
রাজশাহী ব্যুরো

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) রাজশাহী জেলার নেতৃবৃন্দ। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধন, সর্বস্তরের শিক্ষক সমাবেশ এবং জাতীয় পর্যায়ে মহাসমাবেশ সহ কঠোর কর্মসূচি পালনেরও হুশিয়ারি দেন শিক্ষক নেতারা।
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। এর আগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- ১. স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ২. সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করে ৪ (চার) স্তরীয় পদসোপান, ৩. অনতিবিলম্বে আঞ্চলিক উপপরিচালকের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা সংরক্ষণসহ মাধ্যমিকের সকল কার্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা রক্ষা, ৪. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার সকল শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং ৫. বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল এর মঞ্জুরী আদেশ প্রদান।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহনেওয়াজ খান বলেন, সরকারি মাধ্যমিকের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের জন্য পদোন্নতিযোগ্য পদ মাত্র ৪%। যৌক্তিক কোনো পদসোপান না থাকায় দীর্ঘ ৩২/৩৩ বছর চাকুরী করেও অধিকাংশ শিক্ষককে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়। পদোন্নতি অনিয়মিত বিধায় বেশকিছু পদ খালি পড়ে থাকে। যা পদোন্নতি বঞ্চিতদের হতাশ করার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। সরকারি মাধ্যমিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ প্রাপ্য বকেয়া টাইমস্কেল, পদমর্যাদা, পদোন্নতি, পদায়ন সহ চাকুরির বিভিন্নক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে সরকারি মাধ্যমিকে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন জরুরী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ এবং ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও এ অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেয়নি সরকার। মাধ্যমিক শিক্ষাকে কলেজ পর্যায়ের অধীনে রেখে শিক্ষকদের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারের স্বার্থে দ্রুত আলাদা অধিদপ্তর গঠন এখন সময়ের দাবি।
শাহনেওয়াজ খান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা জেনেছি প্রধান উপদেষ্টা এটি অনুমোদনও দিয়েছেন, কিন্তু একটি মহল গেজেট প্রকাশে বাধা দিচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এসময় রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াহাব, রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা আখতার জাহান, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম, গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. শাহানাজ বেগম, সরকারি প্রমথনাথ (পিএন) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. দিল মাহমুদা বেগমসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠাসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) রাজশাহী জেলার নেতৃবৃন্দ। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধন, সর্বস্তরের শিক্ষক সমাবেশ এবং জাতীয় পর্যায়ে মহাসমাবেশ সহ কঠোর কর্মসূচি পালনেরও হুশিয়ারি দেন শিক্ষক নেতারা।
আজ রোববার বিকেলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। এর আগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এন্ট্রি পদ নবম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন।
তাদের পাঁচ দফা দাবি হলো- ১. স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ২. সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকের এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত করে ৪ (চার) স্তরীয় পদসোপান, ৩. অনতিবিলম্বে আঞ্চলিক উপপরিচালকের প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা সংরক্ষণসহ মাধ্যমিকের সকল কার্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য ও মর্যাদা রক্ষা, ৪. বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার সকল শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং ৫. বকেয়া সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল এর মঞ্জুরী আদেশ প্রদান।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহনেওয়াজ খান বলেন, সরকারি মাধ্যমিকের প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষকের জন্য পদোন্নতিযোগ্য পদ মাত্র ৪%। যৌক্তিক কোনো পদসোপান না থাকায় দীর্ঘ ৩২/৩৩ বছর চাকুরী করেও অধিকাংশ শিক্ষককে পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে যেতে হয়। পদোন্নতি অনিয়মিত বিধায় বেশকিছু পদ খালি পড়ে থাকে। যা পদোন্নতি বঞ্চিতদের হতাশ করার পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়নে অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। সরকারি মাধ্যমিকে শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ প্রাপ্য বকেয়া টাইমস্কেল, পদমর্যাদা, পদোন্নতি, পদায়ন সহ চাকুরির বিভিন্নক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে সরকারি মাধ্যমিকে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন জরুরী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৩ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ এবং ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য একটি স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরেও এ অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেয়নি সরকার। মাধ্যমিক শিক্ষাকে কলেজ পর্যায়ের অধীনে রেখে শিক্ষকদের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক বিকাশ দীর্ঘদিন ধরে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কারের স্বার্থে দ্রুত আলাদা অধিদপ্তর গঠন এখন সময়ের দাবি।
শাহনেওয়াজ খান বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গত ৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গঠনের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা জেনেছি প্রধান উপদেষ্টা এটি অনুমোদনও দিয়েছেন, কিন্তু একটি মহল গেজেট প্রকাশে বাধা দিচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এসময় রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপপরিচালক মো. আব্দুর রশিদ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াহাব, রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) রহিমা আখতার জাহান, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. মোসা. নূরজাহান বেগম, গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ড. শাহানাজ বেগম, সরকারি প্রমথনাথ (পিএন) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. দিল মাহমুদা বেগমসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া তফসিলসহ ১০টি বিষয়ে সভার আলোচ্যসূচি রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তফসিলের আগের ও পরের কার্যক্রমগুলো, গণভোট আয়োজনসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা, মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ যোগাযোগ, মতবিনিময়, সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয় ইত্যাদি।
১৫ ঘণ্টা আগে
কর্মশালায় “গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ), নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) এবং নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ এর পরিচিতি” বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘আমরা কেউ একাকী সমৃদ্ধি আনতে পারব না। তাই পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
১৬ ঘণ্টা আগে
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই)’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার পরামর্শ দেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে