
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, ভারত সরকার কোনো আইনি সুরক্ষা ছাড়াই গত মে মাস থেকে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জোরপূর্বক বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অনেককে আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পরিচালিত কয়েকটি রাজ্যে রোহিঙ্গা ও বাংলাভাষী মুসলমানদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে অভিযান শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে অন্তত ১৯২ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যদিও তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরে নিবন্ধিত ছিলেন। এছাড়া আরও ৪০ জনকে নৌকায় তুলে মিয়ানমারের উপকূলের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। অনেকে অভিযানের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এইচআরডব্লিউয়ের এশিয়া পরিচালক ইলাইন পিয়ারসন বলেন, ভারত সরকারের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনকে অগ্রাহ্য করার উদাহরণ।
সংস্থাটি কক্সবাজারে নতুন আগত ৯ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আটক অবস্থায় পুলিশ মারধর করেছে, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। অনেকে কাশ্মীর, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছে গ্রেফতার এড়াতে।
ভারতে আনুমানিক ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাস করছে। তাদের অন্তত ২০ হাজার ইউএনএইচসিআর নিবন্ধিত। যদিও ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি, আন্তর্জাতিক আইনে শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো নিষিদ্ধ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে দিল্লি থেকে আটক ৪০ রোহিঙ্গাকে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পাঠিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। পরে মিয়ানমারের উপকূলে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে নামতে বাধ্য করা হয়।
এক শরণার্থী বলেন, আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আমরা সবাইকে মেরে ফেললেও কেউ জবাব চাইবে না।
এছাড়া হায়দরাবাদ থেকে পালানোর পথে পুলিশ চার বছরের শিশুসহ এক রোহিঙ্গা পরিবারকে বেদম প্রহার করেছে। সীমান্তে পুরুষদের লাঠিপেটা করে ভিডিও বানাতে বাধ্য করা হয়, যেখানে তাদের দিয়ে স্বীকার করানো হয় যে তারা বাংলাদেশি।
এখন ভারতে থাকা রোহিঙ্গারা তীব্র অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। জম্মুতে অন্তত ৩০ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, শিবির ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের ইউএনএইচসিআর কার্ড বা মিয়ানমারের জাতীয়তা নথি কোনো কিছুকেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমলে করছে না।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানি করে ঠিক করবেন রোহিঙ্গারা শরণার্থী নাকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তবে গত মে মাসে আদালত বহিষ্কার ঠেকাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসার অভিযোগকে সুন্দরভাবে সাজানো গল্প বলে উড়িয়ে দেন।
ইলাইন পিয়ারসন বলেন, ভারত সরকারকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভয় দেখানো, আটক ও অবৈধ বহিষ্কার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।'

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, ভারত সরকার কোনো আইনি সুরক্ষা ছাড়াই গত মে মাস থেকে শত শত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জোরপূর্বক বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় অনেককে আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পরিচালিত কয়েকটি রাজ্যে রোহিঙ্গা ও বাংলাভাষী মুসলমানদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ আখ্যা দিয়ে অভিযান শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে অন্তত ১৯২ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যদিও তারা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরে নিবন্ধিত ছিলেন। এছাড়া আরও ৪০ জনকে নৌকায় তুলে মিয়ানমারের উপকূলের কাছে ফেলে দেওয়া হয়। অনেকে অভিযানের ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এইচআরডব্লিউয়ের এশিয়া পরিচালক ইলাইন পিয়ারসন বলেন, ভারত সরকারের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনকে অগ্রাহ্য করার উদাহরণ।
সংস্থাটি কক্সবাজারে নতুন আগত ৯ জন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আটক অবস্থায় পুলিশ মারধর করেছে, টাকা-পয়সা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে। অনেকে কাশ্মীর, অন্ধ্রপ্রদেশ ও দিল্লি থেকে পালিয়ে এসেছে গ্রেফতার এড়াতে।
ভারতে আনুমানিক ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাস করছে। তাদের অন্তত ২০ হাজার ইউএনএইচসিআর নিবন্ধিত। যদিও ভারত ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি, আন্তর্জাতিক আইনে শরণার্থীদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো নিষিদ্ধ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসে দিল্লি থেকে আটক ৪০ রোহিঙ্গাকে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে পাঠিয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। পরে মিয়ানমারের উপকূলে নিয়ে গিয়ে সমুদ্রে নামতে বাধ্য করা হয়।
এক শরণার্থী বলেন, আমাদের সবচেয়ে ভয়ংকর অপরাধীর মতো ব্যবহার করা হয়েছিল। এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আমরা সবাইকে মেরে ফেললেও কেউ জবাব চাইবে না।
এছাড়া হায়দরাবাদ থেকে পালানোর পথে পুলিশ চার বছরের শিশুসহ এক রোহিঙ্গা পরিবারকে বেদম প্রহার করেছে। সীমান্তে পুরুষদের লাঠিপেটা করে ভিডিও বানাতে বাধ্য করা হয়, যেখানে তাদের দিয়ে স্বীকার করানো হয় যে তারা বাংলাদেশি।
এখন ভারতে থাকা রোহিঙ্গারা তীব্র অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। জম্মুতে অন্তত ৩০ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, শিবির ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, তাদের ইউএনএইচসিআর কার্ড বা মিয়ানমারের জাতীয়তা নথি কোনো কিছুকেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমলে করছে না।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুনানি করে ঠিক করবেন রোহিঙ্গারা শরণার্থী নাকি অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। তবে গত মে মাসে আদালত বহিষ্কার ঠেকাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং সমুদ্রে রোহিঙ্গাদের ফেলে আসার অভিযোগকে সুন্দরভাবে সাজানো গল্প বলে উড়িয়ে দেন।
ইলাইন পিয়ারসন বলেন, ভারত সরকারকে অবিলম্বে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভয় দেখানো, আটক ও অবৈধ বহিষ্কার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্বেষ চলছে, তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। আমরা ময়মনসিংহে এক হিন্দু যুবকের সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রত্যাশা করি।’
২ দিন আগে
বহুল আলোচিত রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি কেলেঙ্কারি–সংক্রান্ত আরও একটি দুর্নীতির মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাককে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্ট এ রায় দেন।
২ দিন আগে
২০২৪ সালের নভেম্বরের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান হওয়ার কথা থাকলেও, ইসরাইল লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং কৌশলগত বলে বিবেচিত পাঁচটি এলাকায় সেনা মোতায়েন রেখেছে।
২ দিন আগে
দীর্ঘ দিন ধরেই জেলেনস্কিকে ‘অবৈধ’ দাবি করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, বর্তমানে ইউক্রেনের আইনি ক্ষমতা দেশটির পার্লামেন্টের হাতে রয়েছে। ফলে ‘অবৈধভাবে’ ক্ষমতায় থাকা জেলেনস্কিই শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর পথে ‘বড় বাধা’ বলে মনে করছে মস্কো।
২ দিন আগে