ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
তারুণ্যের বিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পর তিন দিন পেরোতে চলল। এর মধ্যেও ঠিক করা যায়নি, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে কার নেতৃত্বে। এ নিয়ে জেন-জি প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান দফায় দফায় বৈঠক করেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। এমনকি ‘জেন-জি’দের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান পদে যোগ্য ব্যক্তি নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
সরকার পতনের পর শুরুতে এ পদে আলোচনায় উঠে আসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেনের নাম। পরে নেপাল সুপ্রিম কোটের সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কিকেই ‘জেন-জি’রা অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এর মধ্যেই এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিংয়ের নাম।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে নানা সংকটের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে তরুণদের আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বল প্রয়োগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৯ জন নিহত হন। এর জেরে পরদিন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগে বাধ্য হন।
এরপর থেকেই নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে চলছে আলোচনা, যা এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের দিকে ধাবিত হয়নি বলেই জানা গেছে। নেপালি গণমাধ্যম খবরহাবের খবর বলছে, আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরেও এ নিয়ে বৈঠক করতে নেপালের প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে গেছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
নেপালের একাধিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের আনন্দবাজার বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নির্ধারণ নিয়ে ‘জেন-জি’দের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আন্দোলনের সময় তরুণদের পছন্দের শীর্ষে ছিলেন বলেন্দ্র শাহ। ৩৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজধানী কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, এই অস্থির সময়ে তিনিই হাল ধরতে পারেন নেপালের।
বুধবার অবশ্য চিত্র বদলে যায়। এ দিন সন্ধ্যার পর থেকেই নেপালের সুশীলা কর্কির নাম উঠে আসে আলোচনায়। ৭৩ বছর বয়সী কার্কি নেপাল সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি। স্বামী রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কার্কির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায় না। দুর্নীতিমুক্ত ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন— এমনটিই আলোচনা ছিল তরুণদের মধ্যে।
কাঠমান্ডু পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কাঠমান্ডুতে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকেও আন্দোলনকারীরা যুক্ত হন অনলাইনে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। সেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারী সুশীলাকে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নেন।
এদিকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার নেপালের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান একাধিকবার বৈঠকে বসেন তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। তবে এসব বৈঠক থেকে কারও নাম চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কুল মান ঘিসিংয়ের নাম উঠে আসে। ১৯৯৪ সালে তিনি দেশের বিদ্যুৎ বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন। নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রধানও হন।
ওই সময় চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগছিল নেপাল। দিনে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলত। কুল মান হাল ধরার পর বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়। নেপালে বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি দূর করার নেপথ্যে তার অবদানই মুখ্য বলে মনে করা হয়। এ কারণেই আন্দোলনকারীদের একাংশ মনে করছে, নেপালের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিবেশকেও আলোর পথে নিয়ে যেতে পারেন এই প্রকৌশলী।
নেপালে চলমান এই বিক্ষোভের মধ্যে আন্দোলনকারীরা এখনো পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবিতে অনড় রয়েছে। অন্যদিকে ‘জেন-জি’দের চিঠি দিয়ে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল বলেছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান চূড়ান্ত করা যাবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত।
এদিকে কাঠমান্ডু টাইমসের খবর বলছে, আজ শুক্রবারও রাজধানী কাঠমান্ডুতে জরুরি অবস্থা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে দোকানপাট ও বাজার খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন।
এ ছাড়া কাঠমান্ডুতে ধীরে ধীরে ব্যাংক পরিষেবা সচলের পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী। দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কার্যক্রমও রোববার থেকে শুরু হতে পারে।
তারুণ্যের বিক্ষোভের মুখে সরকার পতনের পর তিন দিন পেরোতে চলল। এর মধ্যেও ঠিক করা যায়নি, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে কার নেতৃত্বে। এ নিয়ে জেন-জি প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান দফায় দফায় বৈঠক করেও এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। এমনকি ‘জেন-জি’দের মধ্যেও অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান পদে যোগ্য ব্যক্তি নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।
সরকার পতনের পর শুরুতে এ পদে আলোচনায় উঠে আসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেনের নাম। পরে নেপাল সুপ্রিম কোটের সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কিকেই ‘জেন-জি’রা অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। এর মধ্যেই এ তালিকায় এবার যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী কুল মান ঘিসিংয়ের নাম।
দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে নানা সংকটের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়ে তরুণদের আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বল প্রয়োগে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৯ জন নিহত হন। এর জেরে পরদিন মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পদত্যাগে বাধ্য হন।
এরপর থেকেই নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন নিয়ে চলছে আলোচনা, যা এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তের দিকে ধাবিত হয়নি বলেই জানা গেছে। নেপালি গণমাধ্যম খবরহাবের খবর বলছে, আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরেও এ নিয়ে বৈঠক করতে নেপালের প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে গেছেন দেশটির সেনাপ্রধান।
নেপালের একাধিক গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের আনন্দবাজার বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান নির্ধারণ নিয়ে ‘জেন-জি’দের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। আন্দোলনের সময় তরুণদের পছন্দের শীর্ষে ছিলেন বলেন্দ্র শাহ। ৩৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রাজধানী কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছিল, এই অস্থির সময়ে তিনিই হাল ধরতে পারেন নেপালের।
বুধবার অবশ্য চিত্র বদলে যায়। এ দিন সন্ধ্যার পর থেকেই নেপালের সুশীলা কর্কির নাম উঠে আসে আলোচনায়। ৭৩ বছর বয়সী কার্কি নেপাল সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি। স্বামী রাজনীতিতে যুক্ত হলেও কার্কির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যায় না। দুর্নীতিমুক্ত ও ক্লিন ইমেজের অধিকারী কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন— এমনটিই আলোচনা ছিল তরুণদের মধ্যে।
কাঠমান্ডু পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কাঠমান্ডুতে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে বিভিন্ন জেলা থেকেও আন্দোলনকারীরা যুক্ত হন অনলাইনে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা। সেখানে পাঁচ হাজারেরও বেশি আন্দোলনকারী সুশীলাকে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে বেছে নেন।
এদিকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার নেপালের প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান একাধিকবার বৈঠকে বসেন তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। তবে এসব বৈঠক থেকে কারও নাম চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কুল মান ঘিসিংয়ের নাম উঠে আসে। ১৯৯৪ সালে তিনি দেশের বিদ্যুৎ বোর্ডে যোগ দিয়েছিলেন। নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রধানও হন।
ওই সময় চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগছিল নেপাল। দিনে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলত। কুল মান হাল ধরার পর বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়। নেপালে বিদ্যুতের দীর্ঘমেয়াদি ঘাটতি দূর করার নেপথ্যে তার অবদানই মুখ্য বলে মনে করা হয়। এ কারণেই আন্দোলনকারীদের একাংশ মনে করছে, নেপালের অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনৈতিক পরিবেশকেও আলোর পথে নিয়ে যেতে পারেন এই প্রকৌশলী।
নেপালে চলমান এই বিক্ষোভের মধ্যে আন্দোলনকারীরা এখনো পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করার দাবিতে অনড় রয়েছে। অন্যদিকে ‘জেন-জি’দের চিঠি দিয়ে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল বলেছেন, সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকে এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সব ধরনের চেষ্টা করছেন তিনি। এ পরিস্থিতিতে কবে নাগাদ নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান চূড়ান্ত করা যাবে, সেটি এখনো অনিশ্চিত।
এদিকে কাঠমান্ডু টাইমসের খবর বলছে, আজ শুক্রবারও রাজধানী কাঠমান্ডুতে জরুরি অবস্থা বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে দোকানপাট ও বাজার খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন।
এ ছাড়া কাঠমান্ডুতে ধীরে ধীরে ব্যাংক পরিষেবা সচলের পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী। দেশটির বিচার বিভাগ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের দাপ্তরিক কার্যক্রমও রোববার থেকে শুরু হতে পারে।