আমাদের হুমকি ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই: হাসনাত

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৮: ১৮
হাসনাত আব্দুল্লাহ। ফাইল ছবি

আমাদের হুমকি ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নাই জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘দেশে ঐক্যমতের মূল কাঠামোতে ও জুলাই সনদের বিরোধিতা করে একটি পক্ষ আমাদের বলে ৩০ মিনিটে নাকি রাজপথ থেকে আমাদের ফাঁকা করে দেবে। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, ১৬ বছরে যাদের কিছু করতে পারেন নাই আমরা ৭ মিনিটে তা করে দেখিয়েছি।

‎দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ফুলবাড়ী নিমতলা মোড়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘পক্ষটি আরও বলে, আমরা নাকি আবেগে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত করেছি। মনে রাখবেন, আবেগ ছিল বলেই দেশ প্রেম ছিল। আমরা রক্ত ও জীবন দিতে জানি, লাগলে রক্ত আরও দেব, তবু পুরনো ধাঁচে দেশকে ফেরাতে দেব না।’

পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছেন। প্রায় ৩৩ হাজার আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণসহ চোখ হারিয়ছেন। শহীদদের আত্মা ও স্বজনদের আহাজারি বাতাসে ভাসছে, এখনো থামেনি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যারা ফের ওই পতিত শক্তিকে এক্সিট দিতে চায়, তারা এ দেশের মানুষের রাজনীতি করে না। তাদের সংযোগ অন্য কোথাও।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দেশ ও দেশের মানুষের জীবন মান এবং সার্বিক পরিবর্তন করতে হলে কার্যত সংস্কার ও সংবিধান পরিবর্তনের বিকল্প নেই।’

পথসভায় এনসিপির মূখ্য সংগঠক নাসির পাটোয়ারী বলেন, ‘জানি আপনারা এখন অনেক ভালো আছেন। কারণ এদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে বসবাস করছে। হাজারো শহীদ ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে পঙ্গু করে হাসিনা ভারতে পালিয়ে দাদার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। তাকে ধরে এনে বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাতে হবে। জুলাই রেজিম সংবিধানে সংযোজন ছাড়া আমরা সংকটে পড়ব। শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।’

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আহ্বান তারেক রহমানের

তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’

১ দিন আগে

'কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে কিছু যায়-আসে না'

কূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু যায়-আসে না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।

১ দিন আগে

বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

১ দিন আগে

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। এরপর কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে নিজ বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেও হাসপাতাল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারেননি।

২ দিন আগে