প্রসঙ্গ ৪৩তম বিসিএস: বৈষম্যবিরোধী চেতনার ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গোড়ার কথা ছিল, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমরা এখনও প্রত্যাশা রাখি, বাংলাদেশ সে পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।

আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এই প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মাঝখানে ফারাক থাকছে, এবং ক্ষেত্রবিশেষে জবাবদিহির অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

গত ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিয়োগ শাখা ‘৪৩তম বিসিএস সংক্রান্ত তথ্য’ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিটির মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ইতোপূর্বে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগের জন্য সুপারিশকৃত ২২৭ জন প্রার্থীকে বাদ দেয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে। অথচ, বাদ-পড়া প্রার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেই নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাদ-পড়া বিভিন্ন প্রার্থীর উত্থাপিত অভিযোগ ও আশঙ্কা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্যদের যোগাযোগ হয়েছে। এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোও আমরা পর্যালোচনা করেছি। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা মনে করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে গেজেটভুক্তদের বাদ দেয়ার যে কৈফিয়ত বিজ্ঞপ্তি মারফত প্রদান করা হয়েছে, তা আদতে একটি ভিত্তিহীন ব্যাখ্যা!

আমরা এই বিজ্ঞপ্তিকে গণপ্রজাতন্ত্রের বৈষম্যমূলক সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি হিসেবেই মুখ্যত তর্জমা করছি এবং হতাশ হচ্ছি, কেননা এই বিজ্ঞপ্তি প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবকেই প্রকারান্তরে সামনে উপস্থাপন করছে।

একই বিজ্ঞপ্তির সমাপনী বাক্যে বঞ্চিত প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনের সুযোগের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, “ইতিমধ্যে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য অনুপযুক্ত ২২৭ জনের মধ্যে যে কেউ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হচ্ছে। পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত আছে।“ ভাষাভঙ্গির এই প্রয়োগকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রতি অসম্মানজনক ও অসৌজন্যমূলক হিসেবে পাঠোদ্ধার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা অবশ্যই ন্যায়বিচার দাবি করার অধিকার রাখেন। কিন্তু, সরকারি প্রেসনোটের ভাষা এমন দাক্ষিণ্য মনোভাবাপন্ন হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার আদৌ আশা করতে পারেন কি না, তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।

এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে, এই সরকারের আমলেই রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন পুলিশের উপপরিদর্শককে (এসআই) 'শৃঙ্খলা ভঙ্গে'র কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি দেয়া হয়। অথচ, এই ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত কিছুই সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জাতির উদ্দেশ্যে জানায়নি।

বেশি দিন আগে তো নয়, সদ্যই আমরা স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি, মূলত বৈষম্যের পতন ঘটানোর আকাঙ্ক্ষা থেকে। আমাদের আকাঙ্ক্ষা: বৈষম্যহীন বাংলাদেশে জন্ম, বর্ণ, ধর্ম, লিঙ্গ, গোত্র, শ্রেণি, পদবি– যে-সব-কিছু ব্যক্তির নিজস্ব অর্জনের আওতাভুক্ত নয়, সেসবের উর্ধ্বে উঠে, যেকোনো ব্যক্তিকে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতাই হবে এক ও অদ্বিতীয় বিবেচনা। ব্যক্তির যোগ্যতা পরিমাপের ক্ষেত্রে, যেকোনো বাছাই প্রক্রিয়ায়, বাছাই পদ্ধতি অনুযায়ী, ব্যক্তির পারফরম্যান্সকে আমলে নেওয়া হয়, কেননা পারফরম্যান্স হলো ব্যক্তির যোগ্যতার দৃশ্যমান প্রতিফলন। পদ্ধতি অনুযায়ী, বিসিএস এবং অন্যান্য চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পারফরম্যান্স হতে হয় মেধানির্ভর।

কিন্তু আমরা লক্ষ করছি, পদ্ধতিকে তোয়াক্কা না করে, পারফরম্যান্সের বিপরীতে পরিচয়কে জায়েজ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে; নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে ‘অযোগ্য’ বিবেচনা করা হচ্ছে। পরিচয়ের এই রাজনীতি বিভেদমূলক, এবং সেই কারণেই অন্যায্য। আমাদের অবস্থান যথারীতি সকল অনায্যতার বিপক্ষে।

এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকা কিংবা আন্দোলনের বিপক্ষে থাকাও মেধানির্ভর পারফরম্যান্সের পরিপূরক হিসেবে গণ্য হতে পারে না। কারণ, এরকম যুক্তিসুবিধা-আদান-প্রদানকে পরোক্ষ বৈধতা দেয়। কোটা প্রথার সংস্কার চেয়ে প্রথম দফায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল এটাই: মেধা ব্যতীত অন্য কোনো শর্ত বা অবদান নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে না।

সুপারিশকৃতদের ‘অনুপযুক্ত’ ঘোষণা করে গোয়েন্দা সংস্থার পুনঃপ্রতিবেদন ঠিক কোন যুক্তিতে যথোপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য, তা আমাদের কাছে বোধগম্য কারণেই একপেশে মনে হয়েছে। তাই, আমরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, দলীয় লেজুড়বৃত্তির যে অপসংস্কৃতি বিগত শাসনামলে তৈরি হয়েছিল, সে ব্যবস্থা থেকে উত্তরণের সংকল্প নিয়েই আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম।

চব্বিশের ৫ আগস্ট, বাংলাদেশের জনপরিসরে বৈষম্যবিরোধী যে চেতনার জন্ম হয়েছে,  তার ব্যত্যয় আমরা ঘটতে দেবো না। এই যুক্তিতেই ৪৩তম বিসিএসে সুপারিশকৃতদের এবং একইসঙ্গে অক্টোবরে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাদের বাদ দেয়ার যথোপযুক্ত কারণ সরকারের তরফ থেকে–জনগণের অংশ হিসেবে –আমরা জানতে চাই। প্রদর্শিত যুক্তির গ্ৰহণযোগ্যতা না থাকলে, অবিলম্বে এই প্রার্থীদের পুনর্ভুক্তির পক্ষে আমরা সরব৷

ক্ষমতার বাহ্যিক পালাবদল নয়, ব্যবস্থার আমূল বদল আমাদের গন্তব্য। বৈষম্যমুক্ত সেই প্রতিশ্রুত পৃথিবীর দিকে আমাদের পদক্ষেপ অব্যাহত আছে এবং থাকবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন:

১. রুশাদ ফরিদী, সহকারী অধ্যাপক,  অর্থনীতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

২. তাসনীম সিরাজ মাহবুব,  সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩. স্বাধীন সেন, অধ্যাপক, প্রত্নতত্ত্ব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৪. কাজলী সেহরীন ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৫. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, অণুজীব বিজ্ঞান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

৬. শরমিন্দ নীলোর্মি, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৭. আসিফ মোহাম্মদ শাহান, অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৮. কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৯. কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১০. শেহরীন আতাউর খান, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

১১. খাদিজা মিতু, অধ‍্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

১২. সৌমিত জয়দ্বীপ, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

১৩. সৌম্য সরকার, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

১৪. ফাতেমা শুভ্রা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

১৫. জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৬. অলিউর সান, প্রভাষক, ইংরেজি ও মানবিক বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।

১৭. নোভা আহমেদ, অধ্যাপক, ই সি ই, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ‍্যালয়।

১৮. রাইয়ান রাজী, সাবেক শিক্ষক, বাংলা, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯. মোশাহিদা সুলতানা, সহযোগী অধ্যাপক একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

২০. সুমন সাজ্জাদ, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

২১. হানিয়্যুম মারিয়া খান, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব‍্যবস্থাপনা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ‍্যালয়।

২২. লাবনী আশরাফি, প্রভাষক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।

২৩. শেখ নাহিদ নিয়াজী, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।

২৪. মো: সাদেকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

২৫. এএসএম কামরুল ইসলাম, প্রভাষক, গ্রিন বিজনেস স্কুল, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।

২৬. মনির হোসেন, প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ্যান্ডটেকনোলজি (বিইউবিটি)।

২৭. মাইদুল ইসলাম, পিএইচডি গবেষক, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

২৮. কাব্য কৃত্তিকা, গবেষণা সহযোগী ও প্রভাষক, সেন্টার ফর আর্কিওলজিকালস্টাডিজ, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ।

২৯. সিরাজাম মুনিরা, শিক্ষক, বাংলা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

৩০. রাইসুল সৌরভ, পিএইচডি গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব গলওয়ে, আয়ারল্যাণ্ড/সহযোগীঅধ্যাপক (শিক্ষা ছুটিতে)

আইন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)।

৩১. ফাহমিদুল হক, অধ্যাপক (সাবেক), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩২. কামাল চৌধুরী, অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩৩. নাসরিন খন্দকার, পোস্টডক্টরাল গবেষক, সমাজবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্ক, আয়ারল্যেন্ড।

৩৪. মিজানুর রহমান খান, সিনিয়র লেকচারার, বাংলা, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩৫. শর্মি বড়ুয়া, প্রভাষক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩৬. ইসমাইল সাদী, সহকারী অধ্যাপক, স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

৩৭. গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৩৮. সামজীর আহমেদ, প্রভাষক, বাংলা, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা।

৩৯. মাহমুদা আকন্দ, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৪০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৪১. আনু মুহাম্মদ, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, অর্থনীতি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৪২. কাজী সামিও শীশ, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন আর্টসঅ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৩. মার্জিয়া রহমান, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৪. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৫. সামিনা লুৎফা, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৬. দীপ্তি দত্ত, সহকারী অধ্যাপক, প্রাচ্যকলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৭. নাসির আহেমদ, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৮. সিউতি সবুর, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষে, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন

ad
ad

মতামত থেকে আরও পড়ুন

স্লোগানের স্বরূপ: নান্দনিকতা, সহিংসতা ও অশ্লীলতা

স্লোগান বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির এক অবিছ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে স্লোগানের ব্যবহার ছিল। “ব্রিটিশ হটাও, দেশ বাঁচাও”; “বিদেশি পণ্য বর্জন করো, দেশি পণ্য ব্যবহার করো”; “তুমি আমি স্বদেশি, স্বদেশি স্বদেশি” “আমরা লড়ব, আমরা জিতব” ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে এরূপ অনেক স্লোগানই রাজনৈতিক সচেতন

৪ দিন আগে

প্রধান শিক্ষক : দশম গ্রেড প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি

২২ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়ে একটি প্রস্তাবনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । তাতে প্রধান শিক্ষকরা আগে কত টাকা বেতন ও ভাতা পেতেন, আর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হলে কত পাবেন—তা নিয়ে পরিপূর্ণ হিসাব রয়েছে ।

৫ দিন আগে

ভারত এবং গ্লোবাল সাউথ

ভিওজিএসএস হলো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্বেগ, স্বার্থ ও অগ্রাধিকারসমূহের বিষয়ে আলোচনা করা, ধারণা ও সমাধান বিনিময় করা, এবং উন্নয়ন সমাধান বিনির্মাণে কণ্ঠ ও উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য একটি অভিন্ন মঞ্চ প্রদানের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টা।

৫ দিন আগে

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হোক

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই খাজা সলিমুল্লাহ, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা ইকবাল, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ অনুধাবন করেন যে, ভারতবর্ষ স্বাধীন হলে মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাসভূমির প্রয়োজন হবে। অন্যথায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির মধ্যে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকবে। রা

৯ দিন আগে