ঈদের শুভেচ্ছায় ইসলামি রীতি

ড. মোহাম্মদ হাননান
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৫: ৪৭

আমাদের নবি (সা.) ও তার সাহাবিরা (রা.) তাদের জামানায় কীভাবে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতেন, তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। সাধারণভাবে বর্তমান সময়ে ঈদের দিন একে অন্যকে ‘ঈদ মোবারক’ সম্ভাষণ করে থাকেন। কিন্তু নবি (সা.)-এর আমলে ‘ঈদ মোবারক’ বলে শুভেচ্ছা জানানোর রীতি প্রচলিত ছিল না। তখন ঈদের দিন দেখা হলে একে অন্যকে বলতেন ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম’। এর অর্থ, আল্লাহ যেন আপনার এবং আমার গুনাহ মাফ করে দেন। [বায়হাকি, ২ । ৩৯]

বর্তমানে আমরা সবাই ঈদের দিন ‘ঈদ মোবারক’ বলে থাকি। শব্দ দুটো আরবি। ‘ঈদ’ অর্থ খুশি, আনন্দ, উৎসব। ‘মোবারক’ অর্থ মঙ্গল, শুভ বা পবিত্র। দুটি শব্দ মিলিয়ে ‘ঈদ মোবারক’-এর অর্থ দাঁড়ায় ‘খুশি মঙ্গল’ বা ‘আনন্দ শুভ’ বা উৎসব পবিত্র’ বা এমন কিছু। অর্থাৎ ‘ঈদ মোবারক’ শব্দগুচ্ছ দিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি পূর্ণভাবে প্রতিফলিত হয় না।

তবে যদি বলা হয় ‘ঈদ মোবারকবাদ’, তখন কিন্তু অর্থ অনেকটাই পূর্ণতা পায়। কারণ ‘মোবারকবাদ’ শব্দের অর্থ ‘অভিনন্দন’। তাহলে ‘ঈদ মোবারকবাদ’ অর্থ দাঁড়ায় ‘খুশি অভিনন্দন’ বা ‘আনন্দ অভিনন্দন’ বা ‘উৎসবের অভিনন্দন’ ইত্যাদি। [বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ব্যবহৃত বিদেশি শব্দের অভিধান, সম্পাদনা: মোহাম্মদ হারুন রশিদ, বাংলা একাডেমি ২০২০]

Eid-Doa-By-Rasul-And-Sahabis-30-03-2025

এখন আমরা কী করব! কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, সাংঘর্ষিক না হলে আমরা তো এটা ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু মূল সুন্নত আমরা ঢেকে দিতে পারি না। যদি জানার পরও ঢেকে দেই, তাহলে এটি সাংঘর্ষিকই হলো।

আমরা বরং এটি সমন্বয় করতে পারি। বলতে পারি, ‘তাকাবালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম, ঈদ মোবারক’।

তবে এ বিষয়ে ফয়সালা দিতে পারেন জ্ঞানী আলেমরা। সহি তরিকার উলামা হজরতরা আমাদের এ বিষয়ে পথ দেখাবেন নিশ্চয়ই।

লেখক: লেখক ও গবেষক

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

অপারেশন মাউন্টেন ঈগল: মুক্তিযুদ্ধে তিব্বতী গেরিলা

কর্ণফুলীর স্রোতধারার সঙ্গে যুক্ত হয় বঙ্গোপসাগরের আছড়ে পড়া উত্তাল ঢেউ। সেই আনন্দের মাঝেই হঠাৎ যোগ দেয় একদল সশস্ত্র তিব্বতীয় গেরিলা। বঙ্গোপসাগরের ঢেউ আর কর্ণফুলীর স্রোত যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। আনন্দে উদ্বেলিত জনতা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তিব্বতীয়দের দিকে।

১৩ দিন আগে

সব সংকট-শঙ্কার মধ‍্যেও বিজয়ের আশা ছাড়িনি

তখন আমাদের চিহ্নিত শত্রু ছিল হানাদার বাহিনী। তাদের সঙ্গে আরও চিহ্নিত হয়েছিল তাদের এ দেশীয় ‘কোলাবোরেটর’ বা সহযোগীরা, যারা ছিল মূলত রাজাকার, আলবদর বা আল শামস বাহিনীর। এরাও চিহ্নিত ছিল। এদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ একাট্টা হয়ে সংগ্রাম করেছে। সেই সংগ্রাম রক্তক্ষয়ী ছিল, বহু মানুষ অকাতরে শহিদ হয়েছে।

১৩ দিন আগে

সহিংসতার রাজনীতি আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে?

রাজনৈতিক সহিংসতার চক্র যত বড় হয়, ততই সংকুচিত হয় নাগরিকদের নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভিন্নমতের পরিসর এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা। সামাজিক আস্থাও ক্ষয়ে যায়। আজ একজন হাদি আক্রান্ত,আগামীকাল কে বা কারা টার্গেট হবেন তা কেউ জানে না। সহিংসতা যখন ধীরে ধীরে রাজনৈতিক কৌশলে পরিণত হয়, ‘ব্যবহারযোগ্য হাতিয়ার’ হ

১৩ দিন আগে

অস্তিত্ব সংকটে শিক্ষা ক্যাডার ও উচ্চশিক্ষা

আজ যদি ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির দাবি মেনে এই মডেলে বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়, তবে খুব দ্রুতই জেলা পর্যায়েও একই দাবি উঠবে। টাঙ্গাইল সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, ময়মনসিংহ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি কিংবা রাজশাহী কলেজ, বিএম কলেজ, সিলেটের এমসি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি আসবে।

২০ দিন আগে