
বিবিসি বাংলা

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফ্লোরিডায় তাদের আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের বিষয়টিতে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ট্রাম্প এ-ও স্বীকার করেছেন যে, ভূখণ্ডের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিডায় হওয়া তাদের আলোচনাকে দারুণ বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘দু একটি জটিল বিষয়’ এখনো রয়ে গেছে—এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভূমির বিষয়।
মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, ২০-দফা শান্তি আলোচনার ৯০ ভাগের বিষয়েই সমঝোতা হয়েছে। আর ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি ‘প্রায় ৯০ ভাগ’ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি পরে বলেন, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে আবারও আলোচনায় বসবেন, যার লক্ষ্য হলো প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান করা।
“আমরা সব ইস্যুতেই অর্থবহ আলোচনা করেছি এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন ও আমেরিকান টিম যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তাকে আমরা গুরুত্ব দিই,” টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছিলো। ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

ট্রাম্প বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ঘোষণার বিষয়টির এখনো মীমাংসা হয়নি। ওই অঞ্চলের বড় অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
“সেখানকার কিছু এলাকা দখল করা হয়েছে। কিছু অংশ কয়েক মাসের মধ্যে দখল হয়ে যেতে পারে।”
মস্কো দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৭৫ শতাংশ ও লুহানস্কের ৯৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরোটা মিলেই দনবাস অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
রাশিয়া চায় সেখানকার যেটুকুতে এখনো ইউক্রেনের উপস্থিতি আছে সেখান থেকে ইউক্রেন সরে যাক। অন্যদিকে কিয়েভ চায় সেটি মুক্ত অর্থনৈতিক জোন হোক, যা ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউক্রেনের হারানো ভূখণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। ইউক্রেন সেটি ফেরত পেতে পারে, এমন কথা বলে তিনি সেপ্টেম্বরে পর্যবেক্ষকদের অবাক করে দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষার জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট বা সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অঙ্গীকার তিনি করেননি।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা ‘যথাসময়ে’ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যেসব জায়গায় যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি করছেন, সেই তালিকায় ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধকে জায়গা দিতে আগ্রহী। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আলোচনা ভেঙ্গে গেলে বা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প ফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনকে গণভোটের সুযোগ দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতিতে মস্কোর আগ্রহ কম।
“আমি তাদের অবস্থান বুঝতে পারছি,” বলেছেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়ুরি উশাকভ বলেছেন, ট্রাম্প ফোনকলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনি ও পুতিন যুদ্ধ অবসানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উশাকভ যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে ক্রেমলিনের কথা শুনেছেন এবং দুই প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি সংঘাতকে আরও প্রলম্বিত করবে।
জেলেনস্কি বলেছেন, জানুয়ারিতে ইউরোপীয় নেতাদের সাথে হোয়াইট হাউজে যেতে পারেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা এখন নতুন আলোচনার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন।
ওদিকে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ফ্লোরিডা আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে তিনি প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফ্লোরিডায় তাদের আলোচনায় যুদ্ধ অবসানের বিষয়টিতে অগ্রগতি হয়েছে। তবে ট্রাম্প এ-ও স্বীকার করেছেন যে, ভূখণ্ডের বিষয়টি অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিডায় হওয়া তাদের আলোচনাকে দারুণ বলে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘দু একটি জটিল বিষয়’ এখনো রয়ে গেছে—এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভূমির বিষয়।
মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি বলেন, ২০-দফা শান্তি আলোচনার ৯০ ভাগের বিষয়েই সমঝোতা হয়েছে। আর ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি ‘প্রায় ৯০ ভাগ’ হয়ে গেছে।
জেলেনস্কি পরে বলেন, উভয় দেশের প্রতিনিধিরা আগামী সপ্তাহে আবারও আলোচনায় বসবেন, যার লক্ষ্য হলো প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান করা।
“আমরা সব ইস্যুতেই অর্থবহ আলোচনা করেছি এবং গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেন ও আমেরিকান টিম যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তাকে আমরা গুরুত্ব দিই,” টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন।
রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করেছিলো। ইউক্রেনের ২০ শতাংশ ভূখণ্ড এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

ট্রাম্প বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলকে নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ঘোষণার বিষয়টির এখনো মীমাংসা হয়নি। ওই অঞ্চলের বড় অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
“সেখানকার কিছু এলাকা দখল করা হয়েছে। কিছু অংশ কয়েক মাসের মধ্যে দখল হয়ে যেতে পারে।”
মস্কো দোনেৎস্ক অঞ্চলের ৭৫ শতাংশ ও লুহানস্কের ৯৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। পুরোটা মিলেই দনবাস অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
রাশিয়া চায় সেখানকার যেটুকুতে এখনো ইউক্রেনের উপস্থিতি আছে সেখান থেকে ইউক্রেন সরে যাক। অন্যদিকে কিয়েভ চায় সেটি মুক্ত অর্থনৈতিক জোন হোক, যা ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইউক্রেনের হারানো ভূখণ্ডের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করেছেন। ইউক্রেন সেটি ফেরত পেতে পারে, এমন কথা বলে তিনি সেপ্টেম্বরে পর্যবেক্ষকদের অবাক করে দিয়েছিলেন।
ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভবিষ্যৎ হামলা থেকে ইউক্রেনকে সুরক্ষার জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট বা সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অঙ্গীকার তিনি করেননি।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা ‘যথাসময়ে’ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যেসব জায়গায় যুদ্ধ বন্ধ করার দাবি করছেন, সেই তালিকায় ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধকে জায়গা দিতে আগ্রহী। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আলোচনা ভেঙ্গে গেলে বা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ অব্যাহত থাকতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প ফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
তিনি অবশ্য স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনকে গণভোটের সুযোগ দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতিতে মস্কোর আগ্রহ কম।
“আমি তাদের অবস্থান বুঝতে পারছি,” বলেছেন ট্রাম্প।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইয়ুরি উশাকভ বলেছেন, ট্রাম্প ফোনকলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং তিনি ও পুতিন যুদ্ধ অবসানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
উশাকভ যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার সাবেক রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে ক্রেমলিনের কথা শুনেছেন এবং দুই প্রেসিডেন্ট একমত হয়েছেন যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি সংঘাতকে আরও প্রলম্বিত করবে।
জেলেনস্কি বলেছেন, জানুয়ারিতে ইউরোপীয় নেতাদের সাথে হোয়াইট হাউজে যেতে পারেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা এখন নতুন আলোচনার জন্য পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন।
ওদিকে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেয়েন ইউরোপীয় নেতাদের সাথে আলাপকালে বলেছেন, ফ্লোরিডা আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে। তবে তিনি প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন।

আগামীকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথম ধাপের ভোট শুরু হবে মিয়ানমারে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু হবে ১১ জানুয়ারি। এই দুই ধাপে দেশের ৩৩০টি প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে ২০২টিতে ভোট নেওয়া হবে। আগামী বছর ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
২ দিন আগে
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে আলোচনার পর জেলেনস্কি জানান, এই সংলাপে ‘নতুন কিছু ধারণা’ উঠে এসেছে যা সত্যিকারের শান্তির কাছাকাছি যেতে সহায়ক হতে পারে।
২ দিন আগে
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্বেষ চলছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমরা ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবকের সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা করি।’
৩ দিন আগে
বহুল আলোচিত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি কেলেঙ্কারি–সংক্রান্ত আরও একটি দুর্নীতির মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় দেন।
৩ দিন আগে