ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ডিম –প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা একটি পুষ্টিকর খাবার। সকালের নাশতা হোক বা দুপুরের ভাতের মেন্যু, ডিম সবখানেই দারুণ জনপ্রিয়। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে অনেকেই এখনও একটা প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধায় থাকেন—ডিম খাওয়া কি হার্টের (হৃদযন্ত্রের) জন্য ক্ষতিকর?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বিষয়টি আসলে নির্ভর করছে ডিম খাওয়ার পরিমাণ, ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
কেন ডিম নিয়ে এমন বিতর্ক?
মূলত, ডিমের কুসুমে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল থাকে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আগে ধারণা করা হতো, ডায়েটারি কোলেস্টেরল (অর্থাৎ খাবারের মাধ্যমে নেওয়া কোলেস্টেরল) সরাসরি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এবং এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অনেকেই ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলতেন।
কিন্তু বিজ্ঞান যতই এগিয়েছে, ততই এই ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে।
কী বলছেন গবেষকরা?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক ড. রুডি স্যানচেজ জানান, “দিনে একটি ডিম অধিকাংশ মানুষের জন্য একদমই নিরাপদ। এমনকি এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। তবে যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে বা যারা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে ডিম একা নয়, বরং সুষম খাবার—যার মধ্যে শাকসবজি, ফলমূল, শস্যজাতীয় খাবার থাকে—সেটাই হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রাংক হু বলেন, “ডিম খাওয়ার কারণে সরাসরি হৃদরোগ বাড়ে—এমন শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ডিম খাওয়াটা কিছুটা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
অন্যদিকে, চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষক ড. লি কুইং এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, “যারা প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম খান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে এটা তখনই সত্যি হয়, যখন ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে খাওয়া হয়।”
ডিম খাওয়ার নিরাপদ উপায় কী?
গবেষকরা বলছেন, ডিম খাওয়া যাবে—তবে সেটার একটা মাত্রা থাকা উচিত। দিনে একটি ডিম অধিকাংশ মানুষের জন্যই নিরাপদ। ডিম ভাজা না করে সেদ্ধ করে খাওয়াটাই ভালো, কারণ তেল বা মাখন দিয়ে রান্না করলে খাবারের চর্বির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, যা হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এছাড়াও, ডিমের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, এবং হোলগ্রেইন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। এতে করে ডিমের পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে কাজে দেয় এবং শরীর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্যারোলিন স্মিথ বলেন, “ডিম খাওয়া ও রক্তের কোলেস্টেরলের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই বললেই চলে। বরং সুষম ডায়েটের মধ্যে ডিম রাখলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডিমে থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন চোখ ও মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী।”
সবশেষে বলা যায়, ডিম খাওয়া একেবারে বাদ দেওয়ার মতো কিছু না। বরং পরিমিত ডিম খেলে শরীর উপকৃত হয়। তবে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে, স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করে এবং একটি সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে ডিম খেলে সেটা হার্টের জন্য কোনো ক্ষতি নয়—বরং উপকারই করে।
তাই, ডিম নিয়ে ভয় না পেয়ে সচেতনভাবে খাওয়া শিখুন। কারণ খাবারটা তখনই ওষুধ হয়, যখন সেটা বুঝে-শুনে খাওয়া হয়।
সূত্র: স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন
ডিম –প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা একটি পুষ্টিকর খাবার। সকালের নাশতা হোক বা দুপুরের ভাতের মেন্যু, ডিম সবখানেই দারুণ জনপ্রিয়। এতে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে অনেকেই এখনও একটা প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধায় থাকেন—ডিম খাওয়া কি হার্টের (হৃদযন্ত্রের) জন্য ক্ষতিকর?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, বিষয়টি আসলে নির্ভর করছে ডিম খাওয়ার পরিমাণ, ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং সামগ্রিক খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
কেন ডিম নিয়ে এমন বিতর্ক?
মূলত, ডিমের কুসুমে প্রাকৃতিকভাবে কোলেস্টেরল থাকে। একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। আগে ধারণা করা হতো, ডায়েটারি কোলেস্টেরল (অর্থাৎ খাবারের মাধ্যমে নেওয়া কোলেস্টেরল) সরাসরি রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এবং এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই অনেকেই ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলতেন।
কিন্তু বিজ্ঞান যতই এগিয়েছে, ততই এই ধারণা পরিবর্তিত হয়েছে।
কী বলছেন গবেষকরা?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষক ড. রুডি স্যানচেজ জানান, “দিনে একটি ডিম অধিকাংশ মানুষের জন্য একদমই নিরাপদ। এমনকি এটি স্বাস্থ্যকরও বটে। তবে যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে বা যারা হৃদরোগের ঝুঁকিতে আছেন, তাদের সপ্তাহে ৩-৪টি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, ডিমে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে ডিম একা নয়, বরং সুষম খাবার—যার মধ্যে শাকসবজি, ফলমূল, শস্যজাতীয় খাবার থাকে—সেটাই হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রাংক হু বলেন, “ডিম খাওয়ার কারণে সরাসরি হৃদরোগ বাড়ে—এমন শক্ত কোনো প্রমাণ নেই। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ডিম খাওয়াটা কিছুটা ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।”
অন্যদিকে, চীনের পিকিং ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্স সেন্টারের গবেষক ড. লি কুইং এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, “যারা প্রতিদিন এক থেকে দুইটি ডিম খান, তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে এটা তখনই সত্যি হয়, যখন ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে খাওয়া হয়।”
ডিম খাওয়ার নিরাপদ উপায় কী?
গবেষকরা বলছেন, ডিম খাওয়া যাবে—তবে সেটার একটা মাত্রা থাকা উচিত। দিনে একটি ডিম অধিকাংশ মানুষের জন্যই নিরাপদ। ডিম ভাজা না করে সেদ্ধ করে খাওয়াটাই ভালো, কারণ তেল বা মাখন দিয়ে রান্না করলে খাবারের চর্বির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, যা হার্টের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
এছাড়াও, ডিমের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, এবং হোলগ্রেইন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। এতে করে ডিমের পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে কাজে দেয় এবং শরীর ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্যারোলিন স্মিথ বলেন, “ডিম খাওয়া ও রক্তের কোলেস্টেরলের মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক নেই বললেই চলে। বরং সুষম ডায়েটের মধ্যে ডিম রাখলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ডিমে থাকা লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন চোখ ও মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী।”
সবশেষে বলা যায়, ডিম খাওয়া একেবারে বাদ দেওয়ার মতো কিছু না। বরং পরিমিত ডিম খেলে শরীর উপকৃত হয়। তবে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা হৃদরোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে, স্বাস্থ্যকরভাবে রান্না করে এবং একটি সুষম খাদ্যাভ্যাসের অংশ হিসেবে ডিম খেলে সেটা হার্টের জন্য কোনো ক্ষতি নয়—বরং উপকারই করে।
তাই, ডিম নিয়ে ভয় না পেয়ে সচেতনভাবে খাওয়া শিখুন। কারণ খাবারটা তখনই ওষুধ হয়, যখন সেটা বুঝে-শুনে খাওয়া হয়।
সূত্র: স্মিথসনিয়ান ম্যাগাজিন
অচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
১ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
১ দিন আগেশরৎকালে দিন আর রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়তে শুরু করে। দিনে থাকে হালকা রোদ, আর রাতে আসে শীতলতা। এই পরিবর্তিত আবহাওয়া কাশগাছের ভেতরে হরমোনের মতো কিছু রাসায়নিক প্রক্রিয়া চালু করে, যা ফুল ফোটার সংকেত দেয়। উদ্ভিদতত্ত্বের গবেষকরা বলেন, প্রতিটি গাছেরই একটা নির্দিষ্ট "ফোটার মৌসুম" থাকে। কাশফুলের জন্য সেই
১ দিন আগেআবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগে