গাজায় নতুন ইসরায়েলি হামলায় বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

যুদ্ধবিরতি চলমান অবস্থাতেই গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

এক বিবৃতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই হামলায় নারী-শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এই হামলা এরই মধ্যে মানবতের অবস্থায় থাকা গাজা উপত্যকার অবস্থার আরও অবনতি ঘটাবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়েছে, নতুন এই হামলার চক্র আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি তীব্র অসম্মান।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: এপি

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে গাজায় এই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত ৪১৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। হামাসের ঘাঁটি ও সদস্যদের লক্ষ্য করে এ হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে হামলায় নিহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু এবং বয়স্করা।

এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে সরকার বলেছে, ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে বোমা হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ। এই হামলা সুরক্ষাহীন ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মানবেতর পরিস্থিতিকে আরও মানবেতর করে তুলেছে, তাদের আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলের প্রতি সব ধরনের সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ পরিমাণে সংযত হয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।

বিবৃতিতে ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষত জাতিসংঘকে আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করে, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করে এবং গাজার অবরুদ্ধ মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য বাধাহীন উপায় নিশ্চিত করে।

ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়ে সরকার বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের আইনি অধিকারের পক্ষে রয়েছে। ১৯৬৭ সাল-পূর্ব সীমানায় স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের পক্ষে বাংলাদেশ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যে রাষ্ট্রের রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।

মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির জন্য ফের সংলাপ শুরুর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এটি অন্যতম একটি মুখ্য উপাদান। বাংলাদেশ সব পক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে অব্যাহত সহিংসতা ও ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর নির্যাতনের অবসানকে প্রাধান্য দেয়।

ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য তাদের একটি টেকসই সমাধান অর্জনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় সংহতি জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ— উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করলেন কিম

উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হোয়াসং-২০ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটির সক্ষমতা নিয়ে এখনো কোনো পরীক্ষা করা হয়নি।

১ দিন আগে

পিআরের বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে: খসরু

আমীর খসরু বলেন, যারা পিআর পদ্ধতির পক্ষে তাদের উচিত হবে জনগণের কাছে গিয়ে ম্যান্ডেট আনা। কিছু রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশে কী হবে- তা ঠিক করতে মানুষ দায়িত্ব দেয় নাই। তাই সনদেরও ম্যান্ডেট লাগবে।

১ দিন আগে

কন্যাশিশুর স্বপ্নের পাশে রাষ্ট্রকে অংশীদার হতে হবে: তারেক রহমান

একজন কন্যাসন্তানের বাবা হিসেবে আমি জানি মেয়েদের ক্ষমতায়ন কোনো নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও অঙ্গীকার। বাংলাদেশের জন্য আমাদের স্বপ্ন হলো যেখানে প্রতিটি মেয়ের জন্য একই স্বাধীনতা, সুযোগ এবং নিরাপত্তা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।

১ দিন আগে

তৃণমূলে বিএনপি-জামায়াত টক্কর, দুই দলের নজর আওয়ামী লীগের ভোটে

বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে চলে এসেছে বিএনপিরই একসময়ের মিত্র জামায়াতে ইসলামী। দলটি নির্বাচনের প্রার্থী নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরও প্রায় বছরখানেক আগে।

১ দিন আগে