ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথম ৩ ওভারে ভারতের দুই ওপেনারকে আটকে রেখেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ। ৩ ওভারে মাত্র একটি বাউন্ডারি, রান ১৭। থমথমে সে অবস্থা যে ঝড়ের পূর্বাভাস, সেটিই প্রমাণ করলেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পরের ৩ ওভারেই রান ৫৫।
ভারতীয় ওপেনারদের ব্যাটিংয়ে একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল রান ২০০’র ঘরে পৌঁছে যাবে সহজেই। সেখান থেকেই ‘ফাইট ব্যাক’ বাংলাদেশের বোলারদের। শুরুটা করেছিলেন রিশাদ হোসেন। বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে যুৎসই ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতকে ১৬৮ রানে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকেও একই রানে আটকে দিয়ে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজ নিজ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক লিটনকে ইনজুরির কারণে হারিয়ে দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাকের আলী। টসে জিতে বোলিং বেছে নেন, ভারতকে পাঠান ব্যাটিংয়ে।
তানজিম হাসান সাকিব প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। নাসুমের করা দ্বিতীয় ওভারে আসে ৭ রান। সাকিব টানা দ্বিতীয় ওভার করেন, তিনিও রান দেন ৭। ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে বাংলাদেশি বোলাররা চেপে ধরেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনারকে।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি আর দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসের গতিপথ বদলে দিতে শুরু করেন শুভমান গিল। শেষ বলে অভিষেকও ছক্কা হাঁকান। সব মিলিয়ে ২১ রান আসে ওই ওভার থেকে।
পরের দুটি ওভার করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দীন আহমেদ। দুজনেই রান দেন ১৭ করে। ৩ ওভার শেষে ১৭ রানে থাকা ভারত পাওয়ারপ্লে শেষ করে বিনা উইকেটে ৭২ রানে!
সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি খান। তবে সাফল্যও আসে ওই ওভারেই। তানজিমের ম্যাচ বানিয়ে তৃতীয় ওভারে ফেরান গিলকে। অন্য পাশ থেকে পার্টটাইমার সাইফ হাসানও ২ রান দিয়ে চাপ তৈরি করেন। পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই ওয়ান ডাউনে নামা শিভাম দুবেকে ফেরান রিশাদই।
পাওয়ারপ্লের পর দশম ওভার পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৯৬। সাইফুদ্দিনের করা একাদশ ওভারেই অবশ্য আবারও ১৬ রান আসে। অভিষেক শর্মাকে যে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছিল না।
অভিষেকের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তি মেলে দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে। মোস্তাফিজের করা বল ভারতীয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব ঠেলে দিয়েছিলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। রিশাদ হোসেনের কিছুটা মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগ রান নিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক, তবে সময়মতো ফিরতে পারেননি। রানআউট হয়ে গেছেন।
ওই ওভারের শেষ বলেই সূর্যকে ড্রেসিং রুমে ফেরান মোস্তাফিজ। ২ রানে ২ উইকেটের ওভারটি বাংলাদেশকে অনেকটাই চাঙ্গা করে তোলে।
শেষের দিকে টাইগার বোলাররা আরও চেপে ধরে ভারতীয় ব্যাটারদের। একমাত্র হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া আর কেউই হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না। ইনিংসের শেষ বলে পান্ডিয়াও আউট হয়ে যান। সব মিলিয়ে ভারতের ইনিংস থামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে।
৩৭ বলে ৭৫ রান করা অভিষেক শর্মা ভারতের সেরা ব্যাটার। আরেক ওপেনার গিলের সংগ্রহ ছিল ১৯ বলে ২৯ রান। এ ছাড়া হার্দিক করেন ২৯ বলে ৩৮ রান। অক্ষর প্যাটেল ১০ রান করলেও তার জন্য ১৫ বল খেলতে হয় তার। শিভাব দুবে, সূর্যকুমার আর তিলক ভার্সা এক অঙ্কে আউট হয়েছেন।
৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশি বোলার রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও সাইফুদ্দিন। তবে উইকেট না পেলেও ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ভারতের সংগ্রহ বেঁধে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন পার্টটাইমার সাইফ হাসান।
প্রথম ৩ ওভারে ভারতের দুই ওপেনারকে আটকে রেখেছিলেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ। ৩ ওভারে মাত্র একটি বাউন্ডারি, রান ১৭। থমথমে সে অবস্থা যে ঝড়ের পূর্বাভাস, সেটিই প্রমাণ করলেন ভারতের দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পরের ৩ ওভারেই রান ৫৫।
ভারতীয় ওপেনারদের ব্যাটিংয়ে একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল রান ২০০’র ঘরে পৌঁছে যাবে সহজেই। সেখান থেকেই ‘ফাইট ব্যাক’ বাংলাদেশের বোলারদের। শুরুটা করেছিলেন রিশাদ হোসেন। বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে যুৎসই ফিল্ডিংয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতকে ১৬৮ রানে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকেও একই রানে আটকে দিয়ে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরে নিজ নিজ দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। নিয়মিত অধিনায়ক লিটনকে ইনজুরির কারণে হারিয়ে দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাকের আলী। টসে জিতে বোলিং বেছে নেন, ভারতকে পাঠান ব্যাটিংয়ে।
তানজিম হাসান সাকিব প্রথম ওভারে দেন মাত্র ৩ রান। নাসুমের করা দ্বিতীয় ওভারে আসে ৭ রান। সাকিব টানা দ্বিতীয় ওভার করেন, তিনিও রান দেন ৭। ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে বাংলাদেশি বোলাররা চেপে ধরেছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনারকে।
চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি আর দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংসের গতিপথ বদলে দিতে শুরু করেন শুভমান গিল। শেষ বলে অভিষেকও ছক্কা হাঁকান। সব মিলিয়ে ২১ রান আসে ওই ওভার থেকে।
পরের দুটি ওভার করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফুদ্দীন আহমেদ। দুজনেই রান দেন ১৭ করে। ৩ ওভার শেষে ১৭ রানে থাকা ভারত পাওয়ারপ্লে শেষ করে বিনা উইকেটে ৭২ রানে!
সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেন বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি খান। তবে সাফল্যও আসে ওই ওভারেই। তানজিমের ম্যাচ বানিয়ে তৃতীয় ওভারে ফেরান গিলকে। অন্য পাশ থেকে পার্টটাইমার সাইফ হাসানও ২ রান দিয়ে চাপ তৈরি করেন। পরের ওভারে ফিরে প্রথম বলেই ওয়ান ডাউনে নামা শিভাম দুবেকে ফেরান রিশাদই।
পাওয়ারপ্লের পর দশম ওভার পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটারদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন টাইগার বোলাররা। ১০ ওভার শেষে ভারতের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৯৬। সাইফুদ্দিনের করা একাদশ ওভারেই অবশ্য আবারও ১৬ রান আসে। অভিষেক শর্মাকে যে কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাচ্ছিল না।
অভিষেকের হাত থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্তি মেলে দ্বাদশ ওভারের প্রথম বলে। মোস্তাফিজের করা বল ভারতীয় ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব ঠেলে দিয়েছিলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। রিশাদ হোসেনের কিছুটা মিসফিল্ডিংয়ের সুযোগ রান নিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক, তবে সময়মতো ফিরতে পারেননি। রানআউট হয়ে গেছেন।
ওই ওভারের শেষ বলেই সূর্যকে ড্রেসিং রুমে ফেরান মোস্তাফিজ। ২ রানে ২ উইকেটের ওভারটি বাংলাদেশকে অনেকটাই চাঙ্গা করে তোলে।
শেষের দিকে টাইগার বোলাররা আরও চেপে ধরে ভারতীয় ব্যাটারদের। একমাত্র হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়া আর কেউই হাত খুলে খেলতে পারছিলেন না। ইনিংসের শেষ বলে পান্ডিয়াও আউট হয়ে যান। সব মিলিয়ে ভারতের ইনিংস থামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে।
৩৭ বলে ৭৫ রান করা অভিষেক শর্মা ভারতের সেরা ব্যাটার। আরেক ওপেনার গিলের সংগ্রহ ছিল ১৯ বলে ২৯ রান। এ ছাড়া হার্দিক করেন ২৯ বলে ৩৮ রান। অক্ষর প্যাটেল ১০ রান করলেও তার জন্য ১৫ বল খেলতে হয় তার। শিভাব দুবে, সূর্যকুমার আর তিলক ভার্সা এক অঙ্কে আউট হয়েছেন।
৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বাংলাদেশি বোলার রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিব ও সাইফুদ্দিন। তবে উইকেট না পেলেও ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে ভারতের সংগ্রহ বেঁধে রাখতে ভূমিকা রেখেছেন পার্টটাইমার সাইফ হাসান।
এরপর অবশ্য হুসেইন তালাত আর মোহাম্মদ নওয়াজকে আটকাতে পারেননি লংকান বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ২ ওভার হাতে রেখেই এই দুই ব্যাটার ম্যাচ জিতিয়েছেন পাকিস্তানকে। ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার পর ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেল পাকিস্তান।
১ দিন আগেভালো সূচনার পর পাকিস্তানের শেষটাও হয়েছে ভালো। তবে মাঝের ওভারগুলোতে ভারতীয় বোলাররা চেপে ধরায় খাবি খেয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটাররা। সেই ধাক্কাতেই শুরু-শেষের ঝড়ের পরও পাকিস্তানকে থামতে হয়েছে ১৭১ রানে। জবাবে ৫৯ রানে ১০৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় ভারত। মাঝের ওভারে পাকিস্তানের বো
৩ দিন আগেআর একটিমাত্র উইকেট পেলেই সাকিবকে ছাড়িয়ে দেশের পক্ষে টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক বনে যাবেন মোস্তাফিজ। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও সাকিবের পাশে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি।
৪ দিন আগেগ্রুপ পর্বে হংকংয়ের সঙ্গে ৫৯ রান করলেও বাকি দুই ম্যাচে লিটনের ব্যাট খুব একটা হাসেনি। তবে ওই দুই ম্যাচে ৩৭ রান নিয়ে সাকিবের আরও কাছে পৌঁছে যান। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সুপার ফোরে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার সময় শেষ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছেন সাকিবকে।
৪ দিন আগে