শংকর লাল দাস, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়নের ১৭০নং পশ্চিম শারিকখারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। ছাদের পলেস্তরা খসে রড বেরিয়ে এসেছে, বিমে মরিচা ধরে গেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে পাশে টিনের ছাউনি তৈরি করে সেখানে চলছে পাঠদান। কিন্তু গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্র গরম, বর্ষায় বৃষ্টির শব্দ ও ঝাপটায় মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরনো পাকা ভবনটিতে 'ঝুকিঁপূর্ণ' লেখা ব্যানার ঝোলানো রয়েছে। ভবনের দেয়াল, পিলার, ছাদ, বিম সবখানেই ফাটল। ভবনটির পশ্চিম পাশে নতুন দুইটি টিনের ঘরে পাঠদান চলছে। সেখানেই শিশুরা কোনোক্রমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে। সে সময় একটি অফিস কক্ষ ও তিনটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ভবনটি সংস্কার কিংবা বিদ্যালয়ের জন্য নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রচণ্ড রোদ কিংবা ঝাপসা বৃষ্টির সময় টিনের ঘরে থাকা যায় না। রোদের সময় তীব্র গরম সহ্য করতে হয় তাদের। আবার সামান্য বৃষ্টিতেই থেমে যায় তাদের বিদ্যাশিক্ষা। বৃষ্টির ঝাপটা ও টিনের ওপর বৃষ্টির শব্দে ব্যাহত হয় পাঠদান।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানায়, বৃষ্টির সময় টিনে সৃষ্ট শব্দে পড়া সম্ভব হয় না। এছাড়াও বাতাসে বৃষ্টির ঝাপটা তাদের গায়ে লাগে। এ সময় বই-খাতাসহ শরীর যাতে ভিজে না যায়, সেদিকে খেয়াল চলে যায়। তাই পাঠে মনোযোগ আসে না।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহান জানায়, রোদের সময় গরমেও কষ্ট হয় তাদের। রোদে ঘরের টিন গরম হয়ে শরীরে তাপ লাগে। আগে এই ঘরে ফ্যান ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো না থাকায় সমস্যা বেশই হচ্ছে।
অভিভাবক ইশরাত জাহান কলি জানান, টিনের ঘরে শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। তাই দ্রুত নতুন ভবন দরকার।
বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের ছাদ, দেয়াল, বিমের পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। ছবি : রাজনীতি ডটকম
তিনি আরও বলেন, 'আমার মেয়ে তানহা এই বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ছে। শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য সুন্দর শ্রেণিকক্ষ দরকার। এর আগে, পাকা ভবনের শ্রেণিকক্ষটি সাজানো-গোছানো ছিল। কিন্তু এখন টিনের খোলামেলা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে দ্রুত নতুন ভবন তৈরি জরুরি বলে মনে করি।'
গত মে মাসে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতিমা বেগম বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে ভবনটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন। সে সময় তিনি ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দিন। একই সঙ্গে সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা অন্যদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞার পর বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ছোট দুইটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। সেখানেই এখন শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহ্বুবুল নেছা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়জন শিক্ষক ও ১৫৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর বিকল্প হিসেবে টিনের ঘর নির্মাণ করে শ্রেনি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোদের সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিঘ্নিত হওয়ায় ৬টি বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন গরমে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয়। এখন বর্ষাকাল, বৃষ্টি নামলে টিনের ওপর শব্দ ও বৃষ্টির ঝাপটায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকছে না। গত দুই মাস ধরে এভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম চলছে।
প্রধান শিক্ষক মাহ্বুবুল নেছা আরও বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নতুন ভবনের চাহিদা জমা দিয়েছি। দ্রুত ভবন বরাদ্দ না পেলে শিক্ষা কার্যক্রমে অনেক ক্ষতি হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বন্ধ করে টিনের ঘরে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছেন তারা। খুব শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
পটুয়াখালীর কালিকাপুর ইউনিয়নের ১৭০নং পশ্চিম শারিকখারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। ছাদের পলেস্তরা খসে রড বেরিয়ে এসেছে, বিমে মরিচা ধরে গেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে পাশে টিনের ছাউনি তৈরি করে সেখানে চলছে পাঠদান। কিন্তু গ্রীষ্মকালে রোদের তীব্র গরম, বর্ষায় বৃষ্টির শব্দ ও ঝাপটায় মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পুরনো পাকা ভবনটিতে 'ঝুকিঁপূর্ণ' লেখা ব্যানার ঝোলানো রয়েছে। ভবনের দেয়াল, পিলার, ছাদ, বিম সবখানেই ফাটল। ভবনটির পশ্চিম পাশে নতুন দুইটি টিনের ঘরে পাঠদান চলছে। সেখানেই শিশুরা কোনোক্রমে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের পাকা ভবনটি নির্মিত হয় ১৯৯৩-৯৪ সালে। সে সময় একটি অফিস কক্ষ ও তিনটি শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। তবে এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ভবনটি সংস্কার কিংবা বিদ্যালয়ের জন্য নতুন কোনো ভবন নির্মাণ করা হয়নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রচণ্ড রোদ কিংবা ঝাপসা বৃষ্টির সময় টিনের ঘরে থাকা যায় না। রোদের সময় তীব্র গরম সহ্য করতে হয় তাদের। আবার সামান্য বৃষ্টিতেই থেমে যায় তাদের বিদ্যাশিক্ষা। বৃষ্টির ঝাপটা ও টিনের ওপর বৃষ্টির শব্দে ব্যাহত হয় পাঠদান।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম জানায়, বৃষ্টির সময় টিনে সৃষ্ট শব্দে পড়া সম্ভব হয় না। এছাড়াও বাতাসে বৃষ্টির ঝাপটা তাদের গায়ে লাগে। এ সময় বই-খাতাসহ শরীর যাতে ভিজে না যায়, সেদিকে খেয়াল চলে যায়। তাই পাঠে মনোযোগ আসে না।
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহান জানায়, রোদের সময় গরমেও কষ্ট হয় তাদের। রোদে ঘরের টিন গরম হয়ে শরীরে তাপ লাগে। আগে এই ঘরে ফ্যান ছিল। কিন্তু এখন সেগুলো না থাকায় সমস্যা বেশই হচ্ছে।
অভিভাবক ইশরাত জাহান কলি জানান, টিনের ঘরে শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগ থাকে না। তাই দ্রুত নতুন ভবন দরকার।
বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের ছাদ, দেয়াল, বিমের পলেস্তরা খসে পড়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। ছবি : রাজনীতি ডটকম
তিনি আরও বলেন, 'আমার মেয়ে তানহা এই বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ছে। শিশু শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় আগ্রহ সৃষ্টির জন্য সুন্দর শ্রেণিকক্ষ দরকার। এর আগে, পাকা ভবনের শ্রেণিকক্ষটি সাজানো-গোছানো ছিল। কিন্তু এখন টিনের খোলামেলা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হচ্ছে না। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে দ্রুত নতুন ভবন তৈরি জরুরি বলে মনে করি।'
গত মে মাসে পটুয়াখালী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতিমা বেগম বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে ভবনটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেন। সে সময় তিনি ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ, জরাজীর্ণ ও পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দিন। একই সঙ্গে সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা অন্যদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞার পর বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৫৩ শিক্ষার্থীর পাঠদানের জন্য ছোট দুইটি টিনের ঘর তৈরি করা হয়। সেখানেই এখন শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহ্বুবুল নেছা জানান, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়জন শিক্ষক ও ১৫৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পর বিকল্প হিসেবে টিনের ঘর নির্মাণ করে শ্রেনি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোদের সময় শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিঘ্নিত হওয়ায় ৬টি বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন গরমে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হয়। এখন বর্ষাকাল, বৃষ্টি নামলে টিনের ওপর শব্দ ও বৃষ্টির ঝাপটায় ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকছে না। গত দুই মাস ধরে এভাবেই শ্রেণি কার্যক্রম চলছে।
প্রধান শিক্ষক মাহ্বুবুল নেছা আরও বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে নতুন ভবনের চাহিদা জমা দিয়েছি। দ্রুত ভবন বরাদ্দ না পেলে শিক্ষা কার্যক্রমে অনেক ক্ষতি হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোল্লা বখতিয়ার রহমান বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বন্ধ করে টিনের ঘরে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছেন তারা। খুব শিগগিরই নতুন ভবন নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।
মস্তিষ্কের নিজের জন্যও তো কিছু সময় দরকার! যেমন, আমাদের মেমোরি কার্ড, যেটাকে আমরা স্মৃতি বলি। বহু পুরোনো স্মৃতি আমাদের মনে থাকে কেন?
১ দিন আগেব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
২ দিন আগেশুধু খাবারের অভাবেই ক্ষুধা লাগে না। চোখের ক্ষুধা আর মনের ক্ষুধার কথাও বলেছি। অর্থাৎ লোভনীয় কোনো খাবার দেখলে তোমার ক্ষুধা লাগতে পারে। আবার সুস্বাদু খাবারের গন্ধও তোমাকে ক্ষুধা পাইয়ে দিতে পারে।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিশারদ, পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকেরা ডাবের পানির গুণাবলি নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন এবং করছেন। ডাবের পানি শরীরের জন্য কতটা উপকারী, তা বোঝার জন্য আমাদের আগে জানতে হবে এর ভেতরের উপাদান সম্পর্কে।
২ দিন আগে