নির্বাচনের বিকল্প যেকোনো কিছু গভীর বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রোববার ৩ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর রাতে যমুনার সামনে ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি

গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উত্তরণে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্প ভাবে, সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।’

রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর তিনি ব্রিফ করেন যমুনার সামনে।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের যে তারিখ ঘোষণা করেছেন, সেই সময়েই নির্বাচন হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।

জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার বিষয়ে অগ্রগতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ প্রধান উপদেষ্টাকে আজ অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সরকার তৎপর রয়েছে বলেও জানান প্রেস সচিব। বলেন, কেউ যেন কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন পদ্ধতি ও সংবিধানের নানা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেখানেই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।

এর আগে রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দল বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এনসিপির প্রতিনিধি দল বৈঠক করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে। সবশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল ও প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে বৈঠক হয়।

সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা এই তিনটি দলকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন যমুনায়। বৈঠক শেষে তিনটি দলই যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছে। এর মধ্যে জামায়াত ও এনসিপি জানিয়েছে, তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের কোনো আলোচনা হয়নি।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এসব বৈঠকে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের একেকজন একেক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

‘নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, গণমুখী ও নিরপেক্ষ হতে হবে’

ওয়ার্কার্স পার্টি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনের নামে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে একতরফা ও স্বেচ্ছাচারী পদ্ধতিতে যে নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয় যে নির্বাচন কমিশন সরকারের অঙ্গুলিহেলনে চলছে।

১ দিন আগে

ফ্যাসিবাদ কায়েমের পাঁয়তারার অভিযোগ জাসদের

১ দিন আগে

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যাহত করছে: বিএনপি মহাসচিব

১ দিন আগে

তরুণরাই দেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে: জামায়াত আমির

জামায়াত আমির বলেন, ‘যে তরুণরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পর্বত সমান হস্তিকে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।’

১ দিন আগে