বিবিসি
ইয়েমেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। হুতিদের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু রয়েছে পাঁচটি। এসব আহত হয়েছে ৯৮ জন।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন হুতি সদস্য রয়েছে। তবে হুতিদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
হুতি জানিয়েছে, রোববার রাতে বন্দরনগরী হুদাইদাতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এ বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে রোববার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইয়েমেনে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী শনিবার থেকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করেছে। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার কারণেই এই বিমান হামলা বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি বলেন, যতদিন পর্যন্ত মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাবে, ততদিন পর্যন্ত তার সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবিসি নিউজ ও ফক্স নিউজকে বলেন, শনিবারের হামলা ছিল একাধিক হুথি নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা তাদের অপ্রতিরোধ্য শক্তি দিয়ে হামলা করেছি এবং এর মাধ্যমে ইরানকে বোঝাতে চাই যথেষ্ট হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ হুতিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহতভাবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ফক্স টেলিভিশনকে তিনি বলেন, আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান নৌ পথের স্বাধীনতা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে পুনরুদ্ধারের অভিযান।
ইসরায়েল গাজা থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত হুতিরা লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে যাবে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে হামলারও জবাব দেবে তারা।
ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে নিজেদের শত্রু মনে করে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার না হলেও ইয়েমেনের সানা ও উত্তরপশ্চিমের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের ওপর নাক গলাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্তৃত্ব নেই। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।
এদিকে রোববার হুতিদের সামরিক মুখপাত্র কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই বলেছেন, মার্কিন হামলার জবাবে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান ও তাদের যুদ্ধ জাহাজকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রোববার মার্কিন যুদ্ধবিমান ১১টি হুতি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যেগুলোর একটিও ট্রুম্যানের কাছে ভিড়তে পারেনি।
শনিবার বিমান হামলার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের অর্থায়নে এই হুতি ডাকাতরা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সৈন্য ও মিত্রদের লক্ষ্য করেছে। তাদের জলদস্যুতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের এর জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এবং অনেকের জীবনকে হুমকিতে পড়েছে।
হুতিদের সরাসরি সম্বোধন করে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে লিখেছেন, যদি তারা না থামে, তোমাদের ওপর নরক বৃষ্টি হবে, যা তোমরা আগে কখনো দেখোনি।
তবে হুতিরা তাদের প্রতিজ্ঞায় অটল যে এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন কমাতে পারবে না। হুতিদের দাবি, তারা গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে। একই সঙ্গে তারা প্রায়ই মিথ্যা দাবি করে যে তারা শুধুমাত্র ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে কয়েক ডজন বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ছোট ছোট নৌকা দিয়ে হামলা করেছে। তারা দুইটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, তৃতীয় আরেকটি আটক করেছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে।
ইয়েমেন বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। হুতিদের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু রয়েছে পাঁচটি। এসব আহত হয়েছে ৯৮ জন।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন হুতি সদস্য রয়েছে। তবে হুতিদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
হুতি জানিয়েছে, রোববার রাতে বন্দরনগরী হুদাইদাতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। এ বিষয়ে এখনো কোন মন্তব্য করেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে রোববার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইয়েমেনে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মার্কিন বাহিনী শনিবার থেকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের বিমান হামলা শুরু করেছে। লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার কারণেই এই বিমান হামলা বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুতি বলেন, যতদিন পর্যন্ত মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাবে, ততদিন পর্যন্ত তার সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করে যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবিসি নিউজ ও ফক্স নিউজকে বলেন, শনিবারের হামলা ছিল একাধিক হুথি নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করে এবং তাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমরা তাদের অপ্রতিরোধ্য শক্তি দিয়ে হামলা করেছি এবং এর মাধ্যমে ইরানকে বোঝাতে চাই যথেষ্ট হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ হুতিদের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহতভাবে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ফক্স টেলিভিশনকে তিনি বলেন, আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান নৌ পথের স্বাধীনতা এবং প্রতিবন্ধকতা থেকে পুনরুদ্ধারের অভিযান।
ইসরায়েল গাজা থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত হুতিরা লোহিত সাগরে জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে যাবে বলে জানিয়েছে। একইসঙ্গে হামলারও জবাব দেবে তারা।
ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসরায়েলকে নিজেদের শত্রু মনে করে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার না হলেও ইয়েমেনের সানা ও উত্তরপশ্চিমের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইরানের পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণের ওপর নাক গলাতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কর্তৃত্ব নেই। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইসরায়েলি গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন। ইয়েমেনি জনগণকে হত্যা বন্ধ করুন।
এদিকে রোববার হুতিদের সামরিক মুখপাত্র কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই বলেছেন, মার্কিন হামলার জবাবে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান ও তাদের যুদ্ধ জাহাজকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রোববার মার্কিন যুদ্ধবিমান ১১টি হুতি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যেগুলোর একটিও ট্রুম্যানের কাছে ভিড়তে পারেনি।
শনিবার বিমান হামলার ঘোষণা দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের অপ্রতিরোধ্য প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, ইরানের অর্থায়নে এই হুতি ডাকাতরা যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সৈন্য ও মিত্রদের লক্ষ্য করেছে। তাদের জলদস্যুতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের এর জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে এবং অনেকের জীবনকে হুমকিতে পড়েছে।
হুতিদের সরাসরি সম্বোধন করে ট্রাম্প হুমকি দিয়ে লিখেছেন, যদি তারা না থামে, তোমাদের ওপর নরক বৃষ্টি হবে, যা তোমরা আগে কখনো দেখোনি।
তবে হুতিরা তাদের প্রতিজ্ঞায় অটল যে এই আগ্রাসন ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাদের সমর্থন কমাতে পারবে না। হুতিদের দাবি, তারা গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে। একই সঙ্গে তারা প্রায়ই মিথ্যা দাবি করে যে তারা শুধুমাত্র ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যের জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করছে।
২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে হুতিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে কয়েক ডজন বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ছোট ছোট নৌকা দিয়ে হামলা করেছে। তারা দুইটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, তৃতীয় আরেকটি আটক করেছে এবং চারজন নাবিককে হত্যা করেছে।
বিবিসি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসননীতি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারির অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও ‘সন্ত্রাসবাদে সহায়তা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা পরিষ্কার করেনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
১ দিন আগেগাজায় উদ্ধার প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অথবা রাস্তায় পড়ে আছেন তবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং সরঞ্জামের অভাবে জরুরি দল তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
১ দিন আগেএ বৈঠকের দিন-তারিখ নিয়ে অবশ্য কোনো তরহ্য মেলেনি। নির্ধারণ হয়নি বৈঠকের স্থানও। তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস আভাস দিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটি হতে পারে।
১ দিন আগেবৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। এ সময় জেলেনস্কি বলেন, কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সমর্থন আছে।
১ দিন আগে