
নাজমুল ইসলাম হৃদয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী হলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিতর্কিত অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে ধাওয়া দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
ক্যাম্পাসের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে নীল দলের কয়েকজন শিক্ষক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন— এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালানোর সময় অধ্যাপক জামালকে ধাওয়া করা হয় এবং তিনি কোনোমতে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সিঁড়ি থেকে শিক্ষার্থীরা টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে আনছেন। এ সময় তাকে বেশ আতঙ্কিত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘পুলিশকে কল দে, পুলিশকে কল দে!’।
সিঁড়ি দিয়ে নামানোর পর তিনি নিচে অপেক্ষমাণ একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারের দিকে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে গাড়িতে উঠতে বাধা দেন। এ সময় ব্যাপক হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের তীব্র বাধা ও তোপের মুখে তিনি ধস্তাধস্তি করে কোনোমতে গাড়িতে উঠে পড়েন। এরপর চালক দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ঘটনার পরপরই ডাকসু (২০২৫)-এর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিলো। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি।’
এবি জুবায়ের আরও লেখেন, ‘কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো! এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের ডিপার্ট্মেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’
শিক্ষার্থীদের এই তীব্র ক্ষোভের পেছনে রয়েছে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনের দীর্ঘদিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেসময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ এমন ভয়ংকর উক্তি ছাড়াও তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের এক শিক্ষার্থীকে শুধু আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছিলেন এবং ফেসবুকে হুমকি প্রদান করেছিলেন। এ ছাড়া ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা, পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো এবং বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালানোর বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষকের ক্লাস ও পরীক্ষা সর্বাত্মকভাবে বর্জন করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে এবং যারা শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরানোয় উসকানি দিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তবে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে ধাওয়ার এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে এ ধরনের হেনস্তা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এর সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী হলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিতর্কিত অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে ধাওয়া দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
ক্যাম্পাসের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে নীল দলের কয়েকজন শিক্ষক গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন— এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে সেখানে জড়ো হন শত শত শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালানোর সময় অধ্যাপক জামালকে ধাওয়া করা হয় এবং তিনি কোনোমতে তার ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠে পালিয়ে যান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত উত্তপ্ত। ভিডিওর শুরুতে দেখা যায়, অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের সিঁড়ি থেকে শিক্ষার্থীরা টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে আনছেন। এ সময় তাকে বেশ আতঙ্কিত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের উচ্চস্বরে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘পুলিশকে কল দে, পুলিশকে কল দে!’।
সিঁড়ি দিয়ে নামানোর পর তিনি নিচে অপেক্ষমাণ একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারের দিকে দৌড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে গাড়িতে উঠতে বাধা দেন। এ সময় ব্যাপক হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের তীব্র বাধা ও তোপের মুখে তিনি ধস্তাধস্তি করে কোনোমতে গাড়িতে উঠে পড়েন। এরপর চালক দ্রুতগতিতে গাড়িটি চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এ ঘটনার পরপরই ডাকসু (২০২৫)-এর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ বলা আওয়ামী লীগের কুলাঙ্গার শিক্ষক আকম জামাল, নীল দলের পোস্টেড নেতা জিনাত হুদাসহ ৫ জন ফ্যাসিস্টের দোসর শিক্ষক আজকে ক্যাম্পাসে এসে গোপন মিটিংয়ে যুক্ত হয়েছিলো। খবর পেয়ে আমরা তাদেরকে পাকড়াও করে পুলিশে দেয়ার চেষ্টা করি।’
এবি জুবায়ের আরও লেখেন, ‘কিন্তু আনফরচুনেটলি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায় কুলাঙ্গারগুলো! এরা চিহ্নিত খুনিদের দোসর। এদের ডিপার্ট্মেন্টের শিক্ষার্থীরা এদের ক্লাস-পরীক্ষা সব বয়কট করেছে। তারপরও এরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার সাহস কিভাবে পায়! প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে। খুনিদের সাথে কোনো সহাবস্থানের সুযোগ নেই। সবগুলোকে বিচারের আওতায় আনতে হবে শীঘ্রই।’
শিক্ষার্থীদের এই তীব্র ক্ষোভের পেছনে রয়েছে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনের দীর্ঘদিনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। বিশেষ করে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেসময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরাসরি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘স্বঘোষিত রাজাকারের বাচ্চাগুলোরে ধইরা ধইরা ব্রাশফায়ার দিতে হবে’ এমন ভয়ংকর উক্তি ছাড়াও তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের এক শিক্ষার্থীকে শুধু আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করেছিলেন এবং ফেসবুকে হুমকি প্রদান করেছিলেন। এ ছাড়া ক্লাসে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করা, পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো এবং বিরোধী মতের শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালানোর বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষকের ক্লাস ও পরীক্ষা সর্বাত্মকভাবে বর্জন করেছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে এবং যারা শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরানোয় উসকানি দিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তবে অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিনকে ধাওয়ার এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘মব সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককে এ ধরনের হেনস্তা করা অত্যন্ত দুঃখজনক। যারা এর সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

আদালত সংশ্লিষ্টরা জানান, গত সোমবার শওকত মাহমুদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ। শওকত মাহমুদের পক্ষে তার আইনজীবী শফিউজ্জামান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তসহ বেশকিছু বিষয় পরিবর্তন করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশবিশেষ বাতিল করে হাইকোর্টের ঘোষিত রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৫ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তথ্য সচিব জানান, এবারের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মিলে প্রচার-প্রচারণার কাজটি করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। নির্বাচন উপলক্ষে ৩০টি জেলায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে