ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে যেদিকে বাংলাদেশ\n
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি চাই। আমরা জানি, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন সংঘাতময় সম্পর্ক চলছে। আমরা চাই না এখানে কোনো সংঘাত হোক, যা এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিপদের কারণ হয়।
দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি, দুয়েকটা দেশ থেকে এরই মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব এসেছেও। এখন আলাপ-আলোচনা হোক, মধ্যস্থতা হোক, যেভাবেই হোক এই সংকটের সমাধান হোক।
ভারত-পাকিস্তানের চলমান এই উত্তেজনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব এসেছে ইরানের কাছ থেকে। দেশটি উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার সূচনা করে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এই সংকটের সমাধান করতে আগ্রহী কি না— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা মধ্যস্থতাকারী হওয়ার প্রস্তাব পেলে ভেবে দেখব। তবে আগ বাড়িয়ে কিছু করতে আগ্রহী নই।
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে ভারত। দেশটি বলছে, পাকিস্তানের মদতেই সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তারা বলছে, ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের এ হামলায় জড়ানোর চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় পাকিস্তান পহেলগাম হামলার স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। বলেছে, এ ধরনের যেকোনো উদ্যোগে তারা পূর্ণ সহায়তা করবে।
এদিকে ভারত কেবল পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেই বসে থাকেনি, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিতসহ পাঁচটি ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছড়িয়েছে সিন্দু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের বিষয়টি। পরে ভারতের এক মন্ত্রীও বলেছেন, সিন্ধু দিয়ে এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না যায় সে ব্যবস্থা তারা করবে।
পাকিস্তানও এই চুক্তি স্থগিতের ঘোষণাকে রীতিমতো যুদ্ধের আহ্বান হিসেবে অভিহিত করেছে। কারণ সিন্ধু নদীর পানিপ্রবাহ ভারত বন্ধ করতে পারলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কৃষিসহ অর্থনীতি ধসে পড়বে। দেশটির সরকার তো বটেই, পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও ভারতকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। বলেছেন, সিন্ধুতে পানি না বইলে ভারতীয়দের রক্ত বইবে।
আরও পড়ুন-