প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে ভোট দিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটার।
গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও ব্যবস্থাপনা পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০ হাজার ৪১২৩ জনের মধ্যে পরিচালিত জরিপটির ফলাফল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
একই প্রতিষ্ঠানের গত মার্চে পরিচালিত একই ধরনের জরিপের ফলও ছিল প্রায় একই। ছয় মাস আগের জরিপে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৪১ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ, জামায়াতকে ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ। সে হিসাবে বিএনপির তুলনায় জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা কিছুটা বেশি কমেছে।
এদিকে মার্চের জরিপে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন জরিপে অংশ নেওয়া ১৪ শতাংশ ভোটার। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েছে।
শীর্ষ এই তিন দলের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ (মার্চে ছিল ৫ দশমিক ১০ শতাংশ)। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন ৩ দশমিক ১০ শতাংশ (মার্চে ১ শতাংশ)। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিকে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ (মার্চে ১ শতাংশ) মানুষ ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ৯ শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলের নাম প্রকাশ করতে চাননি। অন্যদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ভোট দেবেন কি না। ভোট দেবেন না, এমন স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন মাত্র ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বরিশাল ও রংপুরে বিএনপির তুলনায় জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। রাজশাহী বিভাগে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও জামায়াতের সঙ্গে ব্যবধান সামান্য। বাকি পাঁচ বিভাগে বিএনপি বড় ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছে।
জরিপের ফলাফল বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির ৪১ দশমিক ৯ শতাংশের বিপরীতে জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা পাওয়া গেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকায় বিএনপির পক্ষে ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ; খুলনায় বিএনপির পক্ষে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ, ময়মনসিংহে বিএনপির পক্ষে ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং সিলেটে বিএনপির পক্ষে ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ জনমত এসেছে।
এদিকে রাজশাহী বিভাগে বিএনপির পক্ষে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশের বিপরীতে জামায়াতের পক্ষে জনমত এসেছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। এগিয়ে থাকা দুই বিভাগের মধ্যে রংপুরে জামায়াতকে দশমিক ৪ শতাংশ ও বিএনপিকে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বরিশালে জামায়াতের পক্ষে এ সংখ্যা ২৯ দশমিক ১ শতাংশ, বিএনপির পক্ষে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে জামায়াত এগিয়ে থাকলেও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভোট দিতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগকে। তাদের সংখ্যা ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে ঢাকায় ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, খুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, সিলেটে ১৪ শতাংশ ও রংপুরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চেয়েছেন। এ দলটির পক্ষে সবচেয়ে কম জনসমর্থন পাওয়া গেছে রাজশাহীতে— ৯ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে কাকে ভোট দেবেন— এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির পক্ষে বেশি জনমত এসেছে। এ সংখ্যা ৪৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে জামায়াতকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিএনপির ভোট তুলনামূলকভাবে বেশি বাড়বে।
তবে আওয়ামী লীগ ভোট না করতে পারলে ভোট না দিতে আগ্রহীর সংখ্যাও বেড়েছে। এমনিকে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে না চাইলেও আওয়ামী লীগ বর্জিত নির্বাচনে সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বয়স বিবেচনায় নিলে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে কম বয়সীদের মধ্যে বিএনপির পক্ষে জনমত বেশি এসেছে। অন্যদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স যত কমেছে, জামায়াতের পক্ষে সমর্থন তত বেড়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত মিলেছে সব বয়সীদের মধ্যে প্রায় একই— ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে।
বুমার (জন্ম সাল ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত) তথা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ, জামায়াতকে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
জেনএক্স (জন্মসাল ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০) অর্থাৎ যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছর, তাদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দিতে চেয়েছেন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ, জামায়াতকে ২৮ শতাংশ।
মিলেনিয়াল (১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম) তথা যাদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর, তাদের মধ্যে বিএনপির পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, জামায়াতের পক্ষে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ।
আর জেনজি (১৯৯৬ সালের পরে জন্ম) তথা ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, জামায়াতের পক্ষে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ।
জরিপে উত্তরদাতাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা কোন দলকে সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত মনে করেন। এ প্রশ্নের জবাবে সবচেয়ে বেশি উত্তর এসেছে বিএনপির পক্ষে।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সরকার গঠনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে অভিমত দিয়েছে। জামায়াতের পক্ষে এ হার ২৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
এ ছাড়া ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ এখনো আওয়ামী লীগকেই সরকার গঠনের উপযুক্ত মনে করছে। আর তরুণদের দল এনসিপিকে সরকার গঠনের উপযুক্ত মনে করেছে মাত্র ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দলের সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি— এমন প্রশ্নের জবাবে সবচেয়ে বেশি অভিমত এসেছে বিএনপির পক্ষে। জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা এ ক্ষেত্রে বিএনপির কথা বলেছেন। ছয় মাসের আগের একই জরিপে বিএনপির পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ।
সরকার গঠনের সম্ভাবনায় ছয় মাসের ব্যবধানে জামায়াতের পক্ষেও অভিমত বেড়েছে, তবে তা বিএনপির তুলনায় কম। সেপ্টেম্বরের জরিপে জামায়াতের সরকার গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ, মার্চে এ সংখ্যা ছিল ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এমনকি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও সরকার গঠনের সম্ভাবনার পক্ষের মানুষ বেড়ে মার্চের ৬ দশমিক ৩ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১২ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।
এ প্রশ্নের জবাবে ছয় মাসের ব্যবদানে দলগুলোর সম্ভাবনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো উত্তরদাতাদের উত্তর দেওয়ার অভিপ্রায়ে পরিবর্তন। মার্চের জরিপে ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষই এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত কি না— এমন প্রশ্নে পক্ষে-বিপক্ষে এসেছে প্রায় সমান মতামত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বলেছেন, বিচার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষ এ প্রশ্নে কোনো মতামত দেননি।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে ভোট দিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটার।
গত সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও ব্যবস্থাপনা পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনোভিশন পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ১০ হাজার ৪১২৩ জনের মধ্যে পরিচালিত জরিপটির ফলাফল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
একই প্রতিষ্ঠানের গত মার্চে পরিচালিত একই ধরনের জরিপের ফলও ছিল প্রায় একই। ছয় মাস আগের জরিপে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ৪১ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ, জামায়াতকে ৩১ দশমিক ৬০ শতাংশ। সে হিসাবে বিএনপির তুলনায় জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা কিছুটা বেশি কমেছে।
এদিকে মার্চের জরিপে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন জরিপে অংশ নেওয়া ১৪ শতাংশ ভোটার। সে হিসাবে ছয় মাসের ব্যবধানে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা বেড়েছে।
শীর্ষ এই তিন দলের বাইরে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪ দশমিক ১০ শতাংশ (মার্চে ছিল ৫ দশমিক ১০ শতাংশ)। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন ৩ দশমিক ১০ শতাংশ (মার্চে ১ শতাংশ)। এ ছাড়া জাতীয় পার্টিকে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ (মার্চে ১ শতাংশ) মানুষ ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ৯ শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলের নাম প্রকাশ করতে চাননি। অন্যদিকে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ দশমিক ৭০ শতাংশ এখনো সিদ্ধান্ত নেননি ভোট দেবেন কি না। ভোট দেবেন না, এমন স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন মাত্র ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বরিশাল ও রংপুরে বিএনপির তুলনায় জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। রাজশাহী বিভাগে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও জামায়াতের সঙ্গে ব্যবধান সামান্য। বাকি পাঁচ বিভাগে বিএনপি বড় ব্যবধানেই এগিয়ে রয়েছে।
জরিপের ফলাফল বলছে, চট্টগ্রাম বিভাগে বিএনপির ৪১ দশমিক ৯ শতাংশের বিপরীতে জামায়াতের পক্ষে ভোট দিতে আগ্রহীর সংখ্যা পাওয়া গেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকায় বিএনপির পক্ষে ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ; খুলনায় বিএনপির পক্ষে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ৩০ দশমিক ১ শতাংশ, ময়মনসিংহে বিএনপির পক্ষে ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং সিলেটে বিএনপির পক্ষে ৪৪ দশমিক ৭ শতাংশ ও জামায়াতের পক্ষে ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ জনমত এসেছে।
এদিকে রাজশাহী বিভাগে বিএনপির পক্ষে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশের বিপরীতে জামায়াতের পক্ষে জনমত এসেছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। এগিয়ে থাকা দুই বিভাগের মধ্যে রংপুরে জামায়াতকে দশমিক ৪ শতাংশ ও বিএনপিকে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। বরিশালে জামায়াতের পক্ষে এ সংখ্যা ২৯ দশমিক ১ শতাংশ, বিএনপির পক্ষে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে জামায়াত এগিয়ে থাকলেও বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভোট দিতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগকে। তাদের সংখ্যা ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। বাকি বিভাগগুলোর মধ্যে ঢাকায় ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ, খুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ, সিলেটে ১৪ শতাংশ ও রংপুরে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে চেয়েছেন। এ দলটির পক্ষে সবচেয়ে কম জনসমর্থন পাওয়া গেছে রাজশাহীতে— ৯ দশমিক ২ শতাংশ।
এদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে কাকে ভোট দেবেন— এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির পক্ষে বেশি জনমত এসেছে। এ সংখ্যা ৪৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে জামায়াতকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৩৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিএনপির ভোট তুলনামূলকভাবে বেশি বাড়বে।
তবে আওয়ামী লীগ ভোট না করতে পারলে ভোট না দিতে আগ্রহীর সংখ্যাও বেড়েছে। এমনিকে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে না চাইলেও আওয়ামী লীগ বর্জিত নির্বাচনে সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের বয়স বিবেচনায় নিলে দেখা গেছে, তুলনামূলকভাবে কম বয়সীদের মধ্যে বিএনপির পক্ষে জনমত বেশি এসেছে। অন্যদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স যত কমেছে, জামায়াতের পক্ষে সমর্থন তত বেড়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে জনমত মিলেছে সব বয়সীদের মধ্যে প্রায় একই— ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশের মধ্যে।
বুমার (জন্ম সাল ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত) তথা ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ, জামায়াতকে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
জেনএক্স (জন্মসাল ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০) অর্থাৎ যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছর, তাদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দিতে চেয়েছেন ৪৬ দশমিক ৪ শতাংশ, জামায়াতকে ২৮ শতাংশ।
মিলেনিয়াল (১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্ম) তথা যাদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর, তাদের মধ্যে বিএনপির পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ, জামায়াতের পক্ষে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ।
আর জেনজি (১৯৯৬ সালের পরে জন্ম) তথা ৩০ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বিএনপিকে ভোট দিতে আগ্রহীদের সংখ্যা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ, জামায়াতের পক্ষে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ।
জরিপে উত্তরদাতাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা কোন দলকে সরকার গঠনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত মনে করেন। এ প্রশ্নের জবাবে সবচেয়ে বেশি উত্তর এসেছে বিএনপির পক্ষে।
জরিপের ফলাফল বলছে, ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সরকার গঠনের জন্য উপযুক্ত হিসেবে অভিমত দিয়েছে। জামায়াতের পক্ষে এ হার ২৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
এ ছাড়া ১৭ দশমিক ৭০ শতাংশ মানুষ এখনো আওয়ামী লীগকেই সরকার গঠনের উপযুক্ত মনে করছে। আর তরুণদের দল এনসিপিকে সরকার গঠনের উপযুক্ত মনে করেছে মাত্র ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ উত্তরদাতা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দলের সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি— এমন প্রশ্নের জবাবে সবচেয়ে বেশি অভিমত এসেছে বিএনপির পক্ষে। জরিপে অংশ নেওয়া ৪০ শতাংশ উত্তরদাতা এ ক্ষেত্রে বিএনপির কথা বলেছেন। ছয় মাসের আগের একই জরিপে বিএনপির পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ।
সরকার গঠনের সম্ভাবনায় ছয় মাসের ব্যবধানে জামায়াতের পক্ষেও অভিমত বেড়েছে, তবে তা বিএনপির তুলনায় কম। সেপ্টেম্বরের জরিপে জামায়াতের সরকার গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ, মার্চে এ সংখ্যা ছিল ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এমনকি আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও সরকার গঠনের সম্ভাবনার পক্ষের মানুষ বেড়ে মার্চের ৬ দশমিক ৩ শতাংশের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ১২ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে।
এ প্রশ্নের জবাবে ছয় মাসের ব্যবদানে দলগুলোর সম্ভাবনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো উত্তরদাতাদের উত্তর দেওয়ার অভিপ্রায়ে পরিবর্তন। মার্চের জরিপে ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষই এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। সেপ্টেম্বরে এ সংখ্যা কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া উচিত কি না— এমন প্রশ্নে পক্ষে-বিপক্ষে এসেছে প্রায় সমান মতামত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৪৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্যদিকে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ বলেছেন, বিচার হওয়ার আগে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ মানুষ এ প্রশ্নে কোনো মতামত দেননি।
জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের নিইউয়র্ক থেকে মির্জা ফখরুল কালবেলাকে বলেন, ‘এই সময়’ কে আমি কোনো সাক্ষাৎকার দেইনি। কথা হয়েছে, কিন্ত এ ধরনের কোনো কথাই আমি বলিনি।
২০ ঘণ্টা আগেসারজিস আলম বলেন, ‘এনসিপির মার্কা শাপলাই হতে হবে। অন্য কোনো অপশন নাই। না হলে কোনো নির্বাচন কীভাবে হয় আর কে কীভাবে ক্ষমতায় গিয়ে মধু খাওয়ার স্বপ্ন দেখে, সেটা আমরাও দেখে নেব।’
২১ ঘণ্টা আগেপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার অনুযায়ী, মির্জা ফখরুল ‘এই সময়’কে বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছে ৩০টি আসন চেয়েছিল। বিএনপি এতে রাজি না হলে জামায়াত সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে।
১ দিন আগে