প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
লালমাটিয়ায় প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে লাঞ্ছনার ঘটনার জের ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (২ মার্চ) ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে’র ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারী লালমাটিয়ার ওই জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখানে তারা দুই তরুণী লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভকারীরা পরে মিছিল নিয়ে লালমাটিয়া এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে জড়ো হন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়। সেখানে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সেখান থেকে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ দাবিও জানান তারা।
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার। পরদিন সাংবাদিকরা ওই ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই নারীর ওপর যে হামলা হয়েছে, ওনারা দুজন নাকি সিগারেট খাইতেছিল। কিছু লোক নাকি নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুড়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তো আপনারা জানেন, ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া নারী-পুরুষ সবার জন্য নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। এখন রোজার সময় সবাইকে সংযমী হতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই বলেন, উপদেষ্টার এ বক্তব্য প্রকারান্তরে লাঞ্ছনা ও হামলাকারীদেরই প্রশ্রয় দিয়েছে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সাংবাদিক সাঈদা গুলরুখ বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঠাট্টার ছলে করা মন্তব্য শুধু দুজন নারীর ওপর শারীরিক আক্রমণের অপরাধকে আড়াল করেনি, হেনস্থার শিকার নারীদের, মানে ভিক্টিম ব্লেমিংও করেছেন। তার দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, অপরাধের কভার-আপ, ভিক্টিম ব্লেমিং বা মোরাল পুলিশিং না।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় লালমাটিয়া আড়ংয়ের পাশের গলিতে মাঠের কোনায় একটি চায়ের দোকানে বসে দুই তরুণী চা ও ধূমপান করছিলেন। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাদের ধূমপান নিয়ে আপত্তি করেন ও দোকান বন্ধ করতে বলেন।
এ নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুই তরুণীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের একজন ওই ব্যক্তির গায়ে চা ছুড়ে মারেন। তরুণীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়ার কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চা ছুড়ে মারেন।
এরপর ওই ব্যক্তি আরও লোকজন নিয়ে সেখানে জড়ো হতে শুরু করলে দুই তরুণী চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় লোকজন তাদের ঘিরে ফেললে ওই ব্যক্তি ও তার সঙ্গে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যান।
ওই তরুণীদের একজন ফেসবুকে পুরো ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভেটেড পাওয়া গেছে।
পোস্টে তরুণীটি ওই ব্যক্তিদের মারধর ও গালিগালাজের বর্ণনা দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মব জড়ো হয়ে একপর্যায়ে তাদের একটি গেটের ভেতর আটকে ফেলে। এ সময় তাদের একজনকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। তাকে বাঁচাতে অন্যজন এগিয়ে গেলে তিনিও হেনস্থার শিকার হন। তাদের পোশাক ধরেও টানাটানির অভিযোগ করেছেন তারা।
এর মধ্যে খবর পেয়ে তরুণীদের পরিচিতরাও অনেকে ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পরে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় নেওয়া হলে উভয় পক্ষের লোকজন সেখানে জড়ো হন।
থানায় কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে দুই তরুণীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
লালমাটিয়ায় প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে লাঞ্ছনার ঘটনার জের ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার (২ মার্চ) ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে’র ব্যানারে একদল বিক্ষোভকারী লালমাটিয়ার ওই জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখানে তারা দুই তরুণী লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানান।
বিক্ষোভকারীরা পরে মিছিল নিয়ে লালমাটিয়া এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে জড়ো হন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়। সেখানে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সেখান থেকে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ দাবিও জানান তারা।
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় চায়ের দোকানে ধূমপান করা নিয়ে দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার। পরদিন সাংবাদিকরা ওই ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুই নারীর ওপর যে হামলা হয়েছে, ওনারা দুজন নাকি সিগারেট খাইতেছিল। কিছু লোক নাকি নামাজ পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় বাধা দেওয়ায় তাদের ওপর চা ছুড়েছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘তো আপনারা জানেন, ওপেন জায়গায় সিগারেট খাওয়া নারী-পুরুষ সবার জন্য নিষেধ। এটা কিন্তু একটা অফেন্স। এ জন্য আমি অনুরোধ করব, ওপেন যেন কেউ সিগারেটটা না খায়। এখন রোজার সময় সবাইকে সংযমী হতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই বলেন, উপদেষ্টার এ বক্তব্য প্রকারান্তরে লাঞ্ছনা ও হামলাকারীদেরই প্রশ্রয় দিয়েছে। তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
সাংবাদিক সাঈদা গুলরুখ বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঠাট্টার ছলে করা মন্তব্য শুধু দুজন নারীর ওপর শারীরিক আক্রমণের অপরাধকে আড়াল করেনি, হেনস্থার শিকার নারীদের, মানে ভিক্টিম ব্লেমিংও করেছেন। তার দায়িত্ব দেশের আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, অপরাধের কভার-আপ, ভিক্টিম ব্লেমিং বা মোরাল পুলিশিং না।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় লালমাটিয়া আড়ংয়ের পাশের গলিতে মাঠের কোনায় একটি চায়ের দোকানে বসে দুই তরুণী চা ও ধূমপান করছিলেন। সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাদের ধূমপান নিয়ে আপত্তি করেন ও দোকান বন্ধ করতে বলেন।
এ নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দুই তরুণীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের একজন ওই ব্যক্তির গায়ে চা ছুড়ে মারেন। তরুণীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি তাদের অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেওয়ার কারণে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে চা ছুড়ে মারেন।
এরপর ওই ব্যক্তি আরও লোকজন নিয়ে সেখানে জড়ো হতে শুরু করলে দুই তরুণী চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় লোকজন তাদের ঘিরে ফেললে ওই ব্যক্তি ও তার সঙ্গে জড়ো হওয়া ব্যক্তিরা দুই তরুণীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানায় নিয়ে যান।
ওই তরুণীদের একজন ফেসবুকে পুরো ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। পরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিঅ্যাকটিভেটেড পাওয়া গেছে।
পোস্টে তরুণীটি ওই ব্যক্তিদের মারধর ও গালিগালাজের বর্ণনা দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, মব জড়ো হয়ে একপর্যায়ে তাদের একটি গেটের ভেতর আটকে ফেলে। এ সময় তাদের একজনকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়। তাকে বাঁচাতে অন্যজন এগিয়ে গেলে তিনিও হেনস্থার শিকার হন। তাদের পোশাক ধরেও টানাটানির অভিযোগ করেছেন তারা।
এর মধ্যে খবর পেয়ে তরুণীদের পরিচিতরাও অনেকে ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। পরে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় নেওয়া হলে উভয় পক্ষের লোকজন সেখানে জড়ো হন।
থানায় কয়েক ঘণ্টা ধরে আলোচনা ও তর্ক-বিতর্কের পর দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। পরে দুই তরুণীকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
সিইসি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আইনের শাসন কাকে বলে, আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা দেখাতে চাই। তাতে যা হয়, হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা আইনের মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে- এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হলো
১ ঘণ্টা আগেএতে আরও বলা হয়েছে, নোবেল কমিটি সঠিকভাবেই বলেছে, ‘গণতন্ত্র টিকে থাকে সেসব মানুষের মাধ্যমে, যারা নীরব থাকতে অস্বীকৃতি জানায়, যারা গুরুতর ঝুঁকি সত্ত্বেও সামনে এগিয়ে আসতে সাহস করে, এবং যারা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা কখনোই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় না —বরং তা সবসময় রক্ষা করতে হয়—শব্দ দিয়ে, স
১৭ ঘণ্টা আগেঅন্যদিকে সম্প্রতি দূর্গাপূজা চলাকালীন অসুরের প্রতিমার মুখে দাড়ি লাগানোর বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৭০০-এর উপরে যারা এই দাড়ি লাগিয়েছে, তাদের ইতোমধ্যে আমরা জিডি করেছি এবং তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলা করা হচ্ছে। যারাই এই অপকর্মটা করেছে, খুব তাড়াতাড়ি তাদের আমরা আইনের আওত
১৮ ঘণ্টা আগে