ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
১৭৩৯ সালের মার্চ মাস। দিল্লির আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল এক রক্তাক্ত ইতিহাস। এই সময় ভারতীয় উপমহাদেশ এক অন্ধকারময় অধ্যায়ের ভেতর দিয়ে হেঁটেছিল, যার নায়ক ছিলেন পারস্যের শাসক নাদির শাহ। ইতিহাস তাঁকে মনে রাখে এক বর্ণাঢ্য সেনাপতি ও সিংহহৃদয় শাসক হিসেবে, কিন্তু ভারতবাসীর স্মৃতিতে তিনি একজন লুণ্ঠনকারী, এক রক্তপিপাসু আগ্রাসনপ্রেমী। এই আক্রমণ শুধু দিল্লির ধনসম্পদ লুট করেই থেমে যায়নি, বরং মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতা ও পতনের পথকে অনেকটা ত্বরান্বিত করেছিল।
নাদির শাহ ছিলেন পারস্যের আফশার বংশীয় শাসক। তার উত্থান হয়েছিল সাফল্য, যুদ্ধ ও রণনীতি দিয়ে। তিনি পারস্যকে আবারও একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। নাদির শাহকে নিয়ে ইতিহাসবিদ মাইকেল অ্যাক্সওয়ার্থি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন, তাঁর বই "দ্য সোর্ড অব পার্সিয়া" বইয়ে লিখেছেন, “নাদির শাহ ছিল এক প্রতিভাবান জেনারেল, কিন্তু তার আগ্রাসী মানসিকতা আর রক্তপিপাসা তাঁকে এক বিভীষিকায় পরিণত করেছিল।”
নাদির শাহের দিল্লি অভিযান ছিল আসলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত। ভারতের মুঘল সাম্রাজ্য তখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরপরই মুঘল শাসন ছিল এক প্রকার নামমাত্র, আর সেই সুযোগেই নানা জায়গায় বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা দেয়। এই দুর্বলতা বুঝেই নাদির শাহ ভারতের দিকে চোখ ফেরান।
তাঁর প্রথম অজুহাত ছিল আফগান অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া বিদ্রোহী গুলাম খানের বিষয়টি। তিনি মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের কাছে এই ব্যক্তিকে ফেরত চাইলে, সম্রাট তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনাকে সামনে রেখে পারস্যের বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে তিনি ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
১৭৩৮ সালের শেষ দিকে তিনি আফগানিস্তানের কাবুল ও কন্দাহার দখল করেন। এরপর তিনি কাইবার পাস অতিক্রম করে পাঞ্জাবের লাহোরে প্রবেশ করেন। লাহোর, মুলতান, সিন্ধু—একটি একটি করে শহর তার সেনাবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করতে থাকে। মুঘল বাহিনী দুর্বল ছিল, তাদের শৃঙ্খলা ছিল না, আর মোহাম্মদ শাহ ছিলেন এক হতাশাপূর্ণ ও অনির্দেশ্য শাসক।
১৭৩৯ সালের শুরুতে নাদির শাহ দিল্লির দিকে অগ্রসর হন। মুঘল বাহিনী পানিপথের কাছাকাছি করনাল এলাকায় তাঁবু ফেলে রক্ষা করার চেষ্টা করে। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে মুঘলরা ছিল সম্পূর্ণ অদক্ষ। ১৭৩৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি করনালের যুদ্ধে মোহাম্মদ শাহের সেনারা সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়। প্রায় ২০ হাজার মুঘল সেনা নিহত হয়। মোহাম্মদ শাহ বাধ্য হন আত্মসমর্পণ করতে।
দিল্লির পথে তখন বিজয়ী পারস্য বাহিনী। শহরের মানুষ আতঙ্কে, প্রশাসন অবশ। মোহাম্মদ শাহ নিজেই নাদির শাহকে স্বাগত জানান, তাঁকে রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রণ জানান। ইতিহাসবিদ হোরেস ওয়ালপোল বলেন, “নাদির শাহ যেন সম্রাট না, যেন এক ভয়াল শক্তি, যে স্বয়ং মৃত্যুকে বহন করে এনেছে।”
প্রথমদিকে, নাদির শাহ দিল্লিতে শান্তভাবেই অবস্থান করেন। কিন্তু একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সবকিছু বদলে যায়। দিল্লির বাজারে গুজব ছড়ায়, নাদির শাহ নিহত হয়েছেন। এতে শহরের কিছু মানুষ পারস্য সেনাদের উপর হামলা চালায়। প্রায় কয়েকশ পারস্য সৈন্য নিহত হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নাদির শাহ দিল্লিতে গণহত্যার নির্দেশ দেন।
১৭৩৯ সালের ২২ মার্চ। সকাল থেকেই শুরু হয় নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ। পারস্য সৈন্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষ হত্যা করে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কেউ রেহাই পায়নি। শহরের রাস্তাগুলো লাশে ভরে যায়। এক ঐতিহাসিক বর্ণনায় বলা হয়, একদিনেই প্রায় ৩০ হাজার নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই গণহত্যার খবর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
নাদির শাহ তখন মুঘল রাজপ্রাসাদের সব মূল্যবান ধনসম্পদ নিজের কব্জায় আনেন। কোহিনূর হীরাটি, যা তখন মোহাম্মদ শাহের পাগড়িতে গোপন ছিল, তা তিনি নিজের করে নেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন দুর্লভ দরিয়া-ই-নূর হীরা, অসংখ্য সোনার মুদ্রা, অলঙ্কার, মণিমুক্তা। এই লুণ্ঠন এতটাই বিশাল ছিল যে, পারস্য ফিরে যাওয়ার পর তিনি দীর্ঘ ৩ বছর কর মকুব করে দিয়েছিলেন।
বিখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ স্যার জন কেয় বলেন, “নাদির শাহের দিল্লি অভিযান ভারতের ইতিহাসে এক ভয়াল ছায়া ফেলে দেয়। এই হামলার ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা চূর্ণ হয়ে যায়। দিল্লি পরিণত হয় এক প্রেতপুরীতে।”
এই ঘটনার পর মোহাম্মদ শাহ আবার সিংহাসনে ফিরে আসেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তখন শুধু নামমাত্র সম্রাট। ভারতীয় উপমহাদেশে শুরু হয় নতুন পর্ব—যেখানে মারাঠা, শিখ, নবাবরা আলাদা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর এই বিভ্রান্তি, দুর্বলতা আর অনিশ্চয়তার ভিতর দিয়েই ক্রমশ ভারত ব্রিটিশ উপনিবেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
নাদির শাহ ১৭৪৭ সালে খুন হন তাঁর নিজের সেনা কর্মকর্তাদের হাতে। কিন্তু তাঁর দিল্লি অভিযান ইতিহাসে একটি গভীর ক্ষত রেখে গেছে। সেটা শুধু লুণ্ঠনের নয়, বরং ভারতীয় সমাজ ও রাজনীতির ভেতরে ছড়িয়ে থাকা দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশও বটে।
আজও ইতিহাসবিদেরা নাদির শাহকে নিয়ে বিভক্ত। কেউ তাঁকে প্রতিভাবান সেনাপতি বলেন, আবার কেউ বলেন যুদ্ধপিপাসু অত্যাচারী। মার্কিন ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডারলিম্পল বলেন, “নাদির শাহ শুধু দিল্লি দখল করেননি, তিনি উপমহাদেশের ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁর রক্তাক্ত পদধ্বনি মুঘলদের শূন্যতায় ঠেলে দেয়।”
এইভাবেই ১৭৩৯ সালের সেই মার্চের দুপুর দিল্লির আকাশকে লাল করে দেয়। আর নাদির শাহ হয়ে যান ইতিহাসের এক ভয়ংকর কিংবদন্তি—যাঁর তলোয়ারের আঘাতে কেঁপে উঠেছিল এক রাজসভা, লুট হয়ে গিয়েছিল এক নগর, আর খণ্ডিত হয়েছিল একটি সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ।
১৭৩৯ সালের মার্চ মাস। দিল্লির আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল এক রক্তাক্ত ইতিহাস। এই সময় ভারতীয় উপমহাদেশ এক অন্ধকারময় অধ্যায়ের ভেতর দিয়ে হেঁটেছিল, যার নায়ক ছিলেন পারস্যের শাসক নাদির শাহ। ইতিহাস তাঁকে মনে রাখে এক বর্ণাঢ্য সেনাপতি ও সিংহহৃদয় শাসক হিসেবে, কিন্তু ভারতবাসীর স্মৃতিতে তিনি একজন লুণ্ঠনকারী, এক রক্তপিপাসু আগ্রাসনপ্রেমী। এই আক্রমণ শুধু দিল্লির ধনসম্পদ লুট করেই থেমে যায়নি, বরং মুঘল সাম্রাজ্যের দুর্বলতা ও পতনের পথকে অনেকটা ত্বরান্বিত করেছিল।
নাদির শাহ ছিলেন পারস্যের আফশার বংশীয় শাসক। তার উত্থান হয়েছিল সাফল্য, যুদ্ধ ও রণনীতি দিয়ে। তিনি পারস্যকে আবারও একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্যে পরিণত করেন। নাদির শাহকে নিয়ে ইতিহাসবিদ মাইকেল অ্যাক্সওয়ার্থি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন, তাঁর বই "দ্য সোর্ড অব পার্সিয়া" বইয়ে লিখেছেন, “নাদির শাহ ছিল এক প্রতিভাবান জেনারেল, কিন্তু তার আগ্রাসী মানসিকতা আর রক্তপিপাসা তাঁকে এক বিভীষিকায় পরিণত করেছিল।”
নাদির শাহের দিল্লি অভিযান ছিল আসলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত। ভারতের মুঘল সাম্রাজ্য তখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরপরই মুঘল শাসন ছিল এক প্রকার নামমাত্র, আর সেই সুযোগেই নানা জায়গায় বিদ্রোহ, বিশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক দুর্বলতা দেখা দেয়। এই দুর্বলতা বুঝেই নাদির শাহ ভারতের দিকে চোখ ফেরান।
তাঁর প্রথম অজুহাত ছিল আফগান অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া বিদ্রোহী গুলাম খানের বিষয়টি। তিনি মুঘল সম্রাট মোহাম্মদ শাহের কাছে এই ব্যক্তিকে ফেরত চাইলে, সম্রাট তা প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনাকে সামনে রেখে পারস্যের বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে তিনি ভারতের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
১৭৩৮ সালের শেষ দিকে তিনি আফগানিস্তানের কাবুল ও কন্দাহার দখল করেন। এরপর তিনি কাইবার পাস অতিক্রম করে পাঞ্জাবের লাহোরে প্রবেশ করেন। লাহোর, মুলতান, সিন্ধু—একটি একটি করে শহর তার সেনাবাহিনীর সামনে আত্মসমর্পণ করতে থাকে। মুঘল বাহিনী দুর্বল ছিল, তাদের শৃঙ্খলা ছিল না, আর মোহাম্মদ শাহ ছিলেন এক হতাশাপূর্ণ ও অনির্দেশ্য শাসক।
১৭৩৯ সালের শুরুতে নাদির শাহ দিল্লির দিকে অগ্রসর হন। মুঘল বাহিনী পানিপথের কাছাকাছি করনাল এলাকায় তাঁবু ফেলে রক্ষা করার চেষ্টা করে। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে মুঘলরা ছিল সম্পূর্ণ অদক্ষ। ১৭৩৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি করনালের যুদ্ধে মোহাম্মদ শাহের সেনারা সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয়। প্রায় ২০ হাজার মুঘল সেনা নিহত হয়। মোহাম্মদ শাহ বাধ্য হন আত্মসমর্পণ করতে।
দিল্লির পথে তখন বিজয়ী পারস্য বাহিনী। শহরের মানুষ আতঙ্কে, প্রশাসন অবশ। মোহাম্মদ শাহ নিজেই নাদির শাহকে স্বাগত জানান, তাঁকে রাজপ্রাসাদে আমন্ত্রণ জানান। ইতিহাসবিদ হোরেস ওয়ালপোল বলেন, “নাদির শাহ যেন সম্রাট না, যেন এক ভয়াল শক্তি, যে স্বয়ং মৃত্যুকে বহন করে এনেছে।”
প্রথমদিকে, নাদির শাহ দিল্লিতে শান্তভাবেই অবস্থান করেন। কিন্তু একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সবকিছু বদলে যায়। দিল্লির বাজারে গুজব ছড়ায়, নাদির শাহ নিহত হয়েছেন। এতে শহরের কিছু মানুষ পারস্য সেনাদের উপর হামলা চালায়। প্রায় কয়েকশ পারস্য সৈন্য নিহত হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নাদির শাহ দিল্লিতে গণহত্যার নির্দেশ দেন।
১৭৩৯ সালের ২২ মার্চ। সকাল থেকেই শুরু হয় নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ। পারস্য সৈন্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষ হত্যা করে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কেউ রেহাই পায়নি। শহরের রাস্তাগুলো লাশে ভরে যায়। এক ঐতিহাসিক বর্ণনায় বলা হয়, একদিনেই প্রায় ৩০ হাজার নিরীহ নাগরিক নিহত হন। এই গণহত্যার খবর ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ দৃষ্টান্ত।
নাদির শাহ তখন মুঘল রাজপ্রাসাদের সব মূল্যবান ধনসম্পদ নিজের কব্জায় আনেন। কোহিনূর হীরাটি, যা তখন মোহাম্মদ শাহের পাগড়িতে গোপন ছিল, তা তিনি নিজের করে নেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন দুর্লভ দরিয়া-ই-নূর হীরা, অসংখ্য সোনার মুদ্রা, অলঙ্কার, মণিমুক্তা। এই লুণ্ঠন এতটাই বিশাল ছিল যে, পারস্য ফিরে যাওয়ার পর তিনি দীর্ঘ ৩ বছর কর মকুব করে দিয়েছিলেন।
বিখ্যাত ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ স্যার জন কেয় বলেন, “নাদির শাহের দিল্লি অভিযান ভারতের ইতিহাসে এক ভয়াল ছায়া ফেলে দেয়। এই হামলার ফলে মুঘল সাম্রাজ্যের মর্যাদা ও বিশ্বাসযোগ্যতা চূর্ণ হয়ে যায়। দিল্লি পরিণত হয় এক প্রেতপুরীতে।”
এই ঘটনার পর মোহাম্মদ শাহ আবার সিংহাসনে ফিরে আসেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তখন শুধু নামমাত্র সম্রাট। ভারতীয় উপমহাদেশে শুরু হয় নতুন পর্ব—যেখানে মারাঠা, শিখ, নবাবরা আলাদা শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আর এই বিভ্রান্তি, দুর্বলতা আর অনিশ্চয়তার ভিতর দিয়েই ক্রমশ ভারত ব্রিটিশ উপনিবেশের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।
নাদির শাহ ১৭৪৭ সালে খুন হন তাঁর নিজের সেনা কর্মকর্তাদের হাতে। কিন্তু তাঁর দিল্লি অভিযান ইতিহাসে একটি গভীর ক্ষত রেখে গেছে। সেটা শুধু লুণ্ঠনের নয়, বরং ভারতীয় সমাজ ও রাজনীতির ভেতরে ছড়িয়ে থাকা দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশও বটে।
আজও ইতিহাসবিদেরা নাদির শাহকে নিয়ে বিভক্ত। কেউ তাঁকে প্রতিভাবান সেনাপতি বলেন, আবার কেউ বলেন যুদ্ধপিপাসু অত্যাচারী। মার্কিন ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডারলিম্পল বলেন, “নাদির শাহ শুধু দিল্লি দখল করেননি, তিনি উপমহাদেশের ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছেন। তাঁর রক্তাক্ত পদধ্বনি মুঘলদের শূন্যতায় ঠেলে দেয়।”
এইভাবেই ১৭৩৯ সালের সেই মার্চের দুপুর দিল্লির আকাশকে লাল করে দেয়। আর নাদির শাহ হয়ে যান ইতিহাসের এক ভয়ংকর কিংবদন্তি—যাঁর তলোয়ারের আঘাতে কেঁপে উঠেছিল এক রাজসভা, লুট হয়ে গিয়েছিল এক নগর, আর খণ্ডিত হয়েছিল একটি সাম্রাজ্যের ভবিষ্যৎ।
মস্তিষ্কের নিজের জন্যও তো কিছু সময় দরকার! যেমন, আমাদের মেমোরি কার্ড, যেটাকে আমরা স্মৃতি বলি। বহু পুরোনো স্মৃতি আমাদের মনে থাকে কেন?
১ দিন আগেব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
২ দিন আগেশুধু খাবারের অভাবেই ক্ষুধা লাগে না। চোখের ক্ষুধা আর মনের ক্ষুধার কথাও বলেছি। অর্থাৎ লোভনীয় কোনো খাবার দেখলে তোমার ক্ষুধা লাগতে পারে। আবার সুস্বাদু খাবারের গন্ধও তোমাকে ক্ষুধা পাইয়ে দিতে পারে।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিশারদ, পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকেরা ডাবের পানির গুণাবলি নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন এবং করছেন। ডাবের পানি শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা বোঝার জন্য আমাদের আগে জানতে হবে এর ভেতরের উপাদান সম্পর্কে।
২ দিন আগে