ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিলে জনতার ঢল নেমেছিল। ব্যাপক বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেখানে পদযাত্রায় অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ। মিছিলের সময় সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ বন্ধ হয়ে যায়। একই মিছিলে দেখা গেছে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ও ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রোববার ‘মার্চ ফর হিউম্যানিটি’ শীর্ষক এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার সিডনি শহর ভরে গিয়েছিল ফিলিস্তিনের পতাকায়। সেই পতাকা নিয়ে তারা যুক্ত হন ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিলে। তাদের মধ্যে অনেকে হাড়ি-পাতিল নিয়েও উপস্থিত হন, গাজায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করা দুর্ভিক্ষ বা অনাহারের প্রতীকী রূপ হিসেবে।
রোববার প্রচণ্ড বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস ছিল সিডনিতে। তবে সেসব উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন সড়কে। উইনিয়ার্ড স্টেশনের কাছে সিডনির সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের ল্যাং পার্ক থেকে দুপুর ১টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়।
ক্রমেই পদযাত্রা এগিয়ে যেতে থাকে সিডনি হারবার ব্রিজের দিকে। হারবার ব্রিজ পার হয়ে নর্থ সিডনির ব্র্যাডফিল্ড পার্কে বিকেল ৩টায় এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, পদযাত্রায় অংশ নেওয়াদের সিংহ ভাগ পরে নর্থ সিডনির ওয়াকার স্ট্রিট থেকে ইউ-টার্ন নিয়ে হারবার ব্রিজে ফিরে যান।
সিডনির পদযাত্রায় অংশ নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: এএফপি
ফিলিস্তিনের পক্ষে সড়কে নেমে আসা মানুষরা স্লোগান দেন— ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’। আয়োজকরা দাবি করেছেন, এ দিনের পদযাত্রায় এক লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন।
এই মিছিলেই দেখা গেছে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। গত বছর যুক্তরাজ্যের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান তিনি। রোববার সিডনিতে বিক্ষোভের ছবিতে অ্যাসাঞ্জের পাশে তার পরিবারের সদস্যদেরও দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক নেতা বব কারও তার সঙ্গে ছিলেন।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সিডনি শহর জুড়ে তারা কয়েক শ অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজাবাসীর ওপর ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে বামপন্থি গ্রিনস পার্টির সিনেটর মেহরিন ফারুকি। সিডনির ল্যাং পার্কে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই মিছিল ইতিহাস তৈরি করবে। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
রোববার মেলবোর্নেও ফিলিস্তিনের সমর্থনে একইরকম একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেখানেও বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন ফিলিস্তিনের পক্ষে।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ গাজার ৬০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খাদ্যের ঘাটতির ফলে ভূখণ্ডটি বিস্তৃত দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সরকার ও ত্রাণ সংস্থা এরই মধ্যে সতর্কও করেছে।
গাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এমন উদ্বেগ ও সমালোচনার মধ্যে কদিন আগেই ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা বলেছে, তারা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে। কেউ কেউ শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারও গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা এখনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত মঙ্গলবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়া আরও এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
এর আগে নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ ও রাজ্যটির প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে পদযাত্রাটির হারবার ব্রিজ দিয়ে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। ব্রিজটি শহরের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হওয়ায় পদযাত্রা হলে তা পরিবহন ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটাবে এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বাড়াবে বলে যুক্তি ছিল তাদের। কিন্তু শনিবার রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট পদযাত্রা হারবার ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ জানায়, তারা ব্রিজটির কাছে কয়েকশ পুলিশ মোতায়েন করছে। পদযাত্রাকারীদের শান্ত থাকার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিলে জনতার ঢল নেমেছিল। ব্যাপক বৃষ্টি উপেক্ষা করে সেখানে পদযাত্রায় অংশ নেন লক্ষাধিক মানুষ। মিছিলের সময় সিডনির আইকনিক হারবার ব্রিজ বন্ধ হয়ে যায়। একই মিছিলে দেখা গেছে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকেও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মানবিক সংকটে বিপর্যস্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা ভূখণ্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি ও ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে রোববার ‘মার্চ ফর হিউম্যানিটি’ শীর্ষক এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
খবরে বলা হয়েছে, রোববার সিডনি শহর ভরে গিয়েছিল ফিলিস্তিনের পতাকায়। সেই পতাকা নিয়ে তারা যুক্ত হন ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিলে। তাদের মধ্যে অনেকে হাড়ি-পাতিল নিয়েও উপস্থিত হন, গাজায় কৃত্রিমভাবে তৈরি করা দুর্ভিক্ষ বা অনাহারের প্রতীকী রূপ হিসেবে।
রোববার প্রচণ্ড বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস ছিল সিডনিতে। তবে সেসব উপেক্ষা করেই বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন সড়কে। উইনিয়ার্ড স্টেশনের কাছে সিডনির সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টের ল্যাং পার্ক থেকে দুপুর ১টার দিকে পদযাত্রা শুরু হয়।
ক্রমেই পদযাত্রা এগিয়ে যেতে থাকে সিডনি হারবার ব্রিজের দিকে। হারবার ব্রিজ পার হয়ে নর্থ সিডনির ব্র্যাডফিল্ড পার্কে বিকেল ৩টায় এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে, পদযাত্রায় অংশ নেওয়াদের সিংহ ভাগ পরে নর্থ সিডনির ওয়াকার স্ট্রিট থেকে ইউ-টার্ন নিয়ে হারবার ব্রিজে ফিরে যান।
সিডনির পদযাত্রায় অংশ নেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: এএফপি
ফিলিস্তিনের পক্ষে সড়কে নেমে আসা মানুষরা স্লোগান দেন— ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’, ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’। আয়োজকরা দাবি করেছেন, এ দিনের পদযাত্রায় এক লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন।
এই মিছিলেই দেখা গেছে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। গত বছর যুক্তরাজ্যের একটি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যান তিনি। রোববার সিডনিতে বিক্ষোভের ছবিতে অ্যাসাঞ্জের পাশে তার পরিবারের সদস্যদেরও দেখা গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক নেতা বব কারও তার সঙ্গে ছিলেন।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ বলেছে, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সিডনি শহর জুড়ে তারা কয়েক শ অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজাবাসীর ওপর ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে বামপন্থি গ্রিনস পার্টির সিনেটর মেহরিন ফারুকি। সিডনির ল্যাং পার্কে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই মিছিল ইতিহাস তৈরি করবে। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
রোববার মেলবোর্নেও ফিলিস্তিনের সমর্থনে একইরকম একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সেখানেও বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন ফিলিস্তিনের পক্ষে।
প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধ গাজার ৬০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। খাদ্যের ঘাটতির ফলে ভূখণ্ডটি বিস্তৃত দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে একাধিক সরকার ও ত্রাণ সংস্থা এরই মধ্যে সতর্কও করেছে।
গাজা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এমন উদ্বেগ ও সমালোচনার মধ্যে কদিন আগেই ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডা বলেছে, তারা ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে। কেউ কেউ শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারও গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে তারা এখনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। গত মঙ্গলবার অবশ্য অস্ট্রেলিয়া আরও এক ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পথে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
এর আগে নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ ও রাজ্যটির প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে পদযাত্রাটির হারবার ব্রিজ দিয়ে যাওয়া আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। ব্রিজটি শহরের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ হওয়ায় পদযাত্রা হলে তা পরিবহন ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটাবে এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি বাড়াবে বলে যুক্তি ছিল তাদের। কিন্তু শনিবার রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট পদযাত্রা হারবার ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
এরপর নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ জানায়, তারা ব্রিজটির কাছে কয়েকশ পুলিশ মোতায়েন করছে। পদযাত্রাকারীদের শান্ত থাকার জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
সাক্ষাৎকারে ফিল্ড মার্শাল মুনির পাকিস্তানের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন, যেখানে দেশটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো বন্ধুকে অন্যজনের জন্য বলি দেব না।’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদ
১৮ ঘণ্টা আগেন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুট এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারসহ আরও কয়েকজন নেতা ওয়াশিংটনে জেলেনস্কির সঙ্গে যোগ দেবেন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে।
১ দিন আগেপোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি চাইলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে পারেন, অথবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।
১ দিন আগেইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৬২ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে ।
১ দিন আগে