ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
যে কেউ মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে তাকে আর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই কোনো ছাড় দেবে না।
বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে মন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
রুবিও বলেন, আমেরিকানরা কেবল তাদের মতপ্রকাশের অধিকারের চর্চার কারণে অনেক দিন ধরেই জরিমানা ও হয়রানি এবং এমনকি বিদেশি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অভিযুক্ত হয়ে আসছে।
এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করছে বলে জানান মার্কো রুবিও। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নীতি গ্রহণ করছে, যার আওতায় বিশ্বের যেকোনো দেশের কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তি যদি আমেরিকানদের সেন্সর করার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমেরিকান জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি একটি জন্মগত অধিকার, যার ওপর বিদেশি সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই। যারা আমেরিকানদের অধিকার খর্ব করতে কাজ করে, তারা যেন আমাদের দেশে ভ্রমণের সুবিধা না পায়— সেটাই এখন থেকে আমাদের নীতি।’
‘লাতিন আমেরিকা হোক কিংবা ইউরোপ বা অন্য কোনো অঞ্চলই হোক— আমেরিকানদের অধিকার যারাই ক্ষুণ্ন করে থাকুক, তাদের প্রতি নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ,’— এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রুবিওর এ ঘোষণা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রুবিওর এই ঘোষণার মধ্যে এমন স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে শুধু মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতি দিয়ে থেমে থাকবে না, বরং প্রয়োজন হলে নীতি নির্ধারণ ও সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত ওইসব দেশ বা দেশের কর্মকর্তা ও নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের জন্য শাস্তি দেয়, কিংবা দূতাবাস বা কনস্যুলেট পর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই দেশটি বিভিন্ন দেশ বা ওইসব দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি দেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে দেশটি। বাংলাদেশের নামও এসেছে এই তালিকায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা হস্তক্ষেপ করছে বা করবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সরকারি দল বা বিরোধী দলের নেতাকর্মী— যে কেউই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
একই বছরের মে মাসে নাইজেরিয়ার সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সদস্য ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে জর্জিয়ার বিচার বিভাগে ‘গুরুতর দুর্নীতি’র অভিযোগে কয়েকজন বিচারপতি ও কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে ২০২৪ সালে ‘বিদেশি এজেন্ট’ আইন পাসের পর গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২৩ সালেরই ডিসেম্বরে সুদানে সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিদের, জিম্বাবুয়েতে নির্বাচনি কারচুপি ও রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িতদের এবং উগান্ডায় গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়াও ২০২৪ সালের এপ্রিলে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতাদের ওপর স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগে ১৩ ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ধারণা করা হয়, এই ব্যক্তিরা সম্ভবত ক্যানডিরু, এনএসও গ্রুপ, ইনটেলেক্সা ও সাইট্রক্সের মতো স্পাইওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ২০২১ ও ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন সরকার।
যে কেউ মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ করলে তাকে আর যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কাউকেই কোনো ছাড় দেবে না।
বুধবার (২৮ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে মন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।
রুবিও বলেন, আমেরিকানরা কেবল তাদের মতপ্রকাশের অধিকারের চর্চার কারণে অনেক দিন ধরেই জরিমানা ও হয়রানি এবং এমনকি বিদেশি কর্তৃপক্ষের দ্বারা অভিযুক্ত হয়ে আসছে।
এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতেই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করছে বলে জানান মার্কো রুবিও। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন এক নীতি গ্রহণ করছে, যার আওতায় বিশ্বের যেকোনো দেশের কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তি যদি আমেরিকানদের সেন্সর করার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায়, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আমেরিকান জীবনের অপরিহার্য অংশ। এটি একটি জন্মগত অধিকার, যার ওপর বিদেশি সরকারের কোনো কর্তৃত্ব নেই। যারা আমেরিকানদের অধিকার খর্ব করতে কাজ করে, তারা যেন আমাদের দেশে ভ্রমণের সুবিধা না পায়— সেটাই এখন থেকে আমাদের নীতি।’
‘লাতিন আমেরিকা হোক কিংবা ইউরোপ বা অন্য কোনো অঞ্চলই হোক— আমেরিকানদের অধিকার যারাই ক্ষুণ্ন করে থাকুক, তাদের প্রতি নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ,’— এভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রুবিওর এ ঘোষণা এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, রুবিওর এই ঘোষণার মধ্যে এমন স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা রয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র এখন থেকে শুধু মানবাধিকার নিয়ে বিবৃতি দিয়ে থেমে থাকবে না, বরং প্রয়োজন হলে নীতি নির্ধারণ ও সরাসরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত ওইসব দেশ বা দেশের কর্মকর্তা ও নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে, যারা প্রবাসী মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের জন্য শাস্তি দেয়, কিংবা দূতাবাস বা কনস্যুলেট পর্যায়ে চাপ প্রয়োগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময়েই দেশটি বিভিন্ন দেশ বা ওইসব দেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি দেশের জন্য ভিসানীতি ঘোষণা করে দেশটি। বাংলাদেশের নামও এসেছে এই তালিকায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যারা হস্তক্ষেপ করছে বা করবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থেকে শুরু করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সরকারি দল বা বিরোধী দলের নেতাকর্মী— যে কেউই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন। বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
একই বছরের মে মাসে নাইজেরিয়ার সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, ভোট কারচুপি ও সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। সে বছরের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র তালেবান সদস্য ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এদিকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে জর্জিয়ার বিচার বিভাগে ‘গুরুতর দুর্নীতি’র অভিযোগে কয়েকজন বিচারপতি ও কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে ২০২৪ সালে ‘বিদেশি এজেন্ট’ আইন পাসের পর গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
২০২৩ সালেরই ডিসেম্বরে সুদানে সংঘাত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিদের, জিম্বাবুয়েতে নির্বাচনি কারচুপি ও রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িতদের এবং উগান্ডায় গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়াও ২০২৪ সালের এপ্রিলে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও বিরোধী নেতাদের ওপর স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর অভিযোগে ১৩ ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ধারণা করা হয়, এই ব্যক্তিরা সম্ভবত ক্যানডিরু, এনএসও গ্রুপ, ইনটেলেক্সা ও সাইট্রক্সের মতো স্পাইওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত, যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ২০২১ ও ২০২৩ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন সরকার।
বাংলাদেশে অস্থিরতার জন্য ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ’ দায়ী বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্য নিয়ে অবশেষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। দেশটি বলছে, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই বাংলাদেশের সরকারপ্রধান তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভারতের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ৭০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এছাড়া ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের একমাত্র হাসপাতাল ‘আল-আওদা’ অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
১ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর ব্যাপকহারে শুল্ক আরোপের যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেটি আটকে দিয়েছে দেশটির এক আদালত। আদালতের এই রায়কে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির ওপর একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদম
২ দিন আগে