
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রম করলেও আমরা আজও সেই কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারিনি। যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আরেকটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে অতীতের সরকারগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণেই হাজার হাজার শহীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, প্রতিটি আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে যারা নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের একটিই চাওয়া ছিল আর তা হলো পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, একটি মর্যাদাশীল, ন্যায়ভিত্তিক ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে চেতনার ব্যবসা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একটি শোষণ-বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে চাই। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, যারা কেবল মুখে মুখে স্বাধীনতার চেতনার কথা বলেন, তারা সেই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করেন না। যারাই তথাকথিত চেতনার কথা বলেন, তাদের অনেকেই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তারা চেতনার কথা বলে দুর্নীতি করে দেশ থেকে হাজার, লক্ষ, লোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তারা চেতনার কথা বলে দেশ শাসনের নামে শোষণ করেছেন, তারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চাম্পিয়ন বানিয়েছেন। তারা খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ করে দেশের মানুষের ওপর জুলুম করেছেন। তারা মূলত দেশপ্রেমিক নন, তারা চেতনা ব্যবসায়ী।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতার চেতনাকে শুধু কথায় নয়, অন্তরে ধারণ করি। প্রকৃত দেশপ্রেম মানে সততা, ন্যায় ও জবাবদিহিতা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেশের কোনো থানায় দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কিংবা টেন্ডারবাজির মামলা নেই। এটাই প্রমাণ করে প্রকৃত স্বাধীনতার চেতনা কী এবং প্রকৃত দেশপ্রেম কাকে বলে। আজ যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন প্রকৃত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধারা ও জুলাই যোদ্ধারা এই দেশের সূর্যসন্তান। তাদের যথাযথ সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে আর কোনো নতুন যোদ্ধা তৈরি হবে না।
শরীফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, হাদির ওপর হামলা কোনো ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ। সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটাররি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রাকিবুল ইসলাম, পিরোজপুর পৌর আমির ইসহাক আলী খান, পিরোজপুর সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ইমরান হোসেন।
বিজয় সমাবেশের পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি পিরোজপুরের সিও অফিস মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাব রোডে এসে শেষ হয়।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্যারেড ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে যোগ দেন মাসুদ সাঈদী। পরে বিকেলে জিয়ানগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা একাদশ ও উপজেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন।

পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর অতিক্রম করলেও আমরা আজও সেই কাঙ্ক্ষিত বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারিনি। যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে আরেকটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে অতীতের সরকারগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এ কারণেই হাজার হাজার শহীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখা আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, প্রতিটি আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে যারা নিজেদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন, প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের একটিই চাওয়া ছিল আর তা হলো পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশি জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, একটি মর্যাদাশীল, ন্যায়ভিত্তিক ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে চেতনার ব্যবসা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা একটি শোষণ-বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে চাই। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, যারা কেবল মুখে মুখে স্বাধীনতার চেতনার কথা বলেন, তারা সেই চেতনাকে অন্তরে ধারণ করেন না। যারাই তথাকথিত চেতনার কথা বলেন, তাদের অনেকেই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, ডাকাত ও সন্ত্রাসী। তারা চেতনার কথা বলে দুর্নীতি করে দেশ থেকে হাজার, লক্ষ, লোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন, তারা চেতনার কথা বলে দেশ শাসনের নামে শোষণ করেছেন, তারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে চাম্পিয়ন বানিয়েছেন। তারা খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণ করে দেশের মানুষের ওপর জুলুম করেছেন। তারা মূলত দেশপ্রেমিক নন, তারা চেতনা ব্যবসায়ী।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্বাধীনতার চেতনাকে শুধু কথায় নয়, অন্তরে ধারণ করি। প্রকৃত দেশপ্রেম মানে সততা, ন্যায় ও জবাবদিহিতা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেশের কোনো থানায় দুর্নীতি, চাঁদাবাজি কিংবা টেন্ডারবাজির মামলা নেই। এটাই প্রমাণ করে প্রকৃত স্বাধীনতার চেতনা কী এবং প্রকৃত দেশপ্রেম কাকে বলে। আজ যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি, তবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন প্রকৃত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের যোদ্ধারা ও জুলাই যোদ্ধারা এই দেশের সূর্যসন্তান। তাদের যথাযথ সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে ভবিষ্যতে আর কোনো নতুন যোদ্ধা তৈরি হবে না।
শরীফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, হাদির ওপর হামলা কোনো ব্যক্তির ওপর হামলা নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পিরোজপুর জেলা জামায়াতের আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ। সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটাররি অধ্যক্ষ জহিরুল হক, জেলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রাকিবুল ইসলাম, পিরোজপুর পৌর আমির ইসহাক আলী খান, পিরোজপুর সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি মো. ইমরান হোসেন।
বিজয় সমাবেশের পূর্বে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি পিরোজপুরের সিও অফিস মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন ক্লাব রোডে এসে শেষ হয়।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত প্যারেড ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে যোগ দেন মাসুদ সাঈদী। পরে বিকেলে জিয়ানগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা একাদশ ও উপজেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন।

রাশেদ খান বলেন, আমরা দেখেছি, আমাদের একজন বিপ্লবী যোদ্ধা ও সাহসী কণ্ঠস্বর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যিনি সোচ্চার ছিলেন ওসমান হাদি ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় গুলি করা হয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে দুইটি কারণ উল্লেখ করেন মাসুদুজ্জামান মাসুদ। প্রথমত নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কা প্রকাশ করেন, দ্বিতীয়ত তার পরিবারও চায় না, তিনি ভোটের মাঠে থাকুক।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ এই জুলাই যোদ্ধা তার সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সরকার আমাদেরকে আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে না। নিজেদের নিরাপত্তার নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জামাত একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী ছিল, এখনও তারা সেই অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একাত্তরের সঙ্গে চব্বিশের তুলনা চলে না। গোলাম আযম আর নিজামীকে সূর্যসন্তান আখ্যায়িত করে জামায়াত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে।’
৭ ঘণ্টা আগে