ট্রাম্প প্রশাসনে যারা থাকতে পারেন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হতে না হতেই আলোচনা শুরু হয়েছে নতুন প্রেসিডেন্টের প্রশাসন নিয়ে। কে কে থাকতে পারেন, সিনেটের নতুন নেতা কে হতে পারেন- সেসব নিয়েই এখন সরগরম ওয়াশিংটন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিগুলো কতটা রক্ষা করতে পারবেন, সেটি অনেকটাই নির্ভর করবে তার প্রশাসন গোছানোর ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের নিয়মানুসারে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি মন্ত্রিসভাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে যেসব নিয়োগ দেবেন, সেগুলোতে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের অনুমোদন লাগবে। সিনেট এখন রিপাবলিকান পার্টির দখলে। ফলে এটি নিয়ে খুব একটা ভাবতে হবে না ট্রাম্পকে।

তবে তিনি বলেছেন, সিনেটেরদের ভোটে যে নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন, তাকে অবশ্যই তার মনোনয়নগুলো দ্রুত অনুমোদন করার আগ্রহ থাকতে হবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লোরিডার সিনেটরকেই দেখা যাবে সিনেটের নেতা হিসেবে। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রিপাবলিকান পার্টির হাতে থাকায় এ দল থেকেই নির্বাচিত হবেন নেতা। সাধারণত গোপন ভোটের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচিত হয়। তবে আগেই ফ্লোরিডার সিনেটর রিক স্কটের ব্যাপারে গুঞ্জন রটেছে।

টেক্সাসের সিনেটর জন করনিন এবং সাউথ ডাকোটার সিনেটর জন থুনের নামও শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তারা কেউই ট্রাম্পের আস্থাভাজন না হওয়ায় রিক স্কটের সম্ভাবনাই বেশি। অ্যালাবামার টমি টিউবারভিলসহ বেশ কয়েকজনে স্কটকে সমর্থন করছেন।

রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র তার প্রসঙ্গে লিখেছেন ‘রিক স্কটকে ছাড়া ট্রাম্পের পুরো সংস্কার অ্যাজেন্ডা টলমল করবে।’ স্কট ইলন মাস্ক ও মার্ক রুবিওর সমর্থনও পেয়েছেন। সিনেটের বর্তমান রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল আগেই পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনে যারা থাকতে পারেন

প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রণ আসবে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। এটি হলে কংগ্রেসের উভয়কক্ষই তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসনে কারা কাজ করবেন তাদের পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি ওয়াইলসের নাম ঘোষণা করেছেন।

এর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভিভেক রামাস্বামীর নাম শোনা যাচ্ছে। অর্থমন্ত্রী হতে পারেন মার্কিন শতকোটিপতি স্কট বেসেন্ট। ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনে তিনি দশ লাখেরও বেশি ডলার ব্যয় করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে ক্রিস্টোফার মিলারকে। ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার সময় তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। দেশটির সামরিক বাহিনীর দেখভালের দায়িত্ব তিনি আবারও পেতে পারেন।

এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে টম হোম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির অন্যতম বড় সমর্থক তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো এবং সীমান্ত ‘বন্ধ’ করে দেওয়ার কাজ সামলানোর ভার তাকেই দেওয়া হতে পারে। সূত্র: বিবিসি

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৪ জনের মৃত্যু

অ্যাপার্টমেন্টগুলোর জানালা দিয়ে আগুনের শিখা বেরোতে দেখা গেছে। গোটা এলাকা ঢেকে গেছে ঘন কালো ধোঁয়ায়। দমকলকর্মীরা উঁচু মই ব্যবহার করে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকল বাহিনীর চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনও পুরোপুরি নেভানো যায়নি।

১৮ ঘণ্টা আগে

বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল শহর ঢাকা: জাতিসংঘ

জনবহুল শহরের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিও। তবে জাকার্তা এবং ঢাকার তুলনায় গত ২৫ বছরে শহরটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে।

১ দিন আগে

হংকংয়ে একাধিক ভবনে আগুন, বহু হতাহতের শঙ্কা

হংকংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্ট নামের বৃহৎ আবাসিক এলাকায় একাধিক টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি মুহূর্তেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দমকল ও জরুরি সেবা বিভাগ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে

১ দিন আগে

থাইল্যান্ডে ৩০০ বছরের রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ বৃষ্টি, নিহত ৩৩

থাইল্যান্ডে রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই দুর্যোগের ফলে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

১ দিন আগে