ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত\n
খবরে বলা হয়েছে, বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ ও বিতরণের একটি পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা। এর ফলে দুই মাস ধরে সেখানে ত্রাণ সরবরাহে যে অবরোধ, তার অবসান হতে পারে। ওই অবরোধের কারণে সেখানে খাবার ও অন্যান্য জরুরি জিনিসপত্রের ব্যাপক সংকট দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলো বলছে, এ প্রস্তাব মানবিক সহায়তা কর্মকাণ্ডের মূল নীতির বিরোধী এবং তারা এতে কোনো সহায়তা করবে না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় গাজায় হামলা বাড়ানোর নিয়ে বৈঠকে বসে। সেসব বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে খবরে বলা হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক মাস ধরে পর্যায়ক্রমে গাজায় সামরিক হামলা বাড়ানোর প্রস্তাবটি সর্বসম্মিতক্রমে অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রথম পর্যায়ে গাজার আরও কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে থাকা বাফার জোনের এলাকা বাড়ানো হবে। এর ফলে হামাসের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি আলোচনায় বাড়তি সুবিধা পাবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দেশটির পত্রিকা হারেৎজকে বলেন, নেতানিয়াহু বলেছেন, এর ফলে রেইড দেওয়ার উদ্দেশ্যে অভিযানের বদলে সামরিক হামলার নতুন লক্ষ্য হবে গাজায় স্থায়ীভাবে দখল কায়েম করা এবং সেখানে ইসরায়েলের টেকসই উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
এর আগে রোববার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়েল যামিড বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের বলেন, গাজায় অভিযান আরও শক্তিশালী ও অভিযানের আওতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হাজার হাজার সংরক্ষিত সেনা ডেকে পাঠানো হয়েছে।