ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
যুদ্ধবিমানের জগতে একটি নাম দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় আছে—এফ-৭। বিভিন্ন দেশের আকাশসীমায় দীর্ঘ ধরে এটা যেমন রাজত্ব করেছে, তেমনি সমালোচনার মুখেও পড়েছে। এফ-৭ যুদ্ধবিমান মূলত চীনে তৈরি একটি বিমান, যার ভিত্তি নেওয়া হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি মিগ-২১ থেকে। অর্থাৎ এটি একরকমের ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারড’ সংস্করণ। চীনে যার নাম রাখা হয়েছিল চেংদু এফ-৭ (Chengdu F-7)। অনেক দেশে এই বিমান এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে, আবার অনেক দেশ এটি সরিয়েও ফেলেছে।
এই বিমানের ইতিহাসে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত যুগান্তরের ছাপ। ১৯৬০-এর দশকে চীন যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান কেনে। তখন থেকেই তারা এর নিজস্ব সংস্করণ তৈরির উদ্যোগ নেয়। কারণ, সোভিয়েতরা পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে বিমান সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন চীনা প্রকৌশলীরা মিগ-২১ এর গঠন, কাঠামো, ইঞ্জিন ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে তৈরি করে এফ-৭। প্রথম উড়াল দেয় ১৯৬৬ সালে। পরে এই বিমানকে আধুনিক করে একাধিক সংস্করণ তৈরি করা হয়—এফ-৭এ, এফ-৭বি, এফ-৭এমজি, এফ-৭পিজি ইত্যাদি।
বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের (বিএএফ) ইতিহাসে এফ-৭ একটি বড় অধ্যায়। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশ যখন নিজেদের আকাশসীমা রক্ষায় আধুনিক যুদ্ধবিমান দরকার বুঝতে পারে, তখন তারা চীনের সঙ্গে চুক্তি করে এফ-৭ সংগ্রহ করে। পরে ২০০০-এর দশকে চীন আরও উন্নত সংস্করণ এফ-৭এমজি ও এফ-৭পিজি সরবরাহ করে। এই বিমানের সঙ্গে যুক্ত হয় আধুনিক রাডার, গাইডেড মিসাইল, এবং উন্নত ককপিট।
তবে এফ-৭ যুদ্ধবিমানের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে মতভেদ রয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত দ্রুতগামী (সুপারসনিক) বিমান। গতি প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা—যা শব্দের গতির দ্বিগুণ। ছোটখাট, হালকা ও তীক্ষ্ণ নকশার জন্য এটি আকাশে দ্রুত গতি ও বাঁক নিতে পারে। এটি প্রশিক্ষণ, টহল, এবং হালকা আক্রমণ মিশনের জন্য বেশ কার্যকর।
চেংদু অ্যারোনটিক্যাল ইন্সটিটিউটে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বিমান গবেষক এইয়াং ওয়েইচাং, তিনি বলেন—
“এফ-৭ তৈরি হয়েছিল এক বিশেষ সময়ে, বিশেষ প্রয়োজনে। এর শক্তি ছিল গতি ও সহজলভ্য। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি ছিল এক অর্থবহ সমাধান।”
কিন্তু আধুনিক যুদ্ধের জগতে আজ এফ-৭ অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে। এটি মূলত তৃতীয় প্রজন্মের বিমান। এর মধ্যে আধুনিক স্টিলথ টেকনোলজি, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, কিংবা মাল্টি-রোল ক্যাপাবিলিটি নেই। অর্থাৎ এটি একসঙ্গে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে না। এফ-৭ এর অস্ত্র বহন ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং এর রেঞ্জ বা দূরত্ব সীমিত। ফলে এটি দীর্ঘ সময় বা দূরপাল্লার মিশনে খুব বেশি কার্যকর নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ড. রবার্ট ফ্লেমিং বলেন, ‘এফ-৭ একটি চমৎকার এন্ট্রি-লেভেল যুদ্ধবিমান। কিন্তু আধুনিক এয়ার কমব্যাটে এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এটি এখন মূলত প্রতিস্থাপনের সময় গুনছে।’
বিশ্বের অনেক দেশ যেমন—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সুদান, নাজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কা এই বিমান ব্যবহার করেছে। পাকিস্তান তো এফ-৭ এর একটি বিশেষ সংস্করণ এফ-৭পি তৈরি করেছিল নিজেদের মতো করে। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে অনেক দেশই এটি সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ এখন এফ-১৬, জেএফ-১৭, রাফায়েল, কিংবা জে-১০সি-এর মতো আধুনিক চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মের বিমান ব্যবহার শুরু হয়েছে।
তবে একটি বিষয় বলতেই হয়, এফ-৭ এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কম। এটি সহজে পরিচালনা করা যায়, দ্রুত শিখে নেওয়া যায়। এজন্য এটি বহু দেশের নবীন পাইলটদের প্রশিক্ষণ বিমানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স-এ এই বিমান দিয়েই এখনো অনেক পাইলট তাদের প্রাথমিক যুদ্ধাভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
এফ-৭ এর কিছু বাস্তব মিশনও ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। পাকিস্তান এই বিমান দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধ করেছিল। শ্রীলঙ্কায় এটি লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলামের (LTTE) ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। নাইজেরিয়া এর মাধ্যমে বোকো হারাম দমন অভিযানে অংশ নিয়েছে। আবার ২০১৮ সালে বাংলাদেশে একটি এফ-৭এমজি বিধ্বস্ত হয়। পাইলটের নিরাপদ ইজেকশনের মাধ্যমে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। গতকাল ২৫ জুলাই ঢাকার উত্তারায় মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনের ওপর এফ-৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত পাইলটসহ মোট ২৭ জন নিহত হয়েছে।
এফ-৭ এর দুর্বলতা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি বলা হয় এর অ্যাভিওনিকস বা বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে। অনেক সময় এর রাডার খুব দূরের লক্ষ্য ধরতে পারে না, এর ককপিট ডিজাইন আধুনিক নয় এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাইলটদের জন্য খুব বেশি আরামদায়ক নয়। তবে চীন এই সমস্যা মেনে নিয়েই নতুন জে-১০, জে-২০ জাতীয় আধুনিক বিমান তৈরি করেছে।
চীনা ডিফেন্স অ্যানালিস্ট লিউ হুয়ানঝিং বলেন, “এফ-৭ ছিল আমাদের শেখার প্ল্যাটফর্ম। এর সীমাবদ্ধতা থেকেই আমরা জে-১০, জে-২০ এর মতো বিশ্বমানের বিমান বানাতে পেরেছি।”
তবে ইতিহাসে এফ-৭ থাকবে একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় হয়ে। এটি একদিকে সাশ্রয়ী, সহজ পরিচালনাযোগ্য যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত; অন্যদিকে একে ঘিরে রয়েছে সীমাবদ্ধতার বাস্তবতা। এই বিমান হয়তো আধুনিক যুদ্ধে এখন বড় কিছু করে দেখাতে পারবে না, কিন্তু এটি যে বহু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় দীর্ঘদিন নির্ভরতার প্রতীক ছিল—তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
যুদ্ধবিমানের জগতে একটি নাম দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় আছে—এফ-৭। বিভিন্ন দেশের আকাশসীমায় দীর্ঘ ধরে এটা যেমন রাজত্ব করেছে, তেমনি সমালোচনার মুখেও পড়েছে। এফ-৭ যুদ্ধবিমান মূলত চীনে তৈরি একটি বিমান, যার ভিত্তি নেওয়া হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি মিগ-২১ থেকে। অর্থাৎ এটি একরকমের ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারড’ সংস্করণ। চীনে যার নাম রাখা হয়েছিল চেংদু এফ-৭ (Chengdu F-7)। অনেক দেশে এই বিমান এখনো ব্যবহৃত হচ্ছে, আবার অনেক দেশ এটি সরিয়েও ফেলেছে।
এই বিমানের ইতিহাসে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত যুগান্তরের ছাপ। ১৯৬০-এর দশকে চীন যখন সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান কেনে। তখন থেকেই তারা এর নিজস্ব সংস্করণ তৈরির উদ্যোগ নেয়। কারণ, সোভিয়েতরা পরবর্তীতে রাজনৈতিক কারণে বিমান সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তখন চীনা প্রকৌশলীরা মিগ-২১ এর গঠন, কাঠামো, ইঞ্জিন ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে তৈরি করে এফ-৭। প্রথম উড়াল দেয় ১৯৬৬ সালে। পরে এই বিমানকে আধুনিক করে একাধিক সংস্করণ তৈরি করা হয়—এফ-৭এ, এফ-৭বি, এফ-৭এমজি, এফ-৭পিজি ইত্যাদি।
বাংলাদেশ এয়ার ফোর্সের (বিএএফ) ইতিহাসে এফ-৭ একটি বড় অধ্যায়। ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশ যখন নিজেদের আকাশসীমা রক্ষায় আধুনিক যুদ্ধবিমান দরকার বুঝতে পারে, তখন তারা চীনের সঙ্গে চুক্তি করে এফ-৭ সংগ্রহ করে। পরে ২০০০-এর দশকে চীন আরও উন্নত সংস্করণ এফ-৭এমজি ও এফ-৭পিজি সরবরাহ করে। এই বিমানের সঙ্গে যুক্ত হয় আধুনিক রাডার, গাইডেড মিসাইল, এবং উন্নত ককপিট।
তবে এফ-৭ যুদ্ধবিমানের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে মতভেদ রয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত দ্রুতগামী (সুপারসনিক) বিমান। গতি প্রায় ২,২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা—যা শব্দের গতির দ্বিগুণ। ছোটখাট, হালকা ও তীক্ষ্ণ নকশার জন্য এটি আকাশে দ্রুত গতি ও বাঁক নিতে পারে। এটি প্রশিক্ষণ, টহল, এবং হালকা আক্রমণ মিশনের জন্য বেশ কার্যকর।
চেংদু অ্যারোনটিক্যাল ইন্সটিটিউটে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বিমান গবেষক এইয়াং ওয়েইচাং, তিনি বলেন—
“এফ-৭ তৈরি হয়েছিল এক বিশেষ সময়ে, বিশেষ প্রয়োজনে। এর শক্তি ছিল গতি ও সহজলভ্য। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি ছিল এক অর্থবহ সমাধান।”
কিন্তু আধুনিক যুদ্ধের জগতে আজ এফ-৭ অনেক দিক থেকেই পিছিয়ে। এটি মূলত তৃতীয় প্রজন্মের বিমান। এর মধ্যে আধুনিক স্টিলথ টেকনোলজি, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, কিংবা মাল্টি-রোল ক্যাপাবিলিটি নেই। অর্থাৎ এটি একসঙ্গে অনেক ধরনের কাজ করতে পারে না। এফ-৭ এর অস্ত্র বহন ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম এবং এর রেঞ্জ বা দূরত্ব সীমিত। ফলে এটি দীর্ঘ সময় বা দূরপাল্লার মিশনে খুব বেশি কার্যকর নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ড. রবার্ট ফ্লেমিং বলেন, ‘এফ-৭ একটি চমৎকার এন্ট্রি-লেভেল যুদ্ধবিমান। কিন্তু আধুনিক এয়ার কমব্যাটে এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এটি এখন মূলত প্রতিস্থাপনের সময় গুনছে।’
বিশ্বের অনেক দেশ যেমন—বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার, সুদান, নাজেরিয়া ও শ্রীলঙ্কা এই বিমান ব্যবহার করেছে। পাকিস্তান তো এফ-৭ এর একটি বিশেষ সংস্করণ এফ-৭পি তৈরি করেছিল নিজেদের মতো করে। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে অনেক দেশই এটি সরিয়ে নিচ্ছে। কারণ এখন এফ-১৬, জেএফ-১৭, রাফায়েল, কিংবা জে-১০সি-এর মতো আধুনিক চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মের বিমান ব্যবহার শুরু হয়েছে।
তবে একটি বিষয় বলতেই হয়, এফ-৭ এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক কম। এটি সহজে পরিচালনা করা যায়, দ্রুত শিখে নেওয়া যায়। এজন্য এটি বহু দেশের নবীন পাইলটদের প্রশিক্ষণ বিমানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স-এ এই বিমান দিয়েই এখনো অনেক পাইলট তাদের প্রাথমিক যুদ্ধাভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
এফ-৭ এর কিছু বাস্তব মিশনও ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। পাকিস্তান এই বিমান দিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কারগিল যুদ্ধ করেছিল। শ্রীলঙ্কায় এটি লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলামের (LTTE) ঘাঁটিতে আক্রমণ চালিয়েছে। নাইজেরিয়া এর মাধ্যমে বোকো হারাম দমন অভিযানে অংশ নিয়েছে। আবার ২০১৮ সালে বাংলাদেশে একটি এফ-৭এমজি বিধ্বস্ত হয়। পাইলটের নিরাপদ ইজেকশনের মাধ্যমে বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। গতকাল ২৫ জুলাই ঢাকার উত্তারায় মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনের ওপর এফ-৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত পাইলটসহ মোট ২৭ জন নিহত হয়েছে।
এফ-৭ এর দুর্বলতা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি বলা হয় এর অ্যাভিওনিকস বা বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে। অনেক সময় এর রাডার খুব দূরের লক্ষ্য ধরতে পারে না, এর ককপিট ডিজাইন আধুনিক নয় এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাইলটদের জন্য খুব বেশি আরামদায়ক নয়। তবে চীন এই সমস্যা মেনে নিয়েই নতুন জে-১০, জে-২০ জাতীয় আধুনিক বিমান তৈরি করেছে।
চীনা ডিফেন্স অ্যানালিস্ট লিউ হুয়ানঝিং বলেন, “এফ-৭ ছিল আমাদের শেখার প্ল্যাটফর্ম। এর সীমাবদ্ধতা থেকেই আমরা জে-১০, জে-২০ এর মতো বিশ্বমানের বিমান বানাতে পেরেছি।”
তবে ইতিহাসে এফ-৭ থাকবে একটি ব্যতিক্রমী অধ্যায় হয়ে। এটি একদিকে সাশ্রয়ী, সহজ পরিচালনাযোগ্য যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত; অন্যদিকে একে ঘিরে রয়েছে সীমাবদ্ধতার বাস্তবতা। এই বিমান হয়তো আধুনিক যুদ্ধে এখন বড় কিছু করে দেখাতে পারবে না, কিন্তু এটি যে বহু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় দীর্ঘদিন নির্ভরতার প্রতীক ছিল—তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফরিদা সোমবার (২১ জুলাই) রাতে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন।
১ দিন আগেহামিদুজ্জামান খান শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না; তিনি ছিলেন এক নিবেদিত শিক্ষকও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করেছেন বহু বছর। তাঁর হাত ধরে অনেক নতুন ভাস্কর ও শিল্পীর জন্ম হয়েছে। তিনি শিল্পশিক্ষাকে শুধু কারিগরি দক্ষতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বরং চিন্তা, অনুভব ও ইতিহাসের গভীর পাঠের মধ
২ দিন আগেবাবর দিল্লি ও আগ্রা জয়ের পরও হুমকির মুখে পড়েছিলেন আফগানদের প্রতিরোধের কারণে। মাহমুদ লোদি, ইব্রাহিম লোদির ভাই, আফগানদের মধ্যে নিজেকে প্রকৃত সুলতান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছিলেন এবং বাংলার সুলতানের সহযোগিতা নিয়ে পূর্ব ভারতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। এদিকে বাবর তাঁর আত্মজীবনী ‘তুজুক-ই-বাবরি’তে উল্লেখ করেছেন য
২ দিন আগেবিশ্বের অনেক প্রাচীনতম কচ্ছপের বয়স ১৫০ থেকে ২০০ বছরের মধ্যে। “জনাথন” নামে একটি জায়ান্ট কচ্ছপের বয়স ১৯০ বছরেরও বেশি বলে মনে করা হয়। এটি বর্তমানে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে রয়েছে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী জীব হিসেবে পরিচিত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই অমিতায়ু জীবটির শরীরে এমন কী আছে যা আমাদের শরীরে নেই?
২ দিন আগে