বিবিসি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পুন:নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে থাকা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে যাচ্ছেন কী না এমন গুঞ্জন অব্যাহত থাকার মধ্যেই শুক্রবার এমন বক্তব্য দিয়েছেন। বিবিসি
উইসকনসিনের ম্যাডিসনে এক সমাবেশে ৮১ বছর বয়স্ক এই নেতা সিএনএন এর প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে তার বিপর্যয়কর পারফরমেন্সের বিষয়টিও স্বীকার করেন।
“এরপর থেকে অনেক জল্পনা কল্পনা । জো কী করতে যাচ্ছে,” তিনি সমাবেশে বলছিলেন।
“আমার উত্তর হলো এই-আমি লড়ছি এবং আবারো জয়ী হতে যাচ্ছি,” মি. বাইডেন বলছিলেন। এ সময় সমর্থকরা তার নাম ধরে উল্লাস করেন।
উইসকনসিন এবারের নির্বাচনেও একটি নির্বাচনী রণক্ষেত্র বা ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত রাজ্য।
এটা নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যেতে তার সর্বশেষ অঙ্গীকার এবং এর মাধ্যমে তিনি ক্রমশ জমাট বেঁধে ওঠা একটি রাজনৈতিক সংকটকে নিরসনের চেষ্টা করছেন।
সতের মিনিটের বক্তৃতা, যেখানে তিনি ছিলেন বিতর্কের মঞ্চের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়, এমন সময় হলো যখন তার প্রচারের জন্য একটি কঠিন সময়। কারণ কিছু ডোনার ও ডেমোক্র্যাট সহযোগীরা বিবেচনা করছেন যে তার লড়াইয়ে থাকা উচিত কি-না।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তার প্রচার দল সচেতন যে আগামী কয়েকদিন মি. বাইডেনের পুন:নির্বাচন লড়াই দৃঢ় হবে কিংবা ভেঙ্গে যাবে।
রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিতর্কের পর তিনি যে সমর্থন হারিয়েছিলেন সেটিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন তিনি।
ম্যাডিসনে তার বক্তব্যের পর এবিসি নিউজের সাথে তার একটি সাক্ষাতকার প্রচারের কথা যেটি তার অঙ্গীকার ও ফিটনেস নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
মি. বাইডেন যখন সমাবেশের মঞ্চে উঠছিলেন তখন তিনি একজন ভোটারের পাশ কাটিয়ে যান যার হাতে একটি সাইন ছিলো এমন ‘পাস দ্যা টর্চ, জো’ অর্থাৎ ‘টর্চটা আরেকজনকে দাও, জো’। আরেকজন ভোট ভেন্যুর বাইরে বহন করছিলেন একটি লেখা ‘নিজের সুনাম রক্ষা করো, বিদায় নাও’।
“আমি এসব গল্প দেখছি যাতে বলা হচ্ছে আমি খুবই বয়স্ক,” বলছিলেন মি. বাইডেন। এরপর তিনি হোয়াইট হাউজে তার অর্জনের বর্ণনা দেন। “দেড় কোটি চাকরির সুযোগ তৈরির জন্য আমি কী খুব বয়স্ক ছিলাম,” বলছিলেন তিনি।
“আমি কী ৫০ লাখ আমেরিকানের জন্য শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের জন্য খুবই বয়স্ক ছিলাম?”
“আপনার কী মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে আমি খুবই বয়স্ক?” তিনি জানতে চান। এ সময় সমবেত জনতা ‘না’ বলে জবাব দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া এবং অন্য মামলাগুলোতে তিনি যেসব অভিযোগ মোকাবেলা করছেন সেগুলোর প্রসঙ্গ টেনে মি. বাইডেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে বলেন ‘এক-ব্যক্তির অপরাধ তরঙ্গ’।
প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পর মি. বাইডেনের ওপর সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে। অনেকগুলো ঘটনার কথা বলা হচ্ছে যেখানে তিনি চিন্তার খেই হারিয়েছিলেন, যা তার বয়স ও মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন ডোনার দলের প্রার্থী হিসেবে মি. বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন। তারা প্রকাশ্যেই সতর্ক করে বলেছেন প্রার্থী পরিবর্তন না হলে তারা তহবিল প্রত্যাহার করে নেবেন।
তার প্রচার দল আগ্রাসী প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। তার স্ত্রী জিল বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ব্যাপক প্রচারণার পরিকল্পনা করছেন। যেসব রাজ্যে দোলাচলে থাকা ভোটার বেশি অর্থাৎ যেগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত সেসব এলাকায় চলতি মাসেই সফর করবেন তারা।
রবিবার মি. বাইডেন নিজে পেনসিলভানিয়াতে সমাবেশে যোগ দিবেন। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টকে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে যদি মি. বাইডেন সরে দাঁড়ান।
বৃহস্পতিবার মি. বাইডেন স্বীকার করেন তিনি বিতর্কে গোলমাল পাকিয়েছেন। তিনি বিমান ভ্রমণ জনিত ক্লান্তিকে তার দুর্বল পারফরমেন্সের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন বিতর্কের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাননি ব্যস্ত ভ্রমণ শিডিউলের জন্য।
“আমি আমার কর্মকর্তাদের কথা শুনিনি...এবং এরপর মঞ্চে আমি প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছিলাম,” বলছিলেন তিনি। এবিসির সাথে প্রেসিডেন্টের ফ্রাইডে ইভনিং ইন্টারভিউতে তিনি ক্লান্তি ও ‘ঠাণ্ডা লাগা’র কথা আবার উল্লেখ করেন।
“আমি অসুস্থ ছিলাম। খুব বাজে লাগছিলো,” মি. বাইডেন বলছিলেন। তাকে বিতর্কের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরামর্শও দেয়া হয়েছিলো। “এটা ছিলো একটা বাজে পর্ব। মারাত্মক কিছুর লক্ষণ ছিলো না”।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবর অনুযায়ী মি. বাইডেনের সিনিয়র টিম তার প্রার্থিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতর থেকে আসা চাপের বিষয়ে সচেতন।
কংগ্রেসের চার ডেমোক্র্যাট সদস্য তাকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন- টেক্সাসের লয়েড ডগেট, অ্যারিজোনার রাউল গ্রিজালভা, ম্যাসাচুসেটস এর সেথ বোল্টন এবং ইলিনয় রাজ্যের মাইক কুইগলি।
“প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশকে যথেষ্ট সার্ভিস দিয়েছেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়তে নতুন প্রার্থীকে সুযোগ দিতে এখন তার আমাদের প্রতিষ্ঠাতা পিতা জর্জ ওয়াশিংটনের পদাঙ্ক অনুসরণের সময় এসেছে,” মি. বোল্টন বলছিলেন এক রেডিও সাক্ষাতকারে।
তবে ডেমোক্র্যাট পার্টির কোন সিনিয়র নেতা তাকে সরে দাঁড়াতে বলেন নি বলে জানিয়েছে তার প্রচার দল।
শুক্রবার খবর বেরোয় যে সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার অন্য ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের নিয়ে একটি দল গঠনের চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যেতে বলার জন্য।
খবরে বলা হয় মি. ওয়ার্নার সিএনএন বিতর্কের পর থেকেই উদ্বিগ্ন।
তবে শুক্রবার মি. বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি বুঝতে পারছেন মি. ওয়ার্নার ‘একমাত্র ব্যক্তি যিনি এটি চিন্তা করছেন’ এবং আর কেউ তাকে সরে যেতে বলেননি।
সেদিনই ম্যাসাচুসেটস গভর্নর মাউরা হিলে এক বিবৃতিতে মি. বাইডেনের প্রতি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী থাকার বিষয়টি নিয়ে ‘সতর্কভাবে পর্যালোচনা’ করার আহবান জানিয়েছেন।
“প্রেসিডেন্ট বাইডেন যা-ই সিদ্ধান্ত নিন, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সবকিছু করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পুন:নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে থাকা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারানোর জোরালো অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে যাচ্ছেন কী না এমন গুঞ্জন অব্যাহত থাকার মধ্যেই শুক্রবার এমন বক্তব্য দিয়েছেন। বিবিসি
উইসকনসিনের ম্যাডিসনে এক সমাবেশে ৮১ বছর বয়স্ক এই নেতা সিএনএন এর প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে তার বিপর্যয়কর পারফরমেন্সের বিষয়টিও স্বীকার করেন।
“এরপর থেকে অনেক জল্পনা কল্পনা । জো কী করতে যাচ্ছে,” তিনি সমাবেশে বলছিলেন।
“আমার উত্তর হলো এই-আমি লড়ছি এবং আবারো জয়ী হতে যাচ্ছি,” মি. বাইডেন বলছিলেন। এ সময় সমর্থকরা তার নাম ধরে উল্লাস করেন।
উইসকনসিন এবারের নির্বাচনেও একটি নির্বাচনী রণক্ষেত্র বা ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত রাজ্য।
এটা নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যেতে তার সর্বশেষ অঙ্গীকার এবং এর মাধ্যমে তিনি ক্রমশ জমাট বেঁধে ওঠা একটি রাজনৈতিক সংকটকে নিরসনের চেষ্টা করছেন।
সতের মিনিটের বক্তৃতা, যেখানে তিনি ছিলেন বিতর্কের মঞ্চের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়, এমন সময় হলো যখন তার প্রচারের জন্য একটি কঠিন সময়। কারণ কিছু ডোনার ও ডেমোক্র্যাট সহযোগীরা বিবেচনা করছেন যে তার লড়াইয়ে থাকা উচিত কি-না।
যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী তার প্রচার দল সচেতন যে আগামী কয়েকদিন মি. বাইডেনের পুন:নির্বাচন লড়াই দৃঢ় হবে কিংবা ভেঙ্গে যাবে।
রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বিতর্কের পর তিনি যে সমর্থন হারিয়েছিলেন সেটিকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন তিনি।
ম্যাডিসনে তার বক্তব্যের পর এবিসি নিউজের সাথে তার একটি সাক্ষাতকার প্রচারের কথা যেটি তার অঙ্গীকার ও ফিটনেস নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন।
মি. বাইডেন যখন সমাবেশের মঞ্চে উঠছিলেন তখন তিনি একজন ভোটারের পাশ কাটিয়ে যান যার হাতে একটি সাইন ছিলো এমন ‘পাস দ্যা টর্চ, জো’ অর্থাৎ ‘টর্চটা আরেকজনকে দাও, জো’। আরেকজন ভোট ভেন্যুর বাইরে বহন করছিলেন একটি লেখা ‘নিজের সুনাম রক্ষা করো, বিদায় নাও’।
“আমি এসব গল্প দেখছি যাতে বলা হচ্ছে আমি খুবই বয়স্ক,” বলছিলেন মি. বাইডেন। এরপর তিনি হোয়াইট হাউজে তার অর্জনের বর্ণনা দেন। “দেড় কোটি চাকরির সুযোগ তৈরির জন্য আমি কী খুব বয়স্ক ছিলাম,” বলছিলেন তিনি।
“আমি কী ৫০ লাখ আমেরিকানের জন্য শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের জন্য খুবই বয়স্ক ছিলাম?”
“আপনার কী মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে আমি খুবই বয়স্ক?” তিনি জানতে চান। এ সময় সমবেত জনতা ‘না’ বলে জবাব দেয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া এবং অন্য মামলাগুলোতে তিনি যেসব অভিযোগ মোকাবেলা করছেন সেগুলোর প্রসঙ্গ টেনে মি. বাইডেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে বলেন ‘এক-ব্যক্তির অপরাধ তরঙ্গ’।
প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের পর মি. বাইডেনের ওপর সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ বাড়ছে। অনেকগুলো ঘটনার কথা বলা হচ্ছে যেখানে তিনি চিন্তার খেই হারিয়েছিলেন, যা তার বয়স ও মানসিক সুস্থতা সম্পর্কে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন ডোনার দলের প্রার্থী হিসেবে মি. বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে চাপ দিচ্ছেন। তারা প্রকাশ্যেই সতর্ক করে বলেছেন প্রার্থী পরিবর্তন না হলে তারা তহবিল প্রত্যাহার করে নেবেন।
তার প্রচার দল আগ্রাসী প্রত্যাবর্তনের জন্য পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। তার স্ত্রী জিল বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ব্যাপক প্রচারণার পরিকল্পনা করছেন। যেসব রাজ্যে দোলাচলে থাকা ভোটার বেশি অর্থাৎ যেগুলো ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত সেসব এলাকায় চলতি মাসেই সফর করবেন তারা।
রবিবার মি. বাইডেন নিজে পেনসিলভানিয়াতে সমাবেশে যোগ দিবেন। তিনি ভাইস প্রেসিডেন্টকে তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যার নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে আসছে যদি মি. বাইডেন সরে দাঁড়ান।
বৃহস্পতিবার মি. বাইডেন স্বীকার করেন তিনি বিতর্কে গোলমাল পাকিয়েছেন। তিনি বিমান ভ্রমণ জনিত ক্লান্তিকে তার দুর্বল পারফরমেন্সের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন বিতর্কের আগে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাননি ব্যস্ত ভ্রমণ শিডিউলের জন্য।
“আমি আমার কর্মকর্তাদের কথা শুনিনি...এবং এরপর মঞ্চে আমি প্রায় ঘুমিয়ে পড়ছিলাম,” বলছিলেন তিনি। এবিসির সাথে প্রেসিডেন্টের ফ্রাইডে ইভনিং ইন্টারভিউতে তিনি ক্লান্তি ও ‘ঠাণ্ডা লাগা’র কথা আবার উল্লেখ করেন।
“আমি অসুস্থ ছিলাম। খুব বাজে লাগছিলো,” মি. বাইডেন বলছিলেন। তাকে বিতর্কের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরামর্শও দেয়া হয়েছিলো। “এটা ছিলো একটা বাজে পর্ব। মারাত্মক কিছুর লক্ষণ ছিলো না”।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবর অনুযায়ী মি. বাইডেনের সিনিয়র টিম তার প্রার্থিতার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতর থেকে আসা চাপের বিষয়ে সচেতন।
কংগ্রেসের চার ডেমোক্র্যাট সদস্য তাকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন- টেক্সাসের লয়েড ডগেট, অ্যারিজোনার রাউল গ্রিজালভা, ম্যাসাচুসেটস এর সেথ বোল্টন এবং ইলিনয় রাজ্যের মাইক কুইগলি।
“প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশকে যথেষ্ট সার্ভিস দিয়েছেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়তে নতুন প্রার্থীকে সুযোগ দিতে এখন তার আমাদের প্রতিষ্ঠাতা পিতা জর্জ ওয়াশিংটনের পদাঙ্ক অনুসরণের সময় এসেছে,” মি. বোল্টন বলছিলেন এক রেডিও সাক্ষাতকারে।
তবে ডেমোক্র্যাট পার্টির কোন সিনিয়র নেতা তাকে সরে দাঁড়াতে বলেন নি বলে জানিয়েছে তার প্রচার দল।
শুক্রবার খবর বেরোয় যে সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার অন্য ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের নিয়ে একটি দল গঠনের চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্টকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যেতে বলার জন্য।
খবরে বলা হয় মি. ওয়ার্নার সিএনএন বিতর্কের পর থেকেই উদ্বিগ্ন।
তবে শুক্রবার মি. বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি বুঝতে পারছেন মি. ওয়ার্নার ‘একমাত্র ব্যক্তি যিনি এটি চিন্তা করছেন’ এবং আর কেউ তাকে সরে যেতে বলেননি।
সেদিনই ম্যাসাচুসেটস গভর্নর মাউরা হিলে এক বিবৃতিতে মি. বাইডেনের প্রতি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী থাকার বিষয়টি নিয়ে ‘সতর্কভাবে পর্যালোচনা’ করার আহবান জানিয়েছেন।
“প্রেসিডেন্ট বাইডেন যা-ই সিদ্ধান্ত নিন, আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সবকিছু করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ,” বলেছেন তিনি।
প্রথম দফার ৭ জিম্মির পর এবার দ্বিতীয় দফায় ১৩ ইসরায়েলি জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। জানা গেছে, সোমবার (১৩ অক্টোবর) এসব ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেজিম্মি মুক্তির মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ ইসরায়েলে পৌঁছেছেন। সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম ধাপে মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে সেখানে পৌঁছেছেন ট্রাম্প।
১০ ঘণ্টা আগেজিম্মি মুক্তি কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'শান্তি পরিকল্পনা' অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেকাতারের প্রশংসা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দেশটির কৃতিত্ব পাওয়া উচিত।" আমি মনে করি যেভাবে কাতার আমাদের সহায়তা করেছে তা অসাধারণ"।
১৪ ঘণ্টা আগে