অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাবির ঐতিহ্য : উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি

অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ঐতিহ্য। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ঢাবি কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। আজ শনিবার সকাল ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই আলোচনা সভা।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঐতিহ্যগতভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ যখন উচ্চারিত হয়, তখন তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মানুষের গভীর বিশ্বাসেরই প্রতিফলন।

২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট স্মরণ করে সেই সময় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আমরা সবসময় দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ থেকেছি। এ ঐতিহ্যের দায় আমাদের সবার। ভবিষ্যতেও যদি একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, ডাক পড়লে আমরা আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করব।

সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, তারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যার যার জায়গা থেকে দেশের জন্য কাজ করব।

এসময় সম্মানীত অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন ও কারা নির্যাতিত তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় যাঁরা আন্দোলন করেছেন তাঁদের আমরা স্মরণ করছি। শিক্ষকরা আন্দোলনে সবসময় শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সকল অংশীজনের পরামর্শে এগিয়ে গেছে এবং এই চর্চা অব্যাহত থাকবে।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদার ওপর আঘাত এসেছিল। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি দেশের মানুষের ছিল প্রবল আকাঙ্ক্ষা ।

তিনি বলেন, তখন দেশের মানুষ সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির দিকে তাকিয়ে ছিল। আমরা আন্দোলন করেছি এবং দেশকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, আজকের আয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা প্রতিষ্ঠায় যারা আন্দোলন করেছেন তাদের স্মরণ করার অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের স্বকীয়তা না থাকলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব নয়। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরী কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ডেঙ্গুতে আরো ৪ জনের মৃত্যু

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ২ শিশু ও বাকি দুজন ঢাকা মেডিক্যাল ও মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

২ ঘণ্টা আগে

২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময় নির্ধারণ

২০২৬ সালের মে-জুন মাসে পূর্ণাঙ্গ পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণসময়ে ও পূর্ণনম্বরে এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

৩ ঘণ্টা আগে

ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন: রিজওয়ানা হাসান

উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, শিল্পদূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর অভিযান শুরু করা হবে। ঢাকার আশপাশের নদীদূষণ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং পলিথিনবিরোধী কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

৪ ঘণ্টা আগে

রংপুরে ৫৬০ শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতোমধ্যে হাসপাতাল নির্মাণের বাজেটও অনুমোদন করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেককে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এ কারণে সরকার এই বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে না হলেও আগামী সরকার এ কাজ বাস্তবায়ন করবে।’

৪ ঘণ্টা আগে