছি সবাই? আমাদের কি এটা মনে আছে যে ওই দিন আমরা তার পাশে দাঁড়াতে পারি নাই? কেন পারি নাই? এই প্রশ্নটা আজ আপনাদের সামনে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীকে যে দিন কারাগারে নিয়ে যায়, সে দিনও আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। সে দিন সারা বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি। কারণ দলের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে, যারা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। আমি অন্য কাউকে দোষারোপ করব না, এখানে আমার নিজের দোষও আছে।
‘খালেদা জিয়াকে বাসায় আটকে রাখতে পারে, গ্রেফতার করতে পারে— এটাই আমার মাথায় আসেনি। বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে গ্রেফতার করবে— ভাবতেও পারিনি। ভাবলে একানব্বই সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতাম হয়তো। জানি, এ কথা নিয়ে সমালোচনা হবে। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই আমার,’— বলেন মির্জা আব্বাস।
এসব বাস্তবতাতেই সদস্য সংগ্রহে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজ এ কথা কেন বলছি? এ জন্যই বলছি যে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে আপনারা সতর্ক থাকবেন। যদি নবায়নের সময় দেখা যায়, ওই ব্যক্তি সংগঠনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তার সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না। দলের বদনাম হচ্ছে— এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত লোকদের সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কিংবা সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক দলের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করবে, যারা আমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তারা আমাদের ক্ষতিই করবে। তাদেরও সদস্য করা যাবে না। এতে হয়তো দলে লোকের সংখ্যা কমে যাবে। কিন্তু আমরা কোয়ালিটিতে বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটিতে না। হাজার হাজার লোকের দরকার নাই। আমার খুব সলিড লোককে সদস্য করব, যারা দেশকে ভালোবাসবে, দলকে ভালবাসবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বাণিজ্য সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
'জুলাই সনদে' উল্লিখিত গণভোট প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, "এখন অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়, নির্বাচন ও গণভোটের তো একটা প্রস্তুতি আছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হয়, বহুবিধ কাজ থাকে।" তিনি রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা বিবেচনা করে বলেন, গণভোট আগে করে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, এতে সংকট তৈরি হব
৬ ঘণ্টা আগেগণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড.ইউনূসের বিদেশ ভ্রমণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিশ্বের কাছে অপ্রাসঙ্গিক ও ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা গেছে। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হলেও এই কাজ করার জন্য আমি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই।
৭ ঘণ্টা আগেমির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক পার্লামেন্টে গিয়ে হবে। যেসব মতে দলগুলো একমত সেগুলো জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে। বাকি মতের জন্য গণভোট হবে। দয়া করে নির্বাচনটা দিয়ে এসব অস্থিরতা কাটান। আর হিংসার রাজনীতি চাই না। হিন্দু-মুসলিমের বিভেদ চাই না। সবাই মিলে শান্তিতে থাকতে চাই।’
৯ ঘণ্টা আগে