ক্রীড়া ডেস্ক
১৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ১০ ওভারে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ৯৫। উদ্বোধনী জুটি আরও এগিয়ে গেল ১০৯ রান পর্যন্ত। হঠাৎই যেন মড়ক লাগল বাংলাদেশের ইনিংসে। মাত্র ৪ ওভারের ব্যবধানে ৯ রানের মধ্যেই নেই ৬ উইকেট! ৮ ওভারে পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে ৪৩ রানের টার্গেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত হারতে হবে কি না— এমন শঙ্কা তখন ঘিরে ধরেছে টাইগার শিবিরে।
নুরুল হাসান সোহান আর রিশাদ হোসেন শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করেছেন দলকে। মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে ৩ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে আফগানিস্তানই ব্যাটিং বেছে নেয়। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
জবাবে বাংলাদেশের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। এ দিন আবারও তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন ওপেনিং জুটিতে। ইমন ৩৫ বল আর তানজিদ ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন। ১১ ওভার ৩ বলেই দুজন সংগ্রহ করে ফেলেন ১০৯ রান। কত দ্রুত বাংলাদেশ জয় তুলে নিতে পারে আর ১০ উইকেট অক্ষত রেখেই জয় আসবে কি না— এমন সব জল্পনা তখন সমর্থকদের মধ্যে।
দ্বাদশ ওভারের চতুর্থ বলে পারভেজ ইমনকে (৩৭ বলে ৫৪) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সমর্থকদের কল্পনায় লাগাম দেন আফগান পেসার ফরিদ আহমাদ। পরের ওভারেই রশিদ খান তুলে নেন সদ্য সমাপ্ত টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ হাসান (৩ বলে ০) আর আরেক ওপেনার তানজিদকে (৩৭ বলে ৫১)।
নুর আহমাদের পরের ওভারটি কোনোমতে সামাল দেন জাকের আলী আর শামীম হোসেন। দলের পঞ্চদশ আর নিজের শেষ ওভারটিতে এসে আবারও বিধ্বংসী রশিদ। এবার তুলে নেন জাকের আলী (৭ বলে ৬) আর শামীম হোসেনকে (৪ বলে ০)। দলের ষষ্ঠদশ আর নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে খালি হাতে ফেরেননি নুরও। তানজিম হাসান সাকিবের (৩ বলে ০) উইকেট নিয়ে ফেরেন তিনি।
মুহূর্তের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন দিশেহারা। ১৬ ওভার শেষে দলের রান তখন ৬ উইকেটে ১১৮। ১০ উইকেটে জয়ের স্বপ্ন দেখা সমর্থকদের কাছে তখন ৪ উইকেট হাতে রেখে ২৪ বলে ৩৪ রানের লক্ষ্যও অনেক দূরের যেন!
ততক্ষণে অবশ্য রশিদ খান আর নূর আহমদের ওভার শেষ। তাতেই চাপের লাগাম যেন কিছুটা ছুটে গেল আফগানদের। বাঁহাতি স্পিনার শরাফউদ্দিন আশরাফের করা দলীয় ১৭তম ওভারের প্রথম ৫ বলে এলো ৩ রান। শেষ বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করে রিশাদ অবশ্য আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখালেন।
ফরিদ আহমাদের পরের ওভারে দুই ব্যাটার হাঁকালেন দুটি বাউন্ডারি। ওই ওভারে ১১ রান নিয়ে জয়ের আশা ফিরিয়ে আনলেন সোহান-রিশাদ।
১২ বলে ১৬ রানের প্রয়োজন বাংলাদেশের— এমন সমীকরণে রশিদ খান বল তুলে দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের হাতে। তবে সোহানের কাছে পাত্তাই পেলেন না। প্রথম বলটি উইকেটের সামনে বরাবর আর দ্বিতীয় বলটি উইকেটের পেছন বরাবর ছক্কা হাঁকালেন সোহান। পরের বলে সিংগেল। চতুর্থ বলটি রিশাদ উইকেটরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
ম্যাচ শেষে সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২৩ রানে। অন্য প্রান্তে রিশাদ অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৪ রানে।
আফগানদের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সফলতম রশিদ খান। রশিদ খান ও ফরিদ আহমাদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ৫৪ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমন।
এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কখনোই খুব স্বচ্ছন্দ হয়ে খেলতে পারেননি আফগান ব্যাটাররা। ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় দলটি। পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৩৩, মোহাম্মদ নবি ও গুরবাজের ২২ আর নবি ও শরাফউদ্দিনের ৩২ রানের জুটিতে ১৫০ রান পার করে আফগানরা।
গুরবাজ করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪০ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান (২৫ বলে) করেন নবি। এ ছাড়া শরাফউদ্দিন ১২ বলে ১৭, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৮ বলে ১৮, ইব্রাহিম জাদরান ১০ বলে ১৫ ও সেদিকউল্লাহ অটল করেন ১২ বলে ১০ রান।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ ম্যাচ সিরিজের পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর)। সিরিজের শেষ ম্যাচ রোববার (৫ অক্টোবর)।
১৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ১০ ওভারে বিনা উইকেটে সংগ্রহ ৯৫। উদ্বোধনী জুটি আরও এগিয়ে গেল ১০৯ রান পর্যন্ত। হঠাৎই যেন মড়ক লাগল বাংলাদেশের ইনিংসে। মাত্র ৪ ওভারের ব্যবধানে ৯ রানের মধ্যেই নেই ৬ উইকেট! ৮ ওভারে পুরো ১০ উইকেট হাতে রেখে ৪৩ রানের টার্গেট নিয়ে শেষ পর্যন্ত হারতে হবে কি না— এমন শঙ্কা তখন ঘিরে ধরেছে টাইগার শিবিরে।
নুরুল হাসান সোহান আর রিশাদ হোসেন শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করেছেন দলকে। মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে ৩ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টসে জিতে আফগানিস্তানই ব্যাটিং বেছে নেয়। নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকা দলটি শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
জবাবে বাংলাদেশের সূচনা হয়েছিল স্বপ্নের মতো। এ দিন আবারও তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন ওপেনিং জুটিতে। ইমন ৩৫ বল আর তানজিদ ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন। ১১ ওভার ৩ বলেই দুজন সংগ্রহ করে ফেলেন ১০৯ রান। কত দ্রুত বাংলাদেশ জয় তুলে নিতে পারে আর ১০ উইকেট অক্ষত রেখেই জয় আসবে কি না— এমন সব জল্পনা তখন সমর্থকদের মধ্যে।
দ্বাদশ ওভারের চতুর্থ বলে পারভেজ ইমনকে (৩৭ বলে ৫৪) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে সমর্থকদের কল্পনায় লাগাম দেন আফগান পেসার ফরিদ আহমাদ। পরের ওভারেই রশিদ খান তুলে নেন সদ্য সমাপ্ত টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ হাসান (৩ বলে ০) আর আরেক ওপেনার তানজিদকে (৩৭ বলে ৫১)।
নুর আহমাদের পরের ওভারটি কোনোমতে সামাল দেন জাকের আলী আর শামীম হোসেন। দলের পঞ্চদশ আর নিজের শেষ ওভারটিতে এসে আবারও বিধ্বংসী রশিদ। এবার তুলে নেন জাকের আলী (৭ বলে ৬) আর শামীম হোসেনকে (৪ বলে ০)। দলের ষষ্ঠদশ আর নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে খালি হাতে ফেরেননি নুরও। তানজিম হাসান সাকিবের (৩ বলে ০) উইকেট নিয়ে ফেরেন তিনি।
মুহূর্তের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তখন দিশেহারা। ১৬ ওভার শেষে দলের রান তখন ৬ উইকেটে ১১৮। ১০ উইকেটে জয়ের স্বপ্ন দেখা সমর্থকদের কাছে তখন ৪ উইকেট হাতে রেখে ২৪ বলে ৩৪ রানের লক্ষ্যও অনেক দূরের যেন!
ততক্ষণে অবশ্য রশিদ খান আর নূর আহমদের ওভার শেষ। তাতেই চাপের লাগাম যেন কিছুটা ছুটে গেল আফগানদের। বাঁহাতি স্পিনার শরাফউদ্দিন আশরাফের করা দলীয় ১৭তম ওভারের প্রথম ৫ বলে এলো ৩ রান। শেষ বলটি বাউন্ডারি ছাড়া করে রিশাদ অবশ্য আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখালেন।
ফরিদ আহমাদের পরের ওভারে দুই ব্যাটার হাঁকালেন দুটি বাউন্ডারি। ওই ওভারে ১১ রান নিয়ে জয়ের আশা ফিরিয়ে আনলেন সোহান-রিশাদ।
১২ বলে ১৬ রানের প্রয়োজন বাংলাদেশের— এমন সমীকরণে রশিদ খান বল তুলে দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের হাতে। তবে সোহানের কাছে পাত্তাই পেলেন না। প্রথম বলটি উইকেটের সামনে বরাবর আর দ্বিতীয় বলটি উইকেটের পেছন বরাবর ছক্কা হাঁকালেন সোহান। পরের বলে সিংগেল। চতুর্থ বলটি রিশাদ উইকেটরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
ম্যাচ শেষে সোহান অপরাজিত ছিলেন ১৩ বলে ২৩ রানে। অন্য প্রান্তে রিশাদ অপরাজিত ছিলেন ৯ বলে ১৪ রানে।
আফগানদের পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে সফলতম রশিদ খান। রশিদ খান ও ফরিদ আহমাদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ৫৪ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন ইমন।
এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কখনোই খুব স্বচ্ছন্দ হয়ে খেলতে পারেননি আফগান ব্যাটাররা। ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ১৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় দলটি। পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৩৩, মোহাম্মদ নবি ও গুরবাজের ২২ আর নবি ও শরাফউদ্দিনের ৩২ রানের জুটিতে ১৫০ রান পার করে আফগানরা।
গুরবাজ করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৪০ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান (২৫ বলে) করেন নবি। এ ছাড়া শরাফউদ্দিন ১২ বলে ১৭, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৮ বলে ১৮, ইব্রাহিম জাদরান ১০ বলে ১৫ ও সেদিকউল্লাহ অটল করেন ১২ বলে ১০ রান।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও তানজিম সাকিব। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
৩ ম্যাচ সিরিজের পরের ম্যাচে একই ভেন্যুতে দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩ অক্টোবর)। সিরিজের শেষ ম্যাচ রোববার (৫ অক্টোবর)।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে টসে দুই অধিনায়কের হাত না মেলানো দিয়ে শুরু হয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের লড়াই। সে ধারাবাহিকতা বজায় থাকল ফাইনালে দুই দলের তৃতীয় দেখাতেও। তাতে দেখা মিলল অনেক কিছুর, যা ক্রিকেট মাঠে আগে কখনো দেখা যায়নি। শেষটা হলো ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েও ভারতের ট্রফি আর মেডেল না নিয়ে কল্পিত ট্রফি দিয়ে উ
৪ দিন আগেব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতা সত্ত্বেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। কিন্তু দিন শেষে ব্যাটারদের ব্যর্থতাই বড় হয়ে দেখা দিলো। শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ানো ম্যাচে স্নায়ুচাপ জিতে ভারতকে জয় এনে দিলেন ভারতের ব্যাটাররা। এশিয়ার সেরা দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখল ভারত।
৪ দিন আগেঅন্যরা কেউ প্রকাশ না করলেও সাকিব আল হাসান চুপ থাকার ধার ধারেননি। রোববার শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজের তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তার সঙ্গে লিখেছেন তিন শব্দের একটি স্ট্যাটাস— ‘শুভ জন্মদিন আপা।’
৪ দিন আগে