ডাকসুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখছেন ভোটাররা, অবাধ ভোটের প্রত্যাশা

ইফরান হোসেন, ঢাবি
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ১২
‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা বিজয় একাত্তর হলে জুমার নামাজ পড়েন। ছবি: রাজনীতি ডটকম

আর এক সপ্তাহের অপেক্ষা। তারপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ছয় বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন ছাত্র সংসদ প্রতিনিধি। এরই মধ্যে বাকি সব প্রক্রিয়া শেষে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। রাতদিন হল আর একাডেমিক ভবন চষে বেড়াচ্ছেন তারা।

ছয় বছরের বিরতির পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এই নির্বাচনকে জমজমাট করে তুলেছে। ২৮ পদে ৪৭১ প্রার্থীর এই নির্বাচনে প্যানেলই রয়েছে ১০টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল শীর্ষ প্রায় সব সংগঠনই একক বা জোটবদ্ধভাবে অংশ নিচ্ছে নির্বচনে। এর বাইরে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।

সাধারণ ভোটাররা বলছেন, প্রায় তিন দশকের বিরতিতে ২০১৯ সালে সবশেষ যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ক্যাম্পাসে ছিল ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত) একক আধিপত্য। তাতে অন্য সংগঠনগুলো ঠিকমতো নির্বাচনে অংশই নিতে পারেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার চালাতেও প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়েছে। সেবারের নির্বচনে ভোট কারচুপি ও ফল ঘোষণা নিয়েও উঠেছিল নানা প্রশ্ন।

Protirodh-Porshod-DUCSU-ELection-Manifesto-Declaration-31-08-2025

এর ঠিক বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে এবারের ডাকসু নির্বাচন ঘিরে। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে এখন এককভাবে কোনো সংগঠনের আধিপত্য নেই। প্রার্থীরা বাধাহীনভাবে প্রচার চালাতে পারছেন। এমনকি নব্বইয়ে স্বৈরাচার পতনের পর ঢাবি ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করে দেওয়া ইসলামী ছাত্রশিবির পর্যন্ত প্রকাশ্যে ও মুক্তভাবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, প্রচার চালাচ্ছে।

বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে নির্বচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও কোনো সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফলে নির্বাচনের মাঠে এক ধরনের ভারসাম্য দেখছেন শিক্ষার্থীরা। দুয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ডাকসু নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু সংগঠনের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠলেও শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচন স্বচ্ছ হবে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।

এদিকে ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল সব সংগঠনই সক্রিয়ভাবে এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার প্রার্থীর সংখ্যাও অনেক বেশি। আগের নির্বাচনগুলোর সুনির্দিষ্ট তথ্য না মিললেও প্রবীণরা বলছেন, এবারই সর্বোচ্চ প্রার্থী ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই জুলাই অভ্যুত্থান থেকে উঠে আসা পরিচিতমুখ। রয়েছে ক্যাম্পাসে বছর জুড়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জারি রাখা বাম সংগঠনগুলোর একাধিক জোটের প্যানেল। ছাত্রদল, শিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো সংগঠনগুলোও রয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলেও আশাবাদী সাধারণ ভোটাররা।

কেমন ছিল ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। তার অধীনে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নমুক্ত থাকেনি সেবারের ডাকসু নির্বাচনও।

DUCSU-Election-Nomination-Form-Submission-20-08-2025

সে বছর ডাকসুতে ২৫টি পদে প্রার্থী ছিলেন সাকুল্যে ২২৯ জন। ১৮টি হলের হল সংসদে মোট ২৩৪টি পদে লড়াই করেছিলেন মাত্র ৫০৯ জন।

সেবার ডাকসুতে ভিপি নির্বাচিত হন ওই নির্বাচনের আগের বছর কোটা আন্দোলনে সুপরিচিত হয়ে ওঠা ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর। সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন একই সংগঠনের আখতার হোসেন। তারা দুজনেই এখন জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয়।

এর বাইরে বাকি সব পদে একচেটিয়া জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। ১৮টি হল সংসদের ১২টিতেই জয় পান ছাত্রলীগের প্রার্থীরা।

২০১৯ সালের সেই নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষ থেকে ভোটদানে বাধা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি, প্রার্থীদের ওপর হামলা, ভোট বাক্স নিয়ে লুকোচুরিসহ নানা অভিযোগ তোলা হয়। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ওঠে ভোট চুরির অভিযোগ। এমনকি বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করতে মধ্যরাত হয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

ওই সময় ক্যাম্পাসে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ রীতিমতো রাজত্ব করত। তাদের বিরুদ্ধে কথ বলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। কোটা আন্দোলনের সূত্র ধরে নুরুল হক নুরের কিছুটা প্রভাব বলয় তৈরি হলেও সার্বিকভাবে ঢাবি ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই অবরুদ্ধ।

বদলে যাওয়া পরিস্থিতি, প্রার্থীর ছড়াছড়ি

গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের রাজনীতিতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। এর প্রভাব পড়েছে ঢাবি ক্যাম্পাসেও। সব ছাত্র সংগঠন এখন প্রকাশ্যে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে। ডাকসু নির্বাচনেও ছাত্রদল থেকে শুরু করে ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), বামজোটসহ বাকি ছাত্র সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২০১৯ সালের নির্বাচনের দ্বিগুণেরও বেশি। এবার ২৮টি পদে লড়াই করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদেই লড়াই করছেন ৪৫ জন। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এবার হল সংসদেও প্রার্থীর সংখ্যা ২০১৯ সালের নির্বাচনের দ্বিগুণের বেশি। এবার ১৮টি হলে ২৩৪টি পদে লড়াই করবেন মোট এক হাজার ১০৮ জন প্রার্থী।

আগের নির্বাচনগুলোর সুনির্দিষ্ট তথ্য না মিললেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডাকসুর ইতিহাসে সম্ভবত এবারই সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থী নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে প্যানেলই রয়েছে ১০টি।

আবিদ-হামিম-মায়েদের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নির্বাচনে রয়েছে আলোচনায়। ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বামপন্থি সংগঠনগুলো অবশ্য এবার এক থাকতে পারেনি। তাদের একাংশ ইমি-বসুর নেতৃত্বে গঠন করেছে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। আবার তিন বাম সংগঠন (ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাসদ ছাত্রলীগ) ঘোষণা করেছে ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল।

এদিকে চব্বিশের আন্দোলন থেকে উঠে আসা বৈষম্যবিরোধীরাও তিন শামিয়ানায় আছেন। কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, উমামার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ ও খালিদ-মাহিনের নেতৃত্বে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল এই নির্বাচনে লড়াই করছে। এর বাইরেও প্যানেল দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (ডাকসু ফর চেঞ্জ)। জুবায়ের-মোসাদ্দেকদের আংশিক প্যানেলও রয়েছে একটি। এর বাইরেও আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

সবশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ২৫৬ জন। প্রতি ৫৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন একজন। ২০২৫ সালে এসে সে চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। এবার ডাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। প্রতি ২৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন একজন।

অবাধ ভোটের প্রত্যাশা

পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবার কতটা সুষ্ঠু ও অবাধ হবে এবাবের ডাকসু নির্বাচন— এমন প্রশ্নের জবাবে ইতিবাচক উত্তরই মিলেছে ভোটার ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।

তারা বলছেন, একক কোনো রাজনৈতিক দলের আধিপত্য না থাকায় এবারের ডাকসু নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশ্বাস তাদের। মনোনয়ন বিতরণ থেকে শুরু করে প্রায় সপ্তাহখানেকের প্রচার কার্যক্রমে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটায় তাদের সে বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মো. হাসিবুর রহমান আসিফ রাজনীতি ডটকমকে বলেন, আগের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচন অনেক বেশি অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। এর কারণ আমরা একটা বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে আছি, যেখানে সবাই নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন। বিশেষ করে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই জুলাই আন্দোলনের স্ফূলিঙ্গ জ্বলে উঠেছিল। সেখানেই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে প্রথম নির্বাচনটা হচ্ছে, এটি একটি বড় ঘটনা।

হাসিবুর আরও বলেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের সময় আমরা ক্যাম্পাসে ছিলাম না। ওই নির্বাচনের কিছু পরে আমরা ক্যাম্পাসে ঢুকেছি। তখন বড় ভাইদের কাছে শুনেছি, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচন ছিল ধোঁয়াশায় ভরা। জাতীয় নির্বাচনের মতো সে নির্বাচনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। আমরা আশাবাদী, সব প্রার্থীসহ প্রশাসন সব নিয়ম মেনে অবাধ একটি নির্বাচন আয়োজন করে জুলাই আন্দোলন থেকে উঠে আসা মানুষের অধিকারের রাজনীতিকে সমুন্নত রাখার নজির স্থাপন করবেন।

ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সাইফও সব ধরনের প্রভাবমুক্ত একটি ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদী।

রাজনীতি ডটকমকে সাইফ বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। এ কারণেই এবারের ডাকসু নির্বাচন আগের ডাকসু নির্বাচনের তুলনায় ভিন্ন মাত্রা পাবে বলেই ধারণা করা যায়। যেহেতু এবারের ডাকসু কোনো ধরনের রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক চাপের মুখোমুখি হবে না, তাই আশা করা যায় আমরা এবার একটি অবাধ, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত ডাকসু প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছি।

একই বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আখতারুল ইসলাম অবাধ নির্বাচনের পাশাপাশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখছেন ডাকসুতে।

আখতার রাজনীতি ডটকমকে বলেন, এখন পর্যন্ত প্রার্থীদের সবার মধ্যে আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহিষ্ণুতা দেখেছি। আশা করা যায়, আগামী কয়েক দিনেও তারা এই চিত্র ধরে রাখবেন। সে ক্ষেত্রে এবারের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখছি না।

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রত্যাশার কথা জানিয়ে আখতার আরও বলেন, এবার প্রার্থীর সংখ্যা যেমন অনেক বেশি, তেমনি প্রার্থীদের সবাই ছাত্রনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। ছাত্রদল-শিবির-ছাত্র ইউনিয়নের মতো সংগঠনের পরীক্ষিত ছাত্রনেতারা যেমন আছেন, তেমনি জুলাই আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতারাও রয়েছেন। সব মিলিয়ে এবারের ডাকসু নির্বাচন অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

খালেদা জিয়া বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন : সেলিমা রহমান

শহীদ জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সেলিমা রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশে এক স্বৈরশাসক দীর্ঘদিন পাথরের মতো বসে থেকে জনগণকে শোষণ ও নিপীড়ন করেছে। এ অবৈধ স্বৈরশাসককে বিতাড়িত করতে বিএনপি দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন করেছে। এর নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

১৬ ঘণ্টা আগে

তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে সবার: ডা. জাহিদ

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত ৫ আগস্ট স্বেরাচার পলায়ন করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এখনো কিছু কিছু দল কর্তৃত্ববাদীর ভয় দেখায়, নিজেদের নিরঙ্কুশ ভাবে। কিন্তু মনে রাখবেন- নিরঙ্কুশ একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আর এই দেশের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা জনগণের হাতে। কাজেই কোনো অবস্থাতেই জনগণের বিপক্ষে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

১৮ ঘণ্টা আগে

'হাইকোর্ট না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু' স্লোগানে বিক্ষুব্ধ ঢাবি

হাইকোর্টের আদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) স্থগিতের ঘোষণায় উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। তাৎক্ষণিকভাবে ডাকসুর প্রার্থী ও ঢাবি শিক্ষার্থীরা বিক্ষভ মিছিল করছেন। যেকোনো মূল্যে ডাকসু আয়োজনের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

২০ ঘণ্টা আগে

ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত, ক্ষোভে উত্তাল ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

২১ ঘণ্টা আগে