প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট পরিমিত, বাস্তবসম্মত, গণমুখী ও সাহসী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সময় বাজেটের আগে ঝুলি নিয়ে কোনো অর্থমন্ত্রী বিদেশে ভিক্ষা চায়নি।
আজ শনিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ ও ১৫ বছরের পরে উন্নয়নে-অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এই বাজেট এবার গতবারের কিছু বেশি। সেটা আমরা বলেছি কী কারণে। বিএনপি আজকে বড় বড় কথা বলে। অর্থ পাচারের কথা বলে, কালো টাকার কথা বলে, দেশকে গিলে খাওয়ার কথা বলে।
‘তাদের (বিএনপি) বাজেট সর্বশেষ ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও বাজেটের আগে সাইফুর রহমানকে বিশ্বের অর্থনীতির বিভিন্ন ফোরামে প্যারিসের কনসোরডিয়াম ফোরামে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। আমাদের সময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাজেট পূর্ববর্তী সময়ে কোনো অর্থমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চায়নি,’ যোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘তাহলে বুঝতে পারে, দেশটা কোথায় থেকে কোথায় এসেছে। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় আমরা অর্থনীতির মূল ধারায় আনার ব্যবস্থা করেছি। এর ফলে ব্যাংকিং সিস্টেমে অর্থপ্রবাহ বাড়বে।’
কাদের বলেন, ‘অর্থনেতিক-সামাজিক অগ্রগতির ফলে জীবনমান এ দেশে দিন দিন উন্নততর হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন শুধু ডালে ভাতের নয়, পুষ্টি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল আমাদের সবার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য কমেছে।
‘২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখে গিয়েছিল, জনগণের ধারাবাহিক সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে দারিদ্র্য ১৮ দশমিক সাত শতাংশে এবং অতি দরিদ্রের হার পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে নামিয়ে এনেছে,’ বলেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো নয় শতাংশের উপরে রয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি, ডলার বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া আমাদের বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ। একই সময়ে দেশে গড় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে সাত শতাংশের বেশি এবং মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে দুই শতাংশের একটি ফারাক রয়েছে।
‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। এতে আমদানি কমেছে বছরে ১৫ শতাংশের বেশি হারে। ফলে সংকটকালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড; তিন মাসের বেশি আমদানির জন্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকার মান ধরে রাখতে রিজার্ভ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কমে গেছে,’ বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখনো আমরা ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থনীতি পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনার দক্ষতার গুণে পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে আমরা সেই মূল্যস্ফীতি দমন করে জাতিকে স্থিতিশীল অর্থনীতি উপহার দিয়েছিলাম।
‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অংশের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে,’ যোগ করেন তিনি।
অর্থনেতিক সংকটকালে এই বাজেট পরিমিত, বাস্তবসম্মত, গণমুখী ও সাহসী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সময় বাজেটের আগে ঝুলি নিয়ে কোনো অর্থমন্ত্রী বিদেশে ভিক্ষা চায়নি।
আজ শনিবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ ও ১৫ বছরের পরে উন্নয়নে-অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এই বাজেট এবার গতবারের কিছু বেশি। সেটা আমরা বলেছি কী কারণে। বিএনপি আজকে বড় বড় কথা বলে। অর্থ পাচারের কথা বলে, কালো টাকার কথা বলে, দেশকে গিলে খাওয়ার কথা বলে।
‘তাদের (বিএনপি) বাজেট সর্বশেষ ছিল ৬৮ হাজার কোটি টাকা। তারপরও বাজেটের আগে সাইফুর রহমানকে বিশ্বের অর্থনীতির বিভিন্ন ফোরামে প্যারিসের কনসোরডিয়াম ফোরামে দৌড়াতে হয়েছিল ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। আমাদের সময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাজেট পূর্ববর্তী সময়ে কোনো অর্থমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে ভিক্ষা চায়নি,’ যোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘তাহলে বুঝতে পারে, দেশটা কোথায় থেকে কোথায় এসেছে। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় আমরা অর্থনীতির মূল ধারায় আনার ব্যবস্থা করেছি। এর ফলে ব্যাংকিং সিস্টেমে অর্থপ্রবাহ বাড়বে।’
কাদের বলেন, ‘অর্থনেতিক-সামাজিক অগ্রগতির ফলে জীবনমান এ দেশে দিন দিন উন্নততর হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন শুধু ডালে ভাতের নয়, পুষ্টি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘এ সময় মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) গড়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল আমাদের সবার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছে। ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য কমেছে।
‘২০০৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশের ৪০ শতাংশের বেশি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখে গিয়েছিল, জনগণের ধারাবাহিক সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা সরকার মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে দারিদ্র্য ১৮ দশমিক সাত শতাংশে এবং অতি দরিদ্রের হার পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে নামিয়ে এনেছে,’ বলেন কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি এখনো নয় শতাংশের উপরে রয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি, ডলার বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া আমাদের বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণ। একই সময়ে দেশে গড় মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে সাত শতাংশের বেশি এবং মজুরি বৃদ্ধির মধ্যে দুই শতাংশের একটি ফারাক রয়েছে।
‘ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করেছে। এতে আমদানি কমেছে বছরে ১৫ শতাংশের বেশি হারে। ফলে সংকটকালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড; তিন মাসের বেশি আমদানির জন্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকার মান ধরে রাখতে রিজার্ভ থেকে ২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ফলে রিজার্ভ কমে গেছে,’ বলেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, তখনো আমরা ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থনীতি পেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনার দক্ষতার গুণে পূর্ববর্তী দুই বছরের মধ্যে আমরা সেই মূল্যস্ফীতি দমন করে জাতিকে স্থিতিশীল অর্থনীতি উপহার দিয়েছিলাম।
‘বর্তমান সরকারের বিভিন্ন অংশের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ। এই বাজেটে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত, সামাজিক নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করবে,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘অপশক্তি জনতার প্রতিরোধে এক বছর আগে পালিয়ে গেছে। মনে হচ্ছে এখন আমরা স্বাধীন। হাসিনার শাসনামলে আমরা বাড়িতে থাকতে পারিনি, ঘরে ঘুমাতে পারিনি। দেশে একটা বিভীষিকাময় পরিবেশ ছিল। হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে মনে হচ্ছে আমরা নতুন করে স্বাধীনতা পেয়েছি। ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠি
১ দিন আগেরাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ডাকা কর্মী সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে পুলিশ। এ সময় সমাবেশস্থলে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২ দিন আগেউত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।
২ দিন আগেআমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।
২ দিন আগে