ডয়চে ভেলে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গাজা ভূখণ্ড নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি গাজার মালিকানা চান এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে পুনর্গঠনের কাজ করতে চান। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এনিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন।
গাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এর মালিকানা চাই। প্রথমে ভেঙে পড়া সব বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেব। জমি সমান করব। ওখানে যে বোমা ও অস্ত্র আছে সেটাও সরিয়ে দেব।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার পরিকল্পনা হলো, আর্থিক উন্নয়ন করা এবং স্থানীয় মানুষ যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান সেটা নিশ্চিত করা। বিশ্বের মানুষ সেখানে থাকবে। মানুষ শান্তিতে থাকবে। গাজার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা আছে। কিছু বড় কাজ সেখানে করতে হবে।
কিন্তু গাজা কোনো খালি জায়গা নয়। ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি মানুষ সেখানে বসবাস করেন। ট্রাম্পের প্রস্তাব, ফিলিস্তিনিদের গাজার বাইরে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হবে, যাতে তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
তিনি জর্ডান ও মিশরকে বলেছেন, তারা যেন হৃদয়কে প্রসারিত করে ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জমি দেয়। কিন্তু মিশর ও জর্ডান তাদের আগের অবস্থান থেকে সরছে না। তারা জানিয়েছে, তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের তাদের দেশে আশ্রয় দেবে না। ট্রাম্পের ঘোষণার পর দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করেন, কিন্তু গাজার মানুষদের সেদেশে নেয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।
আরব দুনিয়ার মত
জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের স্তেফান রোল গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘মিশরে এই ভাবে জমি দেয়া নিষিদ্ধ। বিশেষ করে পুনর্বাসন প্রকল্পকে মিশরের মানুষ ফিলিস্তিন-বিরোধী কার্যকলাপ মনে করে।’
জানুয়ারির শেষ দিকে এক সাক্ষাৎকারে রোল বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবিকে মিশর সমর্থন করে। কিন্তু তারা নিজের দেশে পুনর্বাসন প্রকল্প চায় না।’
আম্মানে পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ এডমুন্ড রাতকা ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘জর্ডান শুধু আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগীই নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থসাহায্যের উপর নির্ভরশীল।’
তার মতে, ‘ট্রাম্পের এই অবস্থান জর্ডার্নের রাজাকে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছে। একদিকে রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে, আবার তিনি ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রকল্পও চান না।’
তবে মিশরের আল-আহরাম সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক আশরফ আল-আশরি বলেছেন, ‘কোনো আরব নেতাই ইসরায়েল বা অ্যামেরিকার এই ধরনের প্রস্তাব মানবেন না। কোনো ফিলিস্তিনিকে স্থানচ্যূত না করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা মিশরের কাছে আছে।’
তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘জর্ডার্নের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি আগামী সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তাদের পরিকল্পনা পেশ করবেন।’
তিনি জানিয়েছেন, একাধিক পর্যায়ে গাজা ভূখণ্ডের পুনর্গঠন করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে রাফা ও দক্ষিণ গাজা থেকে। তারপর তা মধ্য গাজায় আসবে। শেষ পর্যায়ে উত্তর গাজায় কাজ হবে।
তিনি বলেছেন, ''আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলি প্রচুর অর্থ দেবে। ইইউ, জাতিসংঘের কাছ থেকেও অর্থ আসবে। অন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনও সাহায্য করবে। এই পরিস্থিতিতে আরব দেশগুলি এক হয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করবে। এই প্রস্তাব অবাস্তব ও অকার্যকর।."
যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না
বার্লিনের থিংক ট্যাংক জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স-এর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ পিটার লিন্টল মনে করেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অসম্পূর্ণ।’
তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘ট্রাম্প বন্ধুত্বের ভাব দেখিয়ে বলছেন, এই অঞ্চলের মানুষ আরো ভালোভাবে থাকবে এবং মিশরকে গাজার মানুষদের আশ্রয় দিতে হবে, কিন্তু বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেছেন, ‘যদি ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে যেতে না চান, তাহলে ট্রাম্প কী করবেন? এটা কি জোর করে করা হবে? অ্যামেরিকা ও ইসরায়েলের ভূমিকা কী হবে’
তিনি মনে করেন, ‘কীভাবে এই কাজ করতে চান, ট্রাম্প আগে সেটা বলুন। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে গাজার উত্তেজনা কমবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অর্থহীন। তার মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের ফলে গাজায় পুনর্গঠনের কাজে দেরি হতে পারে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গাজা ভূখণ্ড নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি গাজার মালিকানা চান এবং সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে পুনর্গঠনের কাজ করতে চান। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে এনিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন।
গাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এর মালিকানা চাই। প্রথমে ভেঙে পড়া সব বাড়ির ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেব। জমি সমান করব। ওখানে যে বোমা ও অস্ত্র আছে সেটাও সরিয়ে দেব।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার পরিকল্পনা হলো, আর্থিক উন্নয়ন করা এবং স্থানীয় মানুষ যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান সেটা নিশ্চিত করা। বিশ্বের মানুষ সেখানে থাকবে। মানুষ শান্তিতে থাকবে। গাজার অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা আছে। কিছু বড় কাজ সেখানে করতে হবে।
কিন্তু গাজা কোনো খালি জায়গা নয়। ২০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি মানুষ সেখানে বসবাস করেন। ট্রাম্পের প্রস্তাব, ফিলিস্তিনিদের গাজার বাইরে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হবে, যাতে তারা শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
তিনি জর্ডান ও মিশরকে বলেছেন, তারা যেন হৃদয়কে প্রসারিত করে ফিলিস্তিনিদের বসবাসের জমি দেয়। কিন্তু মিশর ও জর্ডান তাদের আগের অবস্থান থেকে সরছে না। তারা জানিয়েছে, তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের তাদের দেশে আশ্রয় দেবে না। ট্রাম্পের ঘোষণার পর দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করেন, কিন্তু গাজার মানুষদের সেদেশে নেয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।
আরব দুনিয়ার মত
জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্সের স্তেফান রোল গত সপ্তাহে বলেছিলেন, ‘মিশরে এই ভাবে জমি দেয়া নিষিদ্ধ। বিশেষ করে পুনর্বাসন প্রকল্পকে মিশরের মানুষ ফিলিস্তিন-বিরোধী কার্যকলাপ মনে করে।’
জানুয়ারির শেষ দিকে এক সাক্ষাৎকারে রোল বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবিকে মিশর সমর্থন করে। কিন্তু তারা নিজের দেশে পুনর্বাসন প্রকল্প চায় না।’
আম্মানে পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ এডমুন্ড রাতকা ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘জর্ডান শুধু আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগীই নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থসাহায্যের উপর নির্ভরশীল।’
তার মতে, ‘ট্রাম্পের এই অবস্থান জর্ডার্নের রাজাকে অত্যন্ত অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলেছে। একদিকে রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে, আবার তিনি ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন প্রকল্পও চান না।’
তবে মিশরের আল-আহরাম সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদক আশরফ আল-আশরি বলেছেন, ‘কোনো আরব নেতাই ইসরায়েল বা অ্যামেরিকার এই ধরনের প্রস্তাব মানবেন না। কোনো ফিলিস্তিনিকে স্থানচ্যূত না করে গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা মিশরের কাছে আছে।’
তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘জর্ডার্নের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ এল-সিসি আগামী সপ্তাহে ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তাদের পরিকল্পনা পেশ করবেন।’
তিনি জানিয়েছেন, একাধিক পর্যায়ে গাজা ভূখণ্ডের পুনর্গঠন করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। এই পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে রাফা ও দক্ষিণ গাজা থেকে। তারপর তা মধ্য গাজায় আসবে। শেষ পর্যায়ে উত্তর গাজায় কাজ হবে।
তিনি বলেছেন, ''আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলি প্রচুর অর্থ দেবে। ইইউ, জাতিসংঘের কাছ থেকেও অর্থ আসবে। অন্য আন্তর্জাতিক সংগঠনও সাহায্য করবে। এই পরিস্থিতিতে আরব দেশগুলি এক হয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্য়াখ্য়ান করবে। এই প্রস্তাব অবাস্তব ও অকার্যকর।."
যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না
বার্লিনের থিংক ট্যাংক জার্মান ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাফেয়ার্স-এর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ পিটার লিন্টল মনে করেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা অসম্পূর্ণ।’
তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ‘ট্রাম্প বন্ধুত্বের ভাব দেখিয়ে বলছেন, এই অঞ্চলের মানুষ আরো ভালোভাবে থাকবে এবং মিশরকে গাজার মানুষদের আশ্রয় দিতে হবে, কিন্তু বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেছেন, ‘যদি ফিলিস্তিনিরা গাজা ছেড়ে যেতে না চান, তাহলে ট্রাম্প কী করবেন? এটা কি জোর করে করা হবে? অ্যামেরিকা ও ইসরায়েলের ভূমিকা কী হবে’
তিনি মনে করেন, ‘কীভাবে এই কাজ করতে চান, ট্রাম্প আগে সেটা বলুন। সবচেয়ে বড় কথা, এর ফলে গাজার উত্তেজনা কমবে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা অর্থহীন। তার মতে, ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের ফলে গাজায় পুনর্গঠনের কাজে দেরি হতে পারে।’
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃষি, বাগান ও খনি খাতসহ মোট ১৩টি উপখাতে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের আবেদন গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে সার্ভিস সেক্টরের হোলসেল এন্ড রিটেল, ল্যান্ড ওয়্যারহাউস, সিকিউরিটি গার্ডস, মেটাল এন্ড স্ক্রাপ ম্যাটেরিয়ালস, রেস্তোরাঁস, লন্ড্রি, কার্গো, এন্ড বিল্ডিং ক্লিনিং খাতে শ্রমিক নিয়
২১ ঘণ্টা আগেআগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে চার মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আসছে নির্বাচন আন্তর্জাতিক মানের অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে প্রত্যাশা করি। সেপ্টেম্বরে আমাদের বিশেষজ্ঞ পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে আসবে।
১ দিন আগেট্রাম্পের সঙ্গে সোমবারের এ বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সেরা বৈঠক’ মন্তব্য করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয়ই করবে না, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদারও হবে- স্পষ্ট এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি বড় একটি অগ্রগতি বলে আমি মনে করি।’
১ দিন আগেএই বৈঠকেই গুরুত্ব পায় যুদ্ধবিরতি বা স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি। ট্রাম্প সেখানে বলেন- যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার আগে যুদ্ধবিরতি জরুরি নয়।
১ দিন আগে