গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে ট্রাম্পসহ ৪ রাষ্ট্রনায়কের সই

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
সোমবার মিশরের শান্তি সম্মেলনে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এরই মধ্যে সম্মত হয়ে যুদ্ধবিরতি শুরু করেছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এবার সেই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ চুক্তির মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

আল জাজিরা ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে এই চার বিশ্বনেতা গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন। এর মধ্য দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি পাকাপোক্ত হলো।

এর আগে গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ইসরায়েল ও হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। এর তিন দিনের মাথায় প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে সেই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সই করলেন চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

সোমবার মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে লোহিত সাগরের রিসোর্টে ‘শান্তি সম্মেলনে’ উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে সবার আগে যুদ্ধবিরতির নথিতে সই করেন ট্রাম্প। এরপর একে একে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সই করেন নথিতে।

চার রাষ্ট্রপ্রধানের সই করা এ নথি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে যুদ্ধবিরতির নথিতে সইয়ের পর ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।’ ট্রাম্প পরে জানান, শান্তি সম্মেলনে ভাষণ দেবেন এবং পার্শ্ব বৈঠকে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

এদিকে হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের গ্রহণ করে নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জিম্মিরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছেন।

রয়টার্সের খবরে বা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা শারীরিকভাবে মোটামুটি ভালো অবস্থায় রয়েছেন। তারা হাঁটতে পারছেন। আপাতত চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন পড়ছে না।

চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের কারাগারগুলো থেকেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া বন্দির সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

ইসরায়েল বলছে, বন্দিদের মধ্যে ২৫০ জন হত্যা ও আক্রমণসহ বিভিন্ন অপরাধে ইসরায়েলি আদালতে এক বা একাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন। পাশাপাশি দুই বছর ধরে গাজায় যুদ্ধ চলাকালে আটক এক হাজার ৭১৮ জন ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

আল জাজিরার আরেক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অধিগ্রহণ করা পশ্চিম তীরের ওফার কারাগার থেকে বাসে করে ফিলিস্তিনি বন্দিদের রামাল্লা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা বাস থেকে নামতে শুরু করলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আনন্দে ফেটে পড়েন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

দ্বিতীয় দফায় জীবিত বাকি ১৩ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

প্রথম দফার ৭ জিম্মির পর এবার দ্বিতীয় দফায় ১৩ ইসরায়েলি জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। জানা গেছে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) এসব ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

১২ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ট্রাম্প

জিম্মি মুক্তির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম ধাপে মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন ট্রাম্প।

১৪ ঘণ্টা আগে

হামাসের জিম্মি মুক্তি শুরু: প্রথম ধাপে ৭ ইসরায়েলিকে হস্তান্তর

জিম্মি মুক্তি কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'শান্তি পরিকল্পনা' অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

১৬ ঘণ্টা আগে

ট্রাম্প বললেন 'গাজায় যুদ্ধ শেষ', জিম্মি মুক্তির অপেক্ষায় ইসরায়েলিরা

কাতারের প্রশংসা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটির কৃতিত্ব পাওয়া উচিত।" আমি মনে করি যেভাবে কাতার আমাদের সহায়তা করেছে তা অসাধারণ"।

১৮ ঘণ্টা আগে