প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়। পরে জিপিও মোড়-গুলিস্তান এলাকাতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে আহত অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটকও করেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে সচিবালয়ে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। বিকেল ৫টা নাগাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আধা ঘণ্টা পরই গুলিস্তান-জিপিও এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের দাবির পাশাপাশি মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে এ দিন রাজপথে নামে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সে দাবি রূপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে।
প্রথমে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, নূর মোহাম্মদ কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, কমার্স কলেজ, আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মিরপুর কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আরও কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে যান। সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
রাজনীতি ডটকমের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক রায়হান হক সচিবালয়ের ভেতর ও বাইরে সহিংসতার ঘটনা কভার করেছেন। তিনি জানান, সচিবালয়ের সামনে দুপুরের দিকে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে তারা সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের বের করতে প্রথমে ধাওয়া ও পরে লাঠিচার্জ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপশি কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
রায়হান জানান, কিছু শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ভেতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের কিছুদিন পর পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছিলেন, একইভাবে এ দিনও শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার
এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ না হওয়ায় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় কয়েকজন ছাত্র ও সেনাবাহিনীর একজন সদস্য আহত হয়ে সচিবালয়ের ভেতরের রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় আহত বেশ কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রায়হান আরও জানান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের পাশাপশি লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা সচিবালয় থেকে বের হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে চলে যান। সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন, আটকে করা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে সহিংসতা চলছিল।
দুপক্ষের সংষর্ষে আহত প্রায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে কয়েকজনকে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আন্দোলনে যোগ দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী রাজনীতি ডটকমকে বলেন, মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাবি ছিল, অন্তত মরদেহের সঠিক হিসাবটা যেন দেওয়া হয়। এ দুর্ঘটনায় কারও ভাই মারা গেছে, কারও বোন মারা গেছে, এক পরীক্ষার্থীর মা মারা গেছেন। এ জন্য তাদের চাওয়া ছিল, অন্তত মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা যেন স্থগিত করা হয়। তাদের সে দাবি প্রথমে মানা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পরেন যখন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উত্তাল হয়, তখন রাত ৩টার দিতে তারা ঘোষণা দেন— আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত। তারা সিদ্ধান্তটা আগে নিলেন না কেন? কোন হিসাবে রাত ৩টার দিকে সেটা জানালেন? এ জন্য আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ চেয়েছি।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটকের তথ্য স্বীকার করেনি। শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এর আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। ১২ মিনিট পরেই এটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১৬৫ জন।
এ দুর্ঘটনার পরদিন আজ মঙ্গলবার এইচএসসিতে রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র বা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের দাবি ওঠে। তবে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা উপদেষ্টা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে রাত ৩টার দিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ দিনের পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা স্থগিতের এ সিদ্ধান্তের খবর অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই পৌঁছেনি। অনেকে এ দিন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পৌঁছেও যান সময়মতো। গিয়ে জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিতের কথা। এমনকি একাধিক শিক্ষকের সঙ্গেও রাজনীতি ডটকমের কথা হয়েছে, যারা জানিয়েছেন যে তারাও পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জেনেছেন।
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করার পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেয়। পরে জিপিও মোড়-গুলিস্তান এলাকাতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে।
বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপে আহত অন্তত ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটকও করেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা গেট ভেঙে সচিবালয়ে ঢুকে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে। বিকেল ৫টা নাগাদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আধা ঘণ্টা পরই গুলিস্তান-জিপিও এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে হতাহতদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের দাবির পাশাপাশি মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে এ দিন রাজপথে নামে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সে দাবি রূপ নেয় অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগের দাবিতে।
প্রথমে সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, নূর মোহাম্মদ কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ, কমার্স কলেজ, আদমজি ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, মিরপুর কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আরও কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। পরে তারা মিছিল নিয়ে শিক্ষা ভবনের দিকে যান। সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
রাজনীতি ডটকমের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক রায়হান হক সচিবালয়ের ভেতর ও বাইরে সহিংসতার ঘটনা কভার করেছেন। তিনি জানান, সচিবালয়ের সামনে দুপুরের দিকে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে তারা সচিবালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের বের করতে প্রথমে ধাওয়া ও পরে লাঠিচার্জ করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপশি কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
রায়হান জানান, কিছু শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ভেতরে থাকা গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের কিছুদিন পর পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা যেভাবে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছিলেন, একইভাবে এ দিনও শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার
এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ না হওয়ায় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় কয়েকজন ছাত্র ও সেনাবাহিনীর একজন সদস্য আহত হয়ে সচিবালয়ের ভেতরের রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় আহত বেশ কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রায়হান আরও জানান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাসের পাশাপশি লাঠিচার্জের মুখে শিক্ষার্থীরা সচিবালয় থেকে বের হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের দিকে চলে যান। সেখানে ছাত্রদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন, আটকে করা হয় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে থেমে থেমে সহিংসতা চলছিল।
দুপক্ষের সংষর্ষে আহত প্রায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে কয়েকজনকে। ছবি: রাজনীতি ডটকম
আন্দোলনে যোগ দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী রাজনীতি ডটকমকে বলেন, মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাবি ছিল, অন্তত মরদেহের সঠিক হিসাবটা যেন দেওয়া হয়। এ দুর্ঘটনায় কারও ভাই মারা গেছে, কারও বোন মারা গেছে, এক পরীক্ষার্থীর মা মারা গেছেন। এ জন্য তাদের চাওয়া ছিল, অন্তত মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা যেন স্থগিত করা হয়। তাদের সে দাবি প্রথমে মানা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পরেন যখন বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উত্তাল হয়, তখন রাত ৩টার দিতে তারা ঘোষণা দেন— আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত। তারা সিদ্ধান্তটা আগে নিলেন না কেন? কোন হিসাবে রাত ৩টার দিকে সেটা জানালেন? এ জন্য আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিবের পদত্যাগ চেয়েছি।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ সদস্যদের কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। তবে পুলিশ এখনো কাউকে আটকের তথ্য স্বীকার করেনি। শাহবাগ থানার ওসি খালেদ মনসুর জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যান চলাচল শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এর আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। ১২ মিনিট পরেই এটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১৬৫ জন।
এ দুর্ঘটনার পরদিন আজ মঙ্গলবার এইচএসসিতে রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র বা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
সোমবার বিমান দুর্ঘটনার পর থেকেই মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের দাবি ওঠে। তবে শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা উপদেষ্টা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে রাত ৩টার দিকে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজেদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ দিনের পরীক্ষা স্থগিতের তথ্য জানান।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা স্থগিতের এ সিদ্ধান্তের খবর অনেক শিক্ষার্থীর কাছেই পৌঁছেনি। অনেকে এ দিন কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পৌঁছেও যান সময়মতো। গিয়ে জানতে পারেন পরীক্ষা স্থগিতের কথা। এমনকি একাধিক শিক্ষকের সঙ্গেও রাজনীতি ডটকমের কথা হয়েছে, যারা জানিয়েছেন যে তারাও পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জেনেছেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার অব্যবহিত পরেই পুলিশের কঠোর পাহারায় মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাস থেকে দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবকে বহনকারী গাড়িবহর বের হয়। পরে মেট্রো রেলের ডিপোর ভেতরের রাস্তা দিয়ে গাড়িগুলো বেরিয়ে যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে ভারত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ড. নজরুল জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেকমান্ড্যান্ট এস এম সোলায়মান বলেন, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসাসেবা দেবেন। প্রয়োজন হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যাপারে পরামর্শ দেবেন তারা। এছাড়া সিএমএইচ থেকে দুজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে