
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

পাকিস্তান উত্তর আফ্রিকার বিভক্ত দেশ লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) কাছে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে পাকিস্তানের চারজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এই অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি গত সপ্তাহে পূর্ব লিবিয়ার শহর বেনগাজিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও এলএনএর উপ–সর্বাধিনায়ক সাদ্দাম খলিফা হাফতারের মধ্যে এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত হয় বলে কর্মকর্তারা জানান।
টাইমস অব ইসলামাবাদ জানায়, পাকিস্তান ও লিবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) দিকে এগোচ্ছে, যার আওতায় ১৬ থেকে ১৮টি জেএফ–১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি থাকতে পারে। লিবিয়ার বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহু বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই অগ্রগতি আসে পাকিস্তানের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের বেনগাজি সফরের পর। সেখানে তিনি ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা জোরদারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
এদিকে রয়টার্সের বরাতে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা–সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত চার কর্মকর্তা চুক্তির সংবেদনশীলতার কারণে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০১১ সালে ন্যাটো–সমর্থিত গণঅভ্যুত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় অস্থিরতা চলছে এবং দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভক্ত। এ প্রেক্ষাপটে এলএনএর সঙ্গে যেকোনো অস্ত্র চুক্তিই বাড়তি নজরদারির মুখে পড়তে পারে।
চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে রয়টার্স যে খসড়া নথি দেখেছে, তাতে ১৬টি জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমান কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে। জেএফ–১৭ একটি বহু–ভূমিকা যুদ্ধবিমান, যা পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। সুপার মুশাক ব্যবহার করা হয় প্রাথমিক পাইলট প্রশিক্ষণে।
পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা তালিকাটি সঠিক বলে নিশ্চিত করেন। আরেক কর্মকর্তা জানান, তালিকাভুক্ত সব অস্ত্রই চুক্তির অংশ, তবে সঠিক সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তিতে স্থল, নৌ ও আকাশ—তিন ক্ষেত্রের সরঞ্জাম বিক্রির বিষয় রয়েছে, যা আড়াই বছরে ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। এতে জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। চার কর্মকর্তার মধ্যে দুজন বলেন, চুক্তির মূল্য ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর বাকি দুজনের মতে এর পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান এবং লিবিয়া ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি প্যাকেজগুলির মধ্যে একটি।
এলএনএর সরকারি মিডিয়া চ্যানেল রোববার জানায়, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে অস্ত্র বিক্রি, যৌথ প্রশিক্ষণ ও সামরিক উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত—তবে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
“আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি,” রোববার আল–হাদাথ টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে বলেন হাফতার।
বেনগাজির কর্তৃপক্ষও মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
জাতিসংঘ–স্বীকৃত সরকার অব ন্যাশনাল ইউনিটি (জিএনইউ), প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দবেইবার নেতৃত্বে, পশ্চিম লিবিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। আর হাফতারের এলএনএ পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়া, গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রসহ, নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পশ্চিমা সরকারের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না।
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা
২০১১ সাল থেকে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে, যার আওতায় অস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ হস্তান্তরের জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন প্রয়োজন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর জাতিসংঘে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানায়, লিবিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা “কার্যত অকার্যকর” রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু বিদেশি রাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ার বাহিনীগুলোকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ক্রমেই প্রকাশ্য অবস্থান নিচ্ছে।
পাকিস্তান বা লিবিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থেকে কোনো ছাড় চেয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের তিন কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি জাতিসংঘের কোনো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেনি। এক কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ার সঙ্গে চুক্তি করা একমাত্র দেশ পাকিস্তান নয়। আরেকজন জানান, হাফতারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তৃতীয় কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি রপ্তানি বাড়ায় বেনগাজির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কও উন্নত হচ্ছে।
নতুন বাজারের দিকে পাকিস্তান
দশকের পর দশক ধরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অভিজ্ঞতা এবং বিমান উৎপাদন ও ওভারহল, সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ ও নৌযান নির্মাণ–সমৃদ্ধ দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর ভর করে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ইসলামাবাদ মে মাসে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের বিমান বাহিনীর পারফরম্যান্সের কথাও তুলে ধরেছে।
“ভারতের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্বকে আমাদের উন্নত সক্ষমতা দেখিয়েছে,” রোববার আল–হাদাথকে দেওয়া বক্তব্যে বলেন সেনাপ্রধান মুনির।
পাকিস্তান চীন–সহযোগিতায় তৈরি জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমানকে তুলনামূলক কম খরচের বহু–ভূমিকা ফাইটার হিসেবে বাজারজাত করছে এবং পশ্চিমা সরবরাহ চেইনের বাইরে বিমান, প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ দিতে সক্ষম সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
এ ছাড়া পাকিস্তান উপসাগরীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্কও জোরদার করছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে ইসলামাবাদ এবং কাতারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনা চালিয়েছে।
লিবিয়ার এই চুক্তির মাধ্যমে উত্তর আফ্রিকায় পাকিস্তানের উপস্থিতি আরও বাড়বে—যে অঞ্চলে বিভক্ত নিরাপত্তা কাঠামো ও তেল–নির্ভর অর্থনীতির ওপর প্রভাব বিস্তারে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা চলছে।

পাকিস্তান উত্তর আফ্রিকার বিভক্ত দেশ লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) কাছে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে বলে পাকিস্তানের চারজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এই অস্ত্র বিক্রির চুক্তিটি গত সপ্তাহে পূর্ব লিবিয়ার শহর বেনগাজিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ও এলএনএর উপ–সর্বাধিনায়ক সাদ্দাম খলিফা হাফতারের মধ্যে এক বৈঠকের পর চূড়ান্ত হয় বলে কর্মকর্তারা জানান।
টাইমস অব ইসলামাবাদ জানায়, পাকিস্তান ও লিবিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) দিকে এগোচ্ছে, যার আওতায় ১৬ থেকে ১৮টি জেএফ–১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়টি থাকতে পারে। লিবিয়ার বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে এই উদ্যোগকে দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বহু বিলিয়ন ডলারের সম্ভাব্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই অগ্রগতি আসে পাকিস্তানের চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরের বেনগাজি সফরের পর। সেখানে তিনি ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতা জোরদারের বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।
এদিকে রয়টার্সের বরাতে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা–সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত চার কর্মকর্তা চুক্তির সংবেদনশীলতার কারণে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০১১ সালে ন্যাটো–সমর্থিত গণঅভ্যুত্থানে মুয়াম্মার গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় অস্থিরতা চলছে এবং দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভক্ত। এ প্রেক্ষাপটে এলএনএর সঙ্গে যেকোনো অস্ত্র চুক্তিই বাড়তি নজরদারির মুখে পড়তে পারে।
চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে রয়টার্স যে খসড়া নথি দেখেছে, তাতে ১৬টি জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমান এবং ১২টি সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমান কেনার কথা উল্লেখ রয়েছে। জেএফ–১৭ একটি বহু–ভূমিকা যুদ্ধবিমান, যা পাকিস্তান ও চীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি। সুপার মুশাক ব্যবহার করা হয় প্রাথমিক পাইলট প্রশিক্ষণে।
পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা তালিকাটি সঠিক বলে নিশ্চিত করেন। আরেক কর্মকর্তা জানান, তালিকাভুক্ত সব অস্ত্রই চুক্তির অংশ, তবে সঠিক সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তিতে স্থল, নৌ ও আকাশ—তিন ক্ষেত্রের সরঞ্জাম বিক্রির বিষয় রয়েছে, যা আড়াই বছরে ধাপে ধাপে সরবরাহ করা হবে। এতে জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। চার কর্মকর্তার মধ্যে দুজন বলেন, চুক্তির মূল্য ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি, আর বাকি দুজনের মতে এর পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান এবং লিবিয়া ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা পাকিস্তানের বৃহত্তম রপ্তানি প্যাকেজগুলির মধ্যে একটি।
এলএনএর সরকারি মিডিয়া চ্যানেল রোববার জানায়, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে অস্ত্র বিক্রি, যৌথ প্রশিক্ষণ ও সামরিক উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত—তবে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
“আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরুর ঘোষণা দিচ্ছি,” রোববার আল–হাদাথ টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে বলেন হাফতার।
বেনগাজির কর্তৃপক্ষও মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
জাতিসংঘ–স্বীকৃত সরকার অব ন্যাশনাল ইউনিটি (জিএনইউ), প্রধানমন্ত্রী আবদুলহামিদ দবেইবার নেতৃত্বে, পশ্চিম লিবিয়ার বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। আর হাফতারের এলএনএ পূর্ব ও দক্ষিণ লিবিয়া, গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্রসহ, নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পশ্চিমা সরকারের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না।
অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা
২০১১ সাল থেকে লিবিয়ার ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে, যার আওতায় অস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট উপকরণ হস্তান্তরের জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন প্রয়োজন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বর জাতিসংঘে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানায়, লিবিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা “কার্যত অকার্যকর” রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু বিদেশি রাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ার বাহিনীগুলোকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ক্রমেই প্রকাশ্য অবস্থান নিচ্ছে।
পাকিস্তান বা লিবিয়া জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা থেকে কোনো ছাড় চেয়েছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের তিন কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি জাতিসংঘের কোনো অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেনি। এক কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ার সঙ্গে চুক্তি করা একমাত্র দেশ পাকিস্তান নয়। আরেকজন জানান, হাফতারের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তৃতীয় কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি রপ্তানি বাড়ায় বেনগাজির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কও উন্নত হচ্ছে।
নতুন বাজারের দিকে পাকিস্তান
দশকের পর দশক ধরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের অভিজ্ঞতা এবং বিমান উৎপাদন ও ওভারহল, সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ ও নৌযান নির্মাণ–সমৃদ্ধ দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর ভর করে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ইসলামাবাদ মে মাসে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের বিমান বাহিনীর পারফরম্যান্সের কথাও তুলে ধরেছে।
“ভারতের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক যুদ্ধ বিশ্বকে আমাদের উন্নত সক্ষমতা দেখিয়েছে,” রোববার আল–হাদাথকে দেওয়া বক্তব্যে বলেন সেনাপ্রধান মুনির।
পাকিস্তান চীন–সহযোগিতায় তৈরি জেএফ–১৭ যুদ্ধবিমানকে তুলনামূলক কম খরচের বহু–ভূমিকা ফাইটার হিসেবে বাজারজাত করছে এবং পশ্চিমা সরবরাহ চেইনের বাইরে বিমান, প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ দিতে সক্ষম সরবরাহকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে।
এ ছাড়া পাকিস্তান উপসাগরীয় অংশীদারদের সঙ্গে নিরাপত্তা সম্পর্কও জোরদার করছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের সঙ্গে একটি কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে ইসলামাবাদ এবং কাতারের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা আলোচনা চালিয়েছে।
লিবিয়ার এই চুক্তির মাধ্যমে উত্তর আফ্রিকায় পাকিস্তানের উপস্থিতি আরও বাড়বে—যে অঞ্চলে বিভক্ত নিরাপত্তা কাঠামো ও তেল–নির্ভর অর্থনীতির ওপর প্রভাব বিস্তারে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতা চলছে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হলেও সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার কোনো চেষ্টা হয়নি বলে দাবি করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল। এ ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে 'বিভ্রান্তিকর' খবর প্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
২ দিন আগে
তবে এই অভিযানকে 'আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা' হিসেবে অভিহিত করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভেনেজুয়েলা সরকার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
২ দিন আগে
বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধার করা মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ও দাফনের প্রস্তুতির জন্য গাজা সিটির আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পরে সেগুলো মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল-বালাহর শহীদ কবরস্থানে দাফন করা হবে।
২ দিন আগে
রজব চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে অন্যতম একটি। মুসলিমদের কাছে রজব মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই মাস থেকেই মূলত পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়। রজব ও এর পরের মাস শা’বান শেষ হলেই আসে রহমতের মাস রমজান।
৩ দিন আগে