ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই বৃষ্টির বাধা। বিরতি প্রায় ৪০ মিনিট। এরপর প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ হওয়ার ১০ বল আগেই ফের বৃষ্টি। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় পরে যখন বৃষ্টি থামল, তখন আর মাঠ খেলার উপযোগী নেই একেবারেই। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত— ম্যাচ পরিত্যক্ত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই পেল অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি। আগের দুই ম্যাচে অনায়াসে জয়ের পর ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও ভেস্তে গেল। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো টাইগারদের।
আগের দুই ম্যাচেই টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন লিটন দাস। দানে দানে তিন দান আর হয়নি। শেষ ম্যাচে টস জিতলেন ডাচ ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস, বাংলাদেশকে পাঠালেন ব্যাটিংয়ে।
সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে বড় পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ, আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় পাঁচ পাঁচজনকে। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়াও বাদ পড়েন শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
দুই ওপেনার না থাকায় সাইফ হাসানকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন ক্যাপ্টেন লিটন। ৩ ওভারের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৯ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইফ, ৮ বলে ১২ রান করে।
লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড সচল ছিল দারুণ গতিতে। সঙ্গী তাওহিদ হৃদয় অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। ৪ ওভার ১ বলে দলের রান যখন ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান, তখনই বৃষ্টির বাধা। খেলা বন্ধ প্রায় ৪০ মিনিট। দারুণ ছন্দে থাকা লিটন তখন অপরাজিত ১৬ বলে ৪২ রানে।
বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলে নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। ১৪ বলে ৯ রান করেন তিনি। লিটনের ব্যাটেও কমে আসে গতি। চারে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারী চেষ্টা করেন চালিয়ে খেলার। দুজনে গড়ে তোলেন ৩৫ বলে ৪৪ রানের জুটি।
ইনিংসের ছন্দপতন ঘটে পঞ্চদশ ওভারে। তিন বলের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন-শামীম দুজনেই। শামীম করেন ১৯ বলে ২১ রান।
পরের দিকে ইনিংস ধীর হয়ে গেলেও লিটনের সংগ্রহ ছিল ৪৬ বল খেলে ৭৩ রান। ছয়টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল চারটি ছক্কা। একাধিকবার জীবন পাওয়া লিটনের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক যখন দেখতে পাচ্ছিলেন সমর্থকরা, তখনই তিনি আউট হয়ে যান ক্যাচ তুলে দিয়ে।
শতক না এলেও লিটন এ ম্যাচের ফিফটিতে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। দেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এতদিন সর্বোচ্চ ফিফটি ছিল সাকিব আল হাসানের, তার পাশে ছিলেন লিটন। এ ম্যাচে টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি তুলে নিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠলেন লিটন। সাকিবের চেয়ে অবশ্য ১৯টি ইনিংস কম খেলেছেন তিনি।
এরপর পঞ্চম উইকেটে জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহান জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শুরুর দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও পরে হাত খুলে মারতে থাকেন দুজনেই। বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ২৩ বলে ৪২ রান আসে এই জুটি থেকে।
ওই সময় ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলি। সোহান ছিলেন তার চেয়েও বিধ্বংসী। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ১১ বলে করেন ২২ রান। ইনিংস থেকে যায় ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে।
বাংলাদেশের ৪ উইকেটের মধ্যে তিনটিই নিয়েছেন ডাচ পেসার কাইল ক্লেইন, যদিও এর জন্য ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করতে হয়েছে তাকে। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন টিম প্রিংগল। আঁটোসাটো বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন তিনি।
লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ম্যাক্স ও’দাউদ, ভিক্রমজিৎ সিং, অনিল তেজা নিদামানুরু, স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শারিজ আহমেদ, নোয়াহ ক্রোয়েস, টিম প্রিঙ্গল, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, দানিয়েল দোরাম।
ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই বৃষ্টির বাধা। বিরতি প্রায় ৪০ মিনিট। এরপর প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং শেষ হওয়ার ১০ বল আগেই ফের বৃষ্টি। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় পরে যখন বৃষ্টি থামল, তখন আর মাঠ খেলার উপযোগী নেই একেবারেই। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত— ম্যাচ পরিত্যক্ত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজের শেষ ম্যাচটি তাই পেল অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি। আগের দুই ম্যাচে অনায়াসে জয়ের পর ডাচদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগও ভেস্তে গেল। ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো টাইগারদের।
আগের দুই ম্যাচেই টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন টাইগার ক্যাপ্টেন লিটন দাস। দানে দানে তিন দান আর হয়নি। শেষ ম্যাচে টস জিতলেন ডাচ ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস, বাংলাদেশকে পাঠালেন ব্যাটিংয়ে।
সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে বড় পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ, আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় পাঁচ পাঁচজনকে। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ছাড়াও বাদ পড়েন শেখ মেহেদী, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। সুযোগ পান নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম ও রিশাদ হোসেন।
দুই ওপেনার না থাকায় সাইফ হাসানকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন ক্যাপ্টেন লিটন। ৩ ওভারের ওপেনিং জুটিতে আসে ৩৯ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাইফ, ৮ বলে ১২ রান করে।
লিটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড সচল ছিল দারুণ গতিতে। সঙ্গী তাওহিদ হৃদয় অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। ৪ ওভার ১ বলে দলের রান যখন ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান, তখনই বৃষ্টির বাধা। খেলা বন্ধ প্রায় ৪০ মিনিট। দারুণ ছন্দে থাকা লিটন তখন অপরাজিত ১৬ বলে ৪২ রানে।
বৃষ্টির পর আবার খেলা শুরু হলে নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হয়ে যান তাওহিদ হৃদয়। ১৪ বলে ৯ রান করেন তিনি। লিটনের ব্যাটেও কমে আসে গতি। চারে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারী চেষ্টা করেন চালিয়ে খেলার। দুজনে গড়ে তোলেন ৩৫ বলে ৪৪ রানের জুটি।
ইনিংসের ছন্দপতন ঘটে পঞ্চদশ ওভারে। তিন বলের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন-শামীম দুজনেই। শামীম করেন ১৯ বলে ২১ রান।
পরের দিকে ইনিংস ধীর হয়ে গেলেও লিটনের সংগ্রহ ছিল ৪৬ বল খেলে ৭৩ রান। ছয়টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল চারটি ছক্কা। একাধিকবার জীবন পাওয়া লিটনের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক যখন দেখতে পাচ্ছিলেন সমর্থকরা, তখনই তিনি আউট হয়ে যান ক্যাচ তুলে দিয়ে।
শতক না এলেও লিটন এ ম্যাচের ফিফটিতে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। দেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এতদিন সর্বোচ্চ ফিফটি ছিল সাকিব আল হাসানের, তার পাশে ছিলেন লিটন। এ ম্যাচে টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি তুলে নিয়ে সাকিবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠলেন লিটন। সাকিবের চেয়ে অবশ্য ১৯টি ইনিংস কম খেলেছেন তিনি।
এরপর পঞ্চম উইকেটে জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহান জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। শুরুর দুই ওভার দেখেশুনে খেললেও পরে হাত খুলে মারতে থাকেন দুজনেই। বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ২৩ বলে ৪২ রান আসে এই জুটি থেকে।
ওই সময় ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলি। সোহান ছিলেন তার চেয়েও বিধ্বংসী। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ১১ বলে করেন ২২ রান। ইনিংস থেকে যায় ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে।
বাংলাদেশের ৪ উইকেটের মধ্যে তিনটিই নিয়েছেন ডাচ পেসার কাইল ক্লেইন, যদিও এর জন্য ৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করতে হয়েছে তাকে। আরেকটি উইকেট নিয়েছেন টিম প্রিংগল। আঁটোসাটো বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দেন তিনি।
লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), সাইফ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, নুরুল হাসান সোহান, জাকের আলি অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।
ম্যাক্স ও’দাউদ, ভিক্রমজিৎ সিং, অনিল তেজা নিদামানুরু, স্কট অ্যাডওয়ার্ডস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), শারিজ আহমেদ, নোয়াহ ক্রোয়েস, টিম প্রিঙ্গল, কাইল ক্লেইন, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকেরেন, দানিয়েল দোরাম।
শেষ দিকে ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা আরিয়ান দত্তের প্রতিরোধে সে হিসাব মেলেনি। তোর ২৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিওতে কোনোমতে ডাচরা পার করেছে শত রানের গণ্ডি। তারপর অবশ্য এগোতে পারেনি ইনিংস, থেমেছে ১৭ ওভার ৩ বলে ১০৩ রানে।
৪ দিন আগেজাতীয় নির্বাচন ঘিরে ডামাডোলে কিছুটা আড়ালেই পড়ে গিয়েছিল যেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। কদিন আগে গুঞ্জন উঠেছিল, বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে স্থায়ীভাবে রেখে দিয়ে নির্বাচনের পরিবর্তে হতে পারে অ্যাডহক কমিটি।
৪ দিন আগেসাফ অনূর্ধ্ব ১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ভারত। তাই তাদের বিপক্ষে রোববার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশের ম্যাচটি ছিল কেবলমাত্র নিয়মরক্ষার। ম্যাচটিতে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
৫ দিন আগেটি-টুয়েন্টিতে ১০৮ ম্যাচে এটি লিটন দাসের ১৩তম ফিফটি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির রেকর্ডে সাকিব আল হাসানের (১২৯ ম্যাচ) পাশে বসলেন তিনি। আরেকটি ফিফটি পেলেই সাকিবকে ছাড়িয়ে দেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ফিফটির মালিক হবেন লিটন।
৫ দিন আগে