ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে সহিংসতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিক্ষোভ দমনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। সহিংসতা ও সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশের গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন আইনপ্রণেতারা লিখেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গত জানুয়ারিতে একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন করেছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভের পর ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখে সরকার।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো সহিংসতা করেছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে পুলিশ, বিক্ষোভকারী, বিরোধী কর্মী ও সরকার-পন্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। এতে ১৭০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে।
ছাত্র বিক্ষোভের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞায় থাকা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে দাঙ্গা পুলিশ। এছাড়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কঠোর কারফিউ ও ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বিক্ষোভ দমনের জন্য ইন্টারনেটও বন্ধ করা হয়েছে।
এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করে তারা লিখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সকল সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসাথে বাংলাদেশের বিক্ষোভ দমনে যেসব সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
বাংলাদেশের এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হয় ওই চিঠিতে। এতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদার হতে হবে। যারা বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
এতে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেস-ম্যানরা বলেন, আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ মুক্ত হলেও এখনো অনেকেই কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকার বিরোধী সমালোচকরা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বর্তমানে বাংলাদেশে হয়রানি, নজরদারি কিংবা শারীরিক আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি কঠোর ডিজিটাল সেন্সরশিপ অব্যাহত রয়েছে বলেও বলা হয় চিঠিতে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশে শ্রম আইন ব্যবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হওয়া না পারার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ সালের বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও তুলে ধরা হয় এই চিঠিতে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশে সহিংসতা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২ জন সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ছাত্রদের বিক্ষোভ দমনে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। সহিংসতা ও সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
বাংলাদেশের গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মার্কিন আইনপ্রণেতারা লিখেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গত জানুয়ারিতে একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন করেছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বয়কট করেছিল। এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলের বিক্ষোভের পর ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখে সরকার।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জোরালো সহিংসতা করেছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরে পুলিশ, বিক্ষোভকারী, বিরোধী কর্মী ও সরকার-পন্থী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত হয়েছে। এতে ১৭০ জন নিহত ও কয়েক হাজার আহত হয়েছে।
ছাত্র বিক্ষোভের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞায় থাকা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করেছে দাঙ্গা পুলিশ। এছাড়া সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কঠোর কারফিউ ও ‘দেখামাত্র গুলি করার’ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বিক্ষোভ দমনের জন্য ইন্টারনেটও বন্ধ করা হয়েছে।
এসব ঘটনার কথা উল্লেখ করে তারা লিখেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সকল সহিংসতার নিন্দা করতে হবে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসাথে বাংলাদেশের বিক্ষোভ দমনে যেসব সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে।
বাংলাদেশের এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া হয় ওই চিঠিতে। এতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদার হতে হবে। যারা বাংলাদেশি জনগণের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের অধিকারের বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।
এতে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন সিনেটর ও কংগ্রেস-ম্যানরা বলেন, আটককৃতদের মধ্যে কেউ কেউ মুক্ত হলেও এখনো অনেকেই কারাগারে রয়েছেন।
এছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী এবং সরকার বিরোধী সমালোচকরা অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বর্তমানে বাংলাদেশে হয়রানি, নজরদারি কিংবা শারীরিক আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি কঠোর ডিজিটাল সেন্সরশিপ অব্যাহত রয়েছে বলেও বলা হয় চিঠিতে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশে শ্রম আইন ব্যবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হওয়া না পারার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ২০২১ সালের বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান বা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও তুলে ধরা হয় এই চিঠিতে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ওই ফল্টলাইনে ৮ মাত্রা বা তার বেশি শক্তির ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১৫ শতাংশ। এতে উপকূলীয় ভূমি সাড়ে ৬ ফুট পর্যন্ত ধসে যেতে পারে।
২০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ দূতাবাস (লিবিয়া) বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১ দিন আগেগাজায় খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া এবং লাগাতার সামরিক হামলার কারণে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের অবরোধ চলায় গাজায় অপুষ্টি মারাত্মকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, “এটি কেবল ক্ষুধা নয়, এটি হচ্ছে অনাহার।”
১ দিন আগেপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন এই 'সংঘাত' এর সমাধান করা 'কঠিন একটি কাজ'। তিনি এটিও স্বীকার করেছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সম্ভবত সংঘাতের ইতি টানতে আগ্রহী নন।
২ দিন আগে