ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বিড়াল মানেই নরম তুলতুলে লোমে মোড়া এক আত্মনির্ভর প্রাণী, যার হেঁটে চলায় নীরবতা, চোখে রহস্য আর আচরণে একধরনের রাজকীয়তা। কিন্তু তার এই আত্মবিশ্বাসী স্বভাবটি হঠাৎ যেন গায়েব হয়ে যায় সামান্য এক বালতি পানি দেখলে! পানির সংস্পর্শে এলেই বেশিরভাগ গৃহপালিত বিড়াল পালিয়ে যায় বা রীতিমতো ভয় পেয়ে। কেউ কেউ আবার আচমকা আঁচড় দিয়ে বসে কিংবা দৌড়ে গা ঢাকা দেয়। তাহলে প্রশ্ন হলো, বিড়াল কেন পানি ভয় পায়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের যেতে হবে প্রাণীবিজ্ঞানের অতীত ইতিহাস ও আধুনিক গবেষণার দিকে।
প্রথমেই আসি বিবর্তনের কথায়। আজকের গৃহপালিত বিড়ালদের পূর্বপুরুষ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে বসবাসকারী 'আফ্রিকান ওয়াইল্ড ক্যাট' (African Wildcat)। এই বন্য বিড়ালদের প্রাকৃতিক আবাস ছিল শুষ্ক, রুক্ষ, বালুময় পরিবেশে, যেখানে পানির প্রবাহ ছিল খুবই কম। ফলে তাদের দেহ ও মন গঠিত হয়েছিল এমনভাবে, যাতে তারা কম পানিতে টিকে থাকতে পারে এবং পানির সংস্পর্শে যেতে না হয়। এই বিবর্তিত অভ্যাস আজও অনেক বিড়ালের জিনগত আচরণ হিসেবে রয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের প্রাণীচিকিৎসাবিদ ড. ডেনিয়েল ইলিন বলেন, “গৃহপালিত বিড়ালের বেশিরভাগই প্রাকৃতিকভাবে পানিতে ভেজা অপছন্দ করে, কারণ তাদের দেহে পানির সংস্পর্শ অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি করে। তাদের লোমে পানি জমে থাকলে সেটি শুকাতে সময় লাগে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। এটা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।”
বিড়ালের লোম অত্যন্ত ঘন ও সূক্ষ্ম। যখন এই লোম পানি শোষণ করে, তখন তা ভারী হয়ে যায় এবং বিড়ালের চলাচলে সমস্যা হয়। এ ছাড়া ভেজা লোম সহজে শুকায় না। এর ফলে বিড়ালের শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে, যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই বিড়াল স্বাভাবিকভাবেই পানি থেকে দূরে থাকতে চায়।
পানির ভয় অনেক সময় বিড়ালের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা থেকেও জন্ম নিতে পারে। ছোট বিড়ালকে জোর করে গোসল করানোর চেষ্টা করেন অনেকে। তখন খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি হয় বিড়ালের মনে। এসব বড় হওয়ার পর তারা পানি দেখলেই ভয় পায়। এটি একধরনের 'নেগেটিভ অ্যাসোসিয়েশন'।
তবে সব বিড়াল কিন্তু পানি ভয় পায় না। কিছু বিশেষ জাতের বিড়াল পানিতে সাঁতার কাটতে পর্যন্ত উপভোগ করে। যেমন তার্কিশ ভ্যান নামে পরিচিত একটি জাতের বিড়ালকে ‘সাঁতারু বিড়াল’ বলা হয়। তারা পানিতে খেলতে ভালোবাসে এবং নিজেরা স্বেচ্ছায় পানিতে নামে।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির প্রাণীব্যবহারবিজ্ঞানী ড. জেসপার হোয়েনিং বলেন, “সব বিড়ালের মধ্যেই পানির প্রতি ঘৃণা থাকে না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে পরিবেশ ও শেখার ওপর। যদি ছোটবেলা থেকেই বিড়ালকে ধীরে ধীরে পানি ও গোসলের সঙ্গে পরিচিত করানো যায়, তাহলে ভয় কমে যায়।”
আবার অনেকে বলে থাকেন, বিড়াল পানি ভয় পায় না, বরং তারা পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ভয় পায়। যেহেতু বিড়াল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণপ্রিয় প্রাণী—তারা পা ফেলার জায়গাটিও সতর্কভাবে দেখে নেয়—তাই পানির ওপর যখন তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়।
অন্যদিকে, বিখ্যাত প্রাণী মনোবিজ্ঞানী ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. জন ব্র্যাডশ বলেন, “বিড়ালের আচরণ মূলত তাদের নিরাপত্তাবোধের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। ভেজা শরীর তাদের অস্বস্তিকর করে তোলে। আর এই অস্বস্তি থেকেই আসে ভয় ও বিরক্তি।” তিনি আরও বলেন, “যেসব বিড়াল পানির আশেপাশে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পায়, তারা কিন্তু অনেক সময় পানির ধারেও থাকতে চায়।”
অবশ্য পানি বিড়ালের জন্য সবসময় খারাপ এমনও নয়। অনেক বিড়ালই দেখা যায় ট্যাপ থেকে পড়া পানির ফোঁটা নিয়ে খেলে, এমনকি মুখ দিয়ে ফোঁটা ধরে পানিও খায়। তারা মূলত চলমান পানির প্রতি আকৃষ্ট হয়, কারণ এটি তাদের কাছে বেশি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ মনে হয়। স্থির পানির বাটি থেকে তারা অনেক সময় পানি খেতে চায় না।
এই আচরণ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার প্রাণীবিজ্ঞানী ড. সারাহ এলিস বলেন, “বিড়াল প্রকৃতিগতভাবে খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রাণী। তাই অনেক সময় তারা পানি খাওয়ার বাটিতে গন্ধ পেলে বা তা অপরিষ্কার মনে হলে খেতে চায় না। চলমান পানি তাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।”
তবে গবেষণার বাইরে গিয়ে যদি আমরা সাধারণ অভিজ্ঞতা বলি, তাহলে দেখা যায়, বেশিরভাগ গৃহপালিত বিড়ালই পানি ঘেঁষতে চায় না। অনেক মালিক বিড়ালকে গোসল করাতে গিয়ে নাজেহাল হন। বিড়াল আঁচড় দেয়, লাফ দেয়, এমনকি গোসলের সময় চিৎকার করেও ওঠে।
এক্ষেত্রে পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, বিড়ালকে জোর করে গোসল না করিয়ে বরং তার শরীর নিয়মিত ব্রাশ করা, ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে দেওয়া, এবং প্রয়োজন হলে শুকনো শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভালো। কারণ বারবার পানি দিয়ে গোসল করালে বিড়ালের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং লোমের স্বাভাবিক তেল কমে যায়। এতে তার স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—বিড়ালদের পানির প্রতি এই 'ভয়' প্রকৃত অর্থে ভয় না, বরং অস্বস্তি, নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত একধরনের অনীহা। কিছু বিড়াল হয়তো খেলতে খেলতে পানির মধ্যে পা রাখে, আবার কেউ কেউ একফোঁটা পানিতে ভিজেই আতঙ্কে ছুটে পালায়।
এই বৈচিত্র্যই বিড়ালকে আরও রহস্যময় ও আকর্ষণীয় করে তোলে। হয়তো এটাই তাদের স্বভাব—তারা সবসময় নিজের ইচ্ছেতেই চলবে, মানুষের নিয়মে নয়। পানি খেতে চায়? খাবে। গোসল করতে চায় না? করবে না। এমনই স্বাধীনচেতা এই প্রাণী, যারা আপন ঘরে রাজা হয়েও রাজ্য চালায় নিজের নিয়মে।
সুতরাং, আপনার বিড়াল যদি পানির কাছে যেতে না চায়, তাকে জোর করবেন না। তার স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিন। আর আপনি যদি চান সে ধীরে ধীরে পানি পছন্দ করুক, তাহলে ছোট থেকে ধৈর্য ধরে তাকে প্রশিক্ষণ দিন। কারণ বিড়াল, ঠিক আমাদের মতোই, অভ্যাসের দ্বারা গড়ে ওঠে। যত্ন আর সহানুভূতির ছোঁয়াতেই তাকে পানির ভয় থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
আপনি চাইলে এই ফিচারটির জন্য একটি ওয়াটারকালার ইলাস্ট্রেশনও তৈরি করে দিতে পারি।
বিড়াল মানেই নরম তুলতুলে লোমে মোড়া এক আত্মনির্ভর প্রাণী, যার হেঁটে চলায় নীরবতা, চোখে রহস্য আর আচরণে একধরনের রাজকীয়তা। কিন্তু তার এই আত্মবিশ্বাসী স্বভাবটি হঠাৎ যেন গায়েব হয়ে যায় সামান্য এক বালতি পানি দেখলে! পানির সংস্পর্শে এলেই বেশিরভাগ গৃহপালিত বিড়াল পালিয়ে যায় বা রীতিমতো ভয় পেয়ে। কেউ কেউ আবার আচমকা আঁচড় দিয়ে বসে কিংবা দৌড়ে গা ঢাকা দেয়। তাহলে প্রশ্ন হলো, বিড়াল কেন পানি ভয় পায়?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের যেতে হবে প্রাণীবিজ্ঞানের অতীত ইতিহাস ও আধুনিক গবেষণার দিকে।
প্রথমেই আসি বিবর্তনের কথায়। আজকের গৃহপালিত বিড়ালদের পূর্বপুরুষ ছিল মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমিতে বসবাসকারী 'আফ্রিকান ওয়াইল্ড ক্যাট' (African Wildcat)। এই বন্য বিড়ালদের প্রাকৃতিক আবাস ছিল শুষ্ক, রুক্ষ, বালুময় পরিবেশে, যেখানে পানির প্রবাহ ছিল খুবই কম। ফলে তাদের দেহ ও মন গঠিত হয়েছিল এমনভাবে, যাতে তারা কম পানিতে টিকে থাকতে পারে এবং পানির সংস্পর্শে যেতে না হয়। এই বিবর্তিত অভ্যাস আজও অনেক বিড়ালের জিনগত আচরণ হিসেবে রয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটির কলেজ অব ভেটেরিনারি মেডিসিনের প্রাণীচিকিৎসাবিদ ড. ডেনিয়েল ইলিন বলেন, “গৃহপালিত বিড়ালের বেশিরভাগই প্রাকৃতিকভাবে পানিতে ভেজা অপছন্দ করে, কারণ তাদের দেহে পানির সংস্পর্শ অস্বস্তিকর অনুভূতি তৈরি করে। তাদের লোমে পানি জমে থাকলে সেটি শুকাতে সময় লাগে এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। এটা তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।”
বিড়ালের লোম অত্যন্ত ঘন ও সূক্ষ্ম। যখন এই লোম পানি শোষণ করে, তখন তা ভারী হয়ে যায় এবং বিড়ালের চলাচলে সমস্যা হয়। এ ছাড়া ভেজা লোম সহজে শুকায় না। এর ফলে বিড়ালের শরীর ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে, যা অসুস্থতার কারণ হতে পারে। তাই বিড়াল স্বাভাবিকভাবেই পানি থেকে দূরে থাকতে চায়।
পানির ভয় অনেক সময় বিড়ালের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা থেকেও জন্ম নিতে পারে। ছোট বিড়ালকে জোর করে গোসল করানোর চেষ্টা করেন অনেকে। তখন খারাপ অভিজ্ঞতা তৈরি হয় বিড়ালের মনে। এসব বড় হওয়ার পর তারা পানি দেখলেই ভয় পায়। এটি একধরনের 'নেগেটিভ অ্যাসোসিয়েশন'।
তবে সব বিড়াল কিন্তু পানি ভয় পায় না। কিছু বিশেষ জাতের বিড়াল পানিতে সাঁতার কাটতে পর্যন্ত উপভোগ করে। যেমন তার্কিশ ভ্যান নামে পরিচিত একটি জাতের বিড়ালকে ‘সাঁতারু বিড়াল’ বলা হয়। তারা পানিতে খেলতে ভালোবাসে এবং নিজেরা স্বেচ্ছায় পানিতে নামে।
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইউনিভার্সিটির প্রাণীব্যবহারবিজ্ঞানী ড. জেসপার হোয়েনিং বলেন, “সব বিড়ালের মধ্যেই পানির প্রতি ঘৃণা থাকে না। এটা অনেকটাই নির্ভর করে পরিবেশ ও শেখার ওপর। যদি ছোটবেলা থেকেই বিড়ালকে ধীরে ধীরে পানি ও গোসলের সঙ্গে পরিচিত করানো যায়, তাহলে ভয় কমে যায়।”
আবার অনেকে বলে থাকেন, বিড়াল পানি ভয় পায় না, বরং তারা পানি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ভয় পায়। যেহেতু বিড়াল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণপ্রিয় প্রাণী—তারা পা ফেলার জায়গাটিও সতর্কভাবে দেখে নেয়—তাই পানির ওপর যখন তারা নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না, তখন তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়।
অন্যদিকে, বিখ্যাত প্রাণী মনোবিজ্ঞানী ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. জন ব্র্যাডশ বলেন, “বিড়ালের আচরণ মূলত তাদের নিরাপত্তাবোধের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। ভেজা শরীর তাদের অস্বস্তিকর করে তোলে। আর এই অস্বস্তি থেকেই আসে ভয় ও বিরক্তি।” তিনি আরও বলেন, “যেসব বিড়াল পানির আশেপাশে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা পায়, তারা কিন্তু অনেক সময় পানির ধারেও থাকতে চায়।”
অবশ্য পানি বিড়ালের জন্য সবসময় খারাপ এমনও নয়। অনেক বিড়ালই দেখা যায় ট্যাপ থেকে পড়া পানির ফোঁটা নিয়ে খেলে, এমনকি মুখ দিয়ে ফোঁটা ধরে পানিও খায়। তারা মূলত চলমান পানির প্রতি আকৃষ্ট হয়, কারণ এটি তাদের কাছে বেশি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ মনে হয়। স্থির পানির বাটি থেকে তারা অনেক সময় পানি খেতে চায় না।
এই আচরণ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ার প্রাণীবিজ্ঞানী ড. সারাহ এলিস বলেন, “বিড়াল প্রকৃতিগতভাবে খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন প্রাণী। তাই অনেক সময় তারা পানি খাওয়ার বাটিতে গন্ধ পেলে বা তা অপরিষ্কার মনে হলে খেতে চায় না। চলমান পানি তাদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়।”
তবে গবেষণার বাইরে গিয়ে যদি আমরা সাধারণ অভিজ্ঞতা বলি, তাহলে দেখা যায়, বেশিরভাগ গৃহপালিত বিড়ালই পানি ঘেঁষতে চায় না। অনেক মালিক বিড়ালকে গোসল করাতে গিয়ে নাজেহাল হন। বিড়াল আঁচড় দেয়, লাফ দেয়, এমনকি গোসলের সময় চিৎকার করেও ওঠে।
এক্ষেত্রে পশুচিকিৎসকদের পরামর্শ হলো, বিড়ালকে জোর করে গোসল না করিয়ে বরং তার শরীর নিয়মিত ব্রাশ করা, ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুছে দেওয়া, এবং প্রয়োজন হলে শুকনো শ্যাম্পু ব্যবহার করাই ভালো। কারণ বারবার পানি দিয়ে গোসল করালে বিড়ালের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে এবং লোমের স্বাভাবিক তেল কমে যায়। এতে তার স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—বিড়ালদের পানির প্রতি এই 'ভয়' প্রকৃত অর্থে ভয় না, বরং অস্বস্তি, নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং অতীত অভিজ্ঞতা থেকে উদ্ভূত একধরনের অনীহা। কিছু বিড়াল হয়তো খেলতে খেলতে পানির মধ্যে পা রাখে, আবার কেউ কেউ একফোঁটা পানিতে ভিজেই আতঙ্কে ছুটে পালায়।
এই বৈচিত্র্যই বিড়ালকে আরও রহস্যময় ও আকর্ষণীয় করে তোলে। হয়তো এটাই তাদের স্বভাব—তারা সবসময় নিজের ইচ্ছেতেই চলবে, মানুষের নিয়মে নয়। পানি খেতে চায়? খাবে। গোসল করতে চায় না? করবে না। এমনই স্বাধীনচেতা এই প্রাণী, যারা আপন ঘরে রাজা হয়েও রাজ্য চালায় নিজের নিয়মে।
সুতরাং, আপনার বিড়াল যদি পানির কাছে যেতে না চায়, তাকে জোর করবেন না। তার স্বাচ্ছন্দ্যকে প্রাধান্য দিন। আর আপনি যদি চান সে ধীরে ধীরে পানি পছন্দ করুক, তাহলে ছোট থেকে ধৈর্য ধরে তাকে প্রশিক্ষণ দিন। কারণ বিড়াল, ঠিক আমাদের মতোই, অভ্যাসের দ্বারা গড়ে ওঠে। যত্ন আর সহানুভূতির ছোঁয়াতেই তাকে পানির ভয় থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
আপনি চাইলে এই ফিচারটির জন্য একটি ওয়াটারকালার ইলাস্ট্রেশনও তৈরি করে দিতে পারি।
ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যবহারকারীরা স্টারলিংকের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ সময় প্রায় ৬১ হাজার ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
১ দিন আগেপ্রতিটি আধুনিক জেট বিমানে থাকে ইজেকশন সিট বা বহিষ্কারযোগ্য আসন। ইংরেজিতে যাকে বলে Ejection Seat, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পাইলট আসনসহ বিমানের বাইরে বের হয়ে আসতে পারেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। এই ব্যবস্থা মূলত বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পাইলটকে বিমান থেকে আলাদা করে দেয় এবং একটি প্যারাশুটের মাধ্যমে তাকে মাটিতে অ
৩ দিন আগে১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা শহরে পোস্টাগোলা এলাকায় এয়ার পেরাব্যাট এয়ারলাইন্সের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয় যান্ত্রিক সমস্যার কারণে। বিমানে ছিলেন প্রশিক্ষণকারী পাইলট ফারিয়া লারা ও কো‑পাইলট রফিকুল। উভয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয় এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। ফারিয়া লারা ছিলেন ঢাকায় বাসিন্দা, ঢ
৩ দিন আগেবিমানটি যখন আন্দিজ পর্বতমালা অতিক্রম করছিল, তখন আবহাওয়া দ্রুত খারাপ হয়ে যায়। মেঘে ঢেকে যায় চারপাশ, কমে আসে দৃশ্যমানতা। ভুল নির্দেশনা ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিমানটি আন্দিজ পর্বতমালার এক উঁচু অঞ্চলে ধাক্কা খায় এবং মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে বরফে ঢাকা পাহাড়ে। সে এক ভয়াবহ ধ্বংস।
৩ দিন আগে