ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আজ ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সাংগঠনিকভাবে প্রায় অদৃশ্য হয়ে ওঠা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম গড়ে ওঠে, ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আসে স্বাধীনতা।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি। কলেজ জীবনেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন।
১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় শেখ মুজিবের। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ও ষাটের দশকে দলের সভাপতি হয়ে ওঠেন। পরে একের পর এক ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে সত্তরের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন তিনি।
সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা সরকার গঠন করতে দেয়নি। তাতে স্বাধীনতা আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এতে মুক্তির সশস্ত্র যুদ্ধের পথে গড়ায়।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতের শুরুতেই তাকে আটক করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। শুরু হয় যুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। শেখ মুজিব তখনো পাকিস্তানের কারাগারে। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দেওয়া হলে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই শুরু হয় বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংগ্রাম। ১৯৭৫ সালে তিনি সংসদীয় পদ্ধতি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি প্রবর্তন করেন তিনি, গড়ে তোলেন বাকশাল। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আততায়ীদের হামলায় সপরিবারে ঘাতকের বুলেটে সপরিবারে নিহত হন তিনি।
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করা হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনটিকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে এ বছর এই দিনে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কোনো আয়োজন নেই।
৫ আগস্টের পর সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেলেও ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন; গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল; জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভা; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপযোগী কনটেন্টের প্রচার ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা; শিশু-কিশোরদের মধ্যে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা; এবং দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও পালনের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে পোস্টে। আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগও এ রকম বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজ ১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে সাংগঠনিকভাবে প্রায় অদৃশ্য হয়ে ওঠা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম গড়ে ওঠে, ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আসে স্বাধীনতা।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুন দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন তিনি। কলেজ জীবনেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশিমের মতো রাজনৈতিক নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন।
১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় শেখ মুজিবের। ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ।
১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের গোড়াপত্তন হয়। শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। পরে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ও ষাটের দশকে দলের সভাপতি হয়ে ওঠেন। পরে একের পর এক ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পেরিয়ে সত্তরের নির্বাচনে নেতৃত্ব দিয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন তিনি।
সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেলেও পশ্চিম পাকিস্তানিরা সরকার গঠন করতে দেয়নি। তাতে স্বাধীনতা আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এতে মুক্তির সশস্ত্র যুদ্ধের পথে গড়ায়।
একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতের শুরুতেই তাকে আটক করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী। শুরু হয় যুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। শেখ মুজিব তখনো পাকিস্তানের কারাগারে। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি তাকে মুক্তি দেওয়া হলে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন তিনি।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বেই শুরু হয় বাংলাদেশ পুনর্গঠনের সংগ্রাম। ১৯৭৫ সালে তিনি সংসদীয় পদ্ধতি থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনপদ্ধতি প্রবর্তন করেন তিনি, গড়ে তোলেন বাকশাল। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আততায়ীদের হামলায় সপরিবারে ঘাতকের বুলেটে সপরিবারে নিহত হন তিনি।
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনটি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয়ভাবে উদ্যাপন করা হতো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনটিকে জাতীয় দিবসের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে এ বছর এই দিনে রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় পর্যায়ে কোনো আয়োজন নেই।
৫ আগস্টের পর সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেলেও ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। নিজেদের ফেসবুক পেজ থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন; গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল; জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভা; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উপযোগী কনটেন্টের প্রচার ও ভার্চুয়াল আলোচনা সভা; শিশু-কিশোরদের মধ্যে রচনা, চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা; এবং দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ ও পালনের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে পোস্টে। আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগও এ রকম বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’
১ দিন আগেকূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু যায়-আসে না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।
১ দিন আগেএর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। এরপর কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে নিজ বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেও হাসপাতাল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারেননি।
২ দিন আগে