ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
দেশে সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে বিপরীত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।
সনদের খসড়াকে বিএনপি ইতিবাচক বললেও এটিকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে একমত নয় দলটি। জামায়াত এটিকে অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক বলেছে, আর এনসিপি জানিয়েছে, আইনি ভিত্তি না থাকলে সনদে সই করবে না তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩তম দিনের আলোচনা শেষ হয়। বেশিরভাগ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে।
বিএনপি চায়, কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ পরবর্তী সংসদে কার্যকর হবে। আর জামায়াত ও এনসিপি বলছে আইনি ভিত্তি না দিলে তারা চূড়ান্ত সনদে সই করবে না।
বৃহস্পতিবারের দিনভর বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে দু-একটি বাদে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কিছু ক্ষেত্রে 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে। আমরা মনে করি, সব বিষয়ে সবাই একমত হবেন—এমনটি নাও হতে পারে। আমরা এখানে যে একমত হয়েছি—তা আইনের ঊর্ধ্বে। আমরা মনে করি, জনগণের সার্বভৌমের ওপর কোনো আইনি ভিত্তি থাকতে পারে না। তারপরও এ বিষয়ে আলোচনা হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আর সরকার চাইলে এটি নিয়ে গেজেট দিতে পারে।"
এদিকে, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, "সনদের আইনি ভিত্তি অবশ্যই দিতে হবে। অন্যথায় এতো দিনের আলোচনা অর্থহীন। তবে আইনি ভিত্তি কীভাবে হতে পারে সেটা নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। এ নিয়ে প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইন বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, গণভোট ও অধ্যাদেশ। যেভাবেই হোক আইনি রূপ এ সরকারকেই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সনদে সই করবো না।"
আগামী ৫ আগস্টের আগেই বিষয়টির বাস্তবায়ন দেখতে চান তাহের। তিনি বলেন, "যারাই এর বিপক্ষে যাবে। বুঝে নিতে হবে, তারা নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে চায়।"
অন্যদিকে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সই না করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সব দল মোটামুটি ঐকমত্যের জায়গায় আসলেও সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি কমিশন। অথচ এখনই বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে শঙ্কার জায়গা তৈরি হতে পারে। বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। মনে হচ্ছে, কমিশন কোনো একটি জায়গায় দুর্বল। আইনি কাঠামো না দিলে আমরা মানবো না। কিছুতেই জুলাই শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।"
দেশে সংস্কার ও নির্বাচন পদ্ধতির প্রস্তাবনা নিয়ে তৈরি ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ এর খসড়া নিয়ে বিপরীত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি।
সনদের খসড়াকে বিএনপি ইতিবাচক বললেও এটিকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার বিষয়ে একমত নয় দলটি। জামায়াত এটিকে অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক বলেছে, আর এনসিপি জানিয়েছে, আইনি ভিত্তি না থাকলে সনদে সই করবে না তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২৩তম দিনের আলোচনা শেষ হয়। বেশিরভাগ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হলেও সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দ্বিমত তৈরি হয়েছে।
বিএনপি চায়, কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ পরবর্তী সংসদে কার্যকর হবে। আর জামায়াত ও এনসিপি বলছে আইনি ভিত্তি না দিলে তারা চূড়ান্ত সনদে সই করবে না।
বৃহস্পতিবারের দিনভর বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে দু-একটি বাদে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কিছু ক্ষেত্রে 'নোট অব ডিসেন্ট' দিয়েছে। আমরা মনে করি, সব বিষয়ে সবাই একমত হবেন—এমনটি নাও হতে পারে। আমরা এখানে যে একমত হয়েছি—তা আইনের ঊর্ধ্বে। আমরা মনে করি, জনগণের সার্বভৌমের ওপর কোনো আইনি ভিত্তি থাকতে পারে না। তারপরও এ বিষয়ে আলোচনা হলে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। আর সরকার চাইলে এটি নিয়ে গেজেট দিতে পারে।"
এদিকে, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, "সনদের আইনি ভিত্তি অবশ্যই দিতে হবে। অন্যথায় এতো দিনের আলোচনা অর্থহীন। তবে আইনি ভিত্তি কীভাবে হতে পারে সেটা নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। এ নিয়ে প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইন বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে। লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক, গণভোট ও অধ্যাদেশ। যেভাবেই হোক আইনি রূপ এ সরকারকেই দিতে হবে। অন্যথায় আমরা সনদে সই করবো না।"
আগামী ৫ আগস্টের আগেই বিষয়টির বাস্তবায়ন দেখতে চান তাহের। তিনি বলেন, "যারাই এর বিপক্ষে যাবে। বুঝে নিতে হবে, তারা নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটাতে চায়।"
অন্যদিকে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দিলে সই না করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "সব দল মোটামুটি ঐকমত্যের জায়গায় আসলেও সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেনি কমিশন। অথচ এখনই বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে শঙ্কার জায়গা তৈরি হতে পারে। বিষয়টি কমিশনকে জানিয়েছি। মনে হচ্ছে, কমিশন কোনো একটি জায়গায় দুর্বল। আইনি কাঠামো না দিলে আমরা মানবো না। কিছুতেই জুলাই শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না।"
সৈয়দ তাহের বলেন, সংসদে উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি, পিআর হতে হবে উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ— উভয় কক্ষেই। সেই ইস্যুতে আমরা আন্দোলন করব।
২০ ঘণ্টা আগেমানবাধিকার সংস্থার তথ্য তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশি নির্যাতনসহ নানা প্রতিহিংসামূলক হামলায় ৭,১৮৮ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০৯ জন গুমের শিকার, তার মধ্যে অনেকে এখনো ফিরে আসেননি, তারা আমার মতো সৌভাগ্যবান নয়। ২,৬৯৩ জন বিচারবহির্ভূত
১ দিন আগেএরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে নুর বলেন, ‘সেই সময় রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। যখন ছাত্রসংগঠনগুলো সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য গঠন করেছিল, তখন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানেও রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এখন যদি আসল কথা বলি, অনেকের সাংগঠনিক শক্তি, জনশক্তি আমার বি
১ দিন আগেআজ রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রায় আধাঘণ্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্যের গুরুত্ব ও রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
১ দিন আগে