ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও জুটেছিল পরাজয়ের বেদনা। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্বল ফরম্যাট টি-টুয়েন্টিতে তাই খুব একটা আশা ছিল বললে ভুল হবে। সেই টি-টুয়েন্টিতেই কি না বাজিমাত!
স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান আর ওপেনার তানজিদ হাসানের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লংকানদের বড় ব্যবধানে হারাল টাইগাররা। তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে এই প্রথম কোনো টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাসও তৈরি হলো।
বুধবার (১৬ জুলাই) শ্রীলংকার কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা ৭ উইকেটে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ৮৩ রানে জিতেছিল সে ম্যাচে। তাতেই দুই সিরিজ হেরেও শেষ সিরিজটি জিতে লংকা সফর শেষ হলো লিটনদের।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিং পায় বাংলাদেশ। শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশাল মেন্ডিসকে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে কুশাল পেরেরাকে থামান সিরিজে প্রথম খেলতে নামা মেহেদি।
স্পিনার শেখ মেহেদিকে আর থামানো যায়নি। চার ওভার বল করে প্রতি ওভারেই তুলে নেন একটি করে উইকেট। এর মধ্যে এক ওভার নিয়েছেন মেডেন। ৪ ওভার শেষে তার ঝুলিতে ৪ উইকেট, রান দিয়েছেন মাত্র ১১। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা টি-টুয়েন্টি বোলিং ফিগার।
৪-১-১১-৪ বোলিং ফিগার নিয়ে লংকান ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেখ মেহেদি। ছবি: সংগৃহীত
শেখ মেহেদির স্পিন ঘূর্ণিতেই ১১ ওভারে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লংকানরা। পরে শামীম হোসেন আর মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট তুলে নিলে ১০৩ রানে সপ্তন উইকেটের পতন ঘটে। এই ভগ্নদশার মধ্যেও শরীফুলের করা শেষ ওভারে ২২ রান তুলে নিয়ে লংকানদের মোটামুটি ভদ্রস্থ পুঁজি এনে দেন দাসুন শানাকা।
শ্রীলংকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান (৩৯ বলে) করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। পরের দিকে কামিন্দু মেন্ডিস করেন ১৫ বলে ২১ রান, শানাকা করেন ২৫ বলে ৩৫ রান। আর কোনো লংকান ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয় শ্রীলংকার ইনিংস।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেসার নুয়ান থুশারার বলে লেগ বিফোর আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
শুরুর সেই ধাক্কা আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে সামাল দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারের তৃতীয় বলে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান করে।
২৭ বলে অর্ধশত পূরণের পর অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ছবি: সংগৃহীত
এরপর তাওহিদ হৃদয় ক্রিজে নামলে আর তাকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন তানজিদ। দুজনে গড়ে তোলেন ৪৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত জুটি। ততক্ষণে এক চার ও ৬ ছক্কায় ৪৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস গড়েছেন তানজিদ। একটি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়।
শ্রীলংকার পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন নুয়ান থুশারা ও কামিন্দু মেন্ডিস। বাকি চার লংকান বোলারের কেউ সাফল্যের মুখ দেখেননি।
১১ রানে ৪ উইকেটের অনবদ্য পরফরম্যান্সের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন শেখ মেহেদি। ৩ ম্যাচে এক অর্ধশতকসহ ১১৪ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন লিটন।
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও জুটেছিল পরাজয়ের বেদনা। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে দুর্বল ফরম্যাট টি-টুয়েন্টিতে তাই খুব একটা আশা ছিল বললে ভুল হবে। সেই টি-টুয়েন্টিতেই কি না বাজিমাত!
স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান আর ওপেনার তানজিদ হাসানের নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে লংকানদের বড় ব্যবধানে হারাল টাইগাররা। তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। শ্রীলংকার মাটিতে এই প্রথম কোনো টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের ইতিহাসও তৈরি হলো।
বুধবার (১৬ জুলাই) শ্রীলংকার কলম্বোয় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকা ৭ উইকেটে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। ৮৩ রানে জিতেছিল সে ম্যাচে। তাতেই দুই সিরিজ হেরেও শেষ সিরিজটি জিতে লংকা সফর শেষ হলো লিটনদের।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিং পায় বাংলাদেশ। শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম ওভারের শেষ বলে কুশাল মেন্ডিসকে ৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে কুশাল পেরেরাকে থামান সিরিজে প্রথম খেলতে নামা মেহেদি।
স্পিনার শেখ মেহেদিকে আর থামানো যায়নি। চার ওভার বল করে প্রতি ওভারেই তুলে নেন একটি করে উইকেট। এর মধ্যে এক ওভার নিয়েছেন মেডেন। ৪ ওভার শেষে তার ঝুলিতে ৪ উইকেট, রান দিয়েছেন মাত্র ১১। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা টি-টুয়েন্টি বোলিং ফিগার।
৪-১-১১-৪ বোলিং ফিগার নিয়ে লংকান ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শেখ মেহেদি। ছবি: সংগৃহীত
শেখ মেহেদির স্পিন ঘূর্ণিতেই ১১ ওভারে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লংকানরা। পরে শামীম হোসেন আর মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট তুলে নিলে ১০৩ রানে সপ্তন উইকেটের পতন ঘটে। এই ভগ্নদশার মধ্যেও শরীফুলের করা শেষ ওভারে ২২ রান তুলে নিয়ে লংকানদের মোটামুটি ভদ্রস্থ পুঁজি এনে দেন দাসুন শানাকা।
শ্রীলংকার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রান (৩৯ বলে) করেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। পরের দিকে কামিন্দু মেন্ডিস করেন ১৫ বলে ২১ রান, শানাকা করেন ২৫ বলে ৩৫ রান। আর কোনো লংকান ব্যাটার দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয় শ্রীলংকার ইনিংস।
১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পেসার নুয়ান থুশারার বলে লেগ বিফোর আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
শুরুর সেই ধাক্কা আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে সামাল দেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৫০ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারের তৃতীয় বলে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে লিটন প্যাভিলিয়নে ফেরেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ বলে ৩২ রান করে।
২৭ বলে অর্ধশত পূরণের পর অপরাজিত থেকেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন তানজিদ হাসান তামিম। ছবি: সংগৃহীত
এরপর তাওহিদ হৃদয় ক্রিজে নামলে আর তাকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন তানজিদ। দুজনে গড়ে তোলেন ৪৮ বলে ৫৯ রানের অপরাজিত জুটি। ততক্ষণে এক চার ও ৬ ছক্কায় ৪৭ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস গড়েছেন তানজিদ। একটি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়।
শ্রীলংকার পক্ষে একটি করে উইকেট নিয়েছেন নুয়ান থুশারা ও কামিন্দু মেন্ডিস। বাকি চার লংকান বোলারের কেউ সাফল্যের মুখ দেখেননি।
১১ রানে ৪ উইকেটের অনবদ্য পরফরম্যান্সের কারণে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন শেখ মেহেদি। ৩ ম্যাচে এক অর্ধশতকসহ ১১৪ রান করে সিরিজ সেরার পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন লিটন।
অন্যদিকে শেষ দুই ম্যাচে ৮ পয়েন্টেরও বেশি বেড়েছে স্পেনের। তাকে ১১ বছর পর প্রথমবারের মতো এই র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থানে উঠল স্পেন। মাত্র ০.৬০ পয়েন্ট বেশি নিয়ে স্পেন আর্জেন্টিনার মাঝে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স।
২ দিন আগে‘বি’ গ্রুপে সুপার ফোরের হিসাব এখনো উন্মুক্ত। বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান— তিন দলের সামনেই রয়েছে সুপার ফোরের হাতছানি, যা শেষ পর্যন্ত গড়াতে পারে রানরেটের হিসাবে।
৪ দিন আগেপ্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। ২০ ওভারের শেষ বলে আফগানদের অলআউট করে দেয় ১৪৬ রানে। তাতে জয় মিলেছে ৮ রানে।
৪ দিন আগে