
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার অপসারণ এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ—এই তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে আট দলের সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, ‘একটি দল শুরু থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের বিরোধিতা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হয়ে একটি বিশেষ দলের স্বার্থ গুরুত্ব পেয়েছে। এই ভাষণের পর গণভোটে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতায় ফেলে দিলো। ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো একটি দলের বিরুদ্ধে যাওয়ায় গণভোট নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছে।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে গণভোট হলে দলটির চিন্তা চেতানার বিপরীতে যাবে। সে আশঙ্কা থেকে বলছে গণভোট হলে জীবনেও মানবে না। কিন্তু সরকার তাদের দাবির ওপর নতি স্বীকার করে একইদিনে গণভোট করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কারণ, নির্বাচনের দিন নিজ দলের পক্ষে ভোট পাওয়ার জন্য সবাই মনোযোগী হবে। পরে গণভোটে ভোট কম পড়লে, যারা সংস্কার চাচ্ছে না তারাই বলবে- এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। আমরা মনে করি এটা একটা ফাঁদ। বুঝে হোকো আর না বুঝে হোকে সরকার সেই ফাঁদে পা দিয়েছে।’
এ সময় তিনি তিনজন উপদেষ্টাকে অপসারণ করার দাবি জানান। তিনি জানান, আপাতত তিনি সেই তিন উপদেষ্টার নাম বলবেন না, তবে ব্যবস্থা না নিলে প্রকাশ করে দেবেন। তিন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্তক করছে। তাকে ভুল বুঝিয়ে একটি বিশেষ দলকে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, জনগণ গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। সম্প্রতি প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেখানেও একটি দলকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা আট দলসহ আরো কিছু দল চাই, ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে নির্বচন সফল হক। এর জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু যেই কারণে জনগণ ১৫ বছর ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, আবারো সেই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না, তা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের আয়োজন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার অপসারণ এবং প্রশাসনে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ—এই তিন দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে আট দলের সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
তিনি বলেন, ‘একটি দল শুরু থেকেই রাষ্ট্র সংস্কারের বিরোধিতা করেছে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হয়ে একটি বিশেষ দলের স্বার্থ গুরুত্ব পেয়েছে। এই ভাষণের পর গণভোটে জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতায় ফেলে দিলো। ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো একটি দলের বিরুদ্ধে যাওয়ায় গণভোট নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছে।’
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে গণভোট হলে দলটির চিন্তা চেতানার বিপরীতে যাবে। সে আশঙ্কা থেকে বলছে গণভোট হলে জীবনেও মানবে না। কিন্তু সরকার তাদের দাবির ওপর নতি স্বীকার করে একইদিনে গণভোট করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে সংস্কারের বিষয়টি গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কারণ, নির্বাচনের দিন নিজ দলের পক্ষে ভোট পাওয়ার জন্য সবাই মনোযোগী হবে। পরে গণভোটে ভোট কম পড়লে, যারা সংস্কার চাচ্ছে না তারাই বলবে- এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। আমরা মনে করি এটা একটা ফাঁদ। বুঝে হোকো আর না বুঝে হোকে সরকার সেই ফাঁদে পা দিয়েছে।’
এ সময় তিনি তিনজন উপদেষ্টাকে অপসারণ করার দাবি জানান। তিনি জানান, আপাতত তিনি সেই তিন উপদেষ্টার নাম বলবেন না, তবে ব্যবস্থা না নিলে প্রকাশ করে দেবেন। তিন উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে নানাভাবে বিভ্রান্তক করছে। তাকে ভুল বুঝিয়ে একটি বিশেষ দলকে সুযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, জনগণ গত তিনটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি। সম্প্রতি প্রশাসনে যে রদবদল হচ্ছে সেখানেও একটি দলকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, আমরা আট দলসহ আরো কিছু দল চাই, ফেব্রুয়ারি মাসে রোজার আগে নির্বচন সফল হক। এর জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি। কিন্তু যেই কারণে জনগণ ১৫ বছর ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছিল, আবারো সেই অবস্থা তৈরি হয়েছে। আরেকটি পরিকল্পিত নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না, তা আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়া তিনটি রাজনৈতিক দলের দাবির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে গিয়েই প্রতিটি দলের কোনো না কোনো দাবি মেনে নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কি শেষ রক্ষা হলো?
৭ ঘণ্টা আগে
গণভোটকে স্বাগত জানালেও সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রণীত যে জুলাই সনদে গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলো সই করেছে, তার ওপর গণভোট আয়োজনের আহ্বানর জানিয়েছে দলটি।
১৮ ঘণ্টা আগে
এ সময় কুমিল্লা-৪ এনসিপি নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, মনোনয়নপত্র কেনার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা-৪ আসন নিশ্চিত করেছে এনসিপি। এখন শুধু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা বাকি রইল।
১৮ ঘণ্টা আগে
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণকে স্বাগত জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা মনে করছেন, এই ভাষণের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব ধরনের সংশয় কেটে গেছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই জুলাই সনদের গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকেও তারা ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে