প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপরে সশস্ত্র ছাত্রলীগ সহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ক্ষমার অযোগ্য।
বিনা উসকানিতে আন্দোলনরত কেমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী সমূহ কর্তৃক চরম নির্মমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত কালকে ৬ জন নিহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং অসমর্থিত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী আজকে ১৫ জন অর্থাৎ মোট ২১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি অত্যান্ত মর্মান্তিক।
সবচেয়ে দুখজনক বিষয় হল রাষ্ট্রকর্তৃক নিযুক্ত আইনের রক্ষকরা সশস্ত্র সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এক সাথে মিলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একটি অসম যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন।
সবাইকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। প্রত্যেকটি নাগরিকের মতামত প্রকাশের, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ও সরকারের প্রতি তাদের দাবি জানানোর অধিকার আছে। সরকারের কর্তব্য এ প্রতিবাদের ভাষা বোঝা এবং সরকারের দায়িত্ব সেটা নিরসনের ব্যবস্থা নেয়া। রাষ্ট্রীয় বাহিনী বা নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনী অথবা একসঙ্গে উভয়কে ব্যবহার করে প্রতিবাদ স্তব্দ করা নয়। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবি বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৬ জুলাই বিনা উসকানিতে রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে কাছ থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। হত্যাকারীর কিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি না।
আবার পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ছাত্রলীগের যে সব সন্ত্রাসী পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়েছে সাধারণ ছাত্রদের ওপর- ছাত্রলীগের সেসব সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, গেলো কয়েক দিন ধরে নিরিহ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগ যেভাবে সশস্ত্র হামলা করেছে তা সভ্য সমাজে বেমানান। সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেছে। তারা নিরিহ ছাত্রদের ওপর পৈশাচিক হামলা চালাচ্ছে। অনুগত সন্ত্রাসীদের আইনের ওপরে রেখেছে। নিরিহ ছাত্রদের রক্ত ঝড়াবে আর বিচার হবেনা। এটা একটি স্বাধীন দেশে হতে পারে না।
যে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, এখন তারাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করে শুধু আন্দোলন ঠেকাতেই সরকার ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সাধারণ মানুষের ধারণা জনগণের এ দাবির প্রতি সরকারের সমর্থন ছিল না। যেকোনো ভাবে পরবর্তীতে, সময় সুযোগ বুঝে আবার কোটা পদ্ধতি চালু করা হবে, এ সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। ফলে জনগণের ধারণা কোটা পদ্ধতি পুনপ্রবর্তনের মামলা ও এতে বর্তমান ফলাফলের বিষয়ে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ ছিল।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে। পরবর্তীতে কোন একটি সময় কোটা বহালের দাবিতে সাধারণ জনগণের অজান্তে একটি পক্ষ আদালতে মামলা করেছিল। ২০২৪ সালে হটাৎ করে সেই মামলার রায় হয়। সেই রায়ে আদালত কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি রহস্যজনক।
চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সমাজে বৈষম্য সৃষ্টিতে সহায়ক। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য ন্যায় বিচার ভিত্তিক জনগণের নিজেদের একটি দেশ গঠনই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য।
সে কারণে, কোটা পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্যের মূলে আঘাত।
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন। তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপরে সশস্ত্র ছাত্রলীগ সহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা ক্ষমার অযোগ্য।
বিনা উসকানিতে আন্দোলনরত কেমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী সমূহ কর্তৃক চরম নির্মমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যাচ্ছে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। গত কালকে ৬ জন নিহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং অসমর্থিত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী আজকে ১৫ জন অর্থাৎ মোট ২১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি অত্যান্ত মর্মান্তিক।
সবচেয়ে দুখজনক বিষয় হল রাষ্ট্রকর্তৃক নিযুক্ত আইনের রক্ষকরা সশস্ত্র সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে এক সাথে মিলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একটি অসম যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছেন।
সবাইকে মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র। প্রত্যেকটি নাগরিকের মতামত প্রকাশের, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ও সরকারের প্রতি তাদের দাবি জানানোর অধিকার আছে। সরকারের কর্তব্য এ প্রতিবাদের ভাষা বোঝা এবং সরকারের দায়িত্ব সেটা নিরসনের ব্যবস্থা নেয়া। রাষ্ট্রীয় বাহিনী বা নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনী অথবা একসঙ্গে উভয়কে ব্যবহার করে প্রতিবাদ স্তব্দ করা নয়। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবি বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে মেনে নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আজ এক বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৬ জুলাই বিনা উসকানিতে রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে কাছ থেকে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। হত্যাকারীর কিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আমরা জানি না।
আবার পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ছাত্রলীগের যে সব সন্ত্রাসী পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়েছে সাধারণ ছাত্রদের ওপর- ছাত্রলীগের সেসব সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, গেলো কয়েক দিন ধরে নিরিহ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগ যেভাবে সশস্ত্র হামলা করেছে তা সভ্য সমাজে বেমানান। সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাঠিয়াল বাহিনী তৈরি করেছে। তারা নিরিহ ছাত্রদের ওপর পৈশাচিক হামলা চালাচ্ছে। অনুগত সন্ত্রাসীদের আইনের ওপরে রেখেছে। নিরিহ ছাত্রদের রক্ত ঝড়াবে আর বিচার হবেনা। এটা একটি স্বাধীন দেশে হতে পারে না।
যে সরকার কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল, এখন তারাই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এখন আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্য এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা প্রমাণ করে শুধু আন্দোলন ঠেকাতেই সরকার ২০১৮ সালে কোটা বাতিলের কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সাধারণ মানুষের ধারণা জনগণের এ দাবির প্রতি সরকারের সমর্থন ছিল না। যেকোনো ভাবে পরবর্তীতে, সময় সুযোগ বুঝে আবার কোটা পদ্ধতি চালু করা হবে, এ সিদ্ধান্ত আগেই ছিল। ফলে জনগণের ধারণা কোটা পদ্ধতি পুনপ্রবর্তনের মামলা ও এতে বর্তমান ফলাফলের বিষয়ে সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ ছিল।
এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রজ্ঞাপণ জারি করে। পরবর্তীতে কোন একটি সময় কোটা বহালের দাবিতে সাধারণ জনগণের অজান্তে একটি পক্ষ আদালতে মামলা করেছিল। ২০২৪ সালে হটাৎ করে সেই মামলার রায় হয়। সেই রায়ে আদালত কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত দেন। সম্পূর্ণ বিষয়টি রহস্যজনক।
চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সমাজে বৈষম্য সৃষ্টিতে সহায়ক। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার জন্য ন্যায় বিচার ভিত্তিক জনগণের নিজেদের একটি দেশ গঠনই ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য।
সে কারণে, কোটা পদ্ধতি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্যের মূলে আঘাত।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে কেবল নির্বাচন নয়; এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার নাম। শহীদ জেহাদের আত্মত্যাগ আমাদেরকে প্রেরণা দিতে হবে দেশি-বিদেশি অপশক্তির চক্রান্ত প্রতিহত করতে এবং গণতন্ত্রকে দৃঢ় ভিত্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।’
১ দিন আগেকূটনীতিকরা কার বাসায় বৈঠক করবেন সেটা নিয়ে বিএনপি চিন্তা করে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কূটনীতিকরা কারো বাসায় বৈঠক করলে রাজনীতিতে কিছু যায়-আসে না। গুরুত্বপূর্ণ হলো আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা।
১ দিন আগেএর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যাওয়ার আগে খালেদা জিয়া সর্বশেষ জিয়াউর রহমানের সমাধি জিয়ারত করেন। এরপর কারাগারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শর্তসাপেক্ষে কারাগারের বাইরে নিজ বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেও হাসপাতাল ছাড়া বাইরে কোথাও যেতে পারেননি।
২ দিন আগে