
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

হার্ট বা হৃদযন্ত্র আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। প্রতিদিন এটি লক্ষ লক্ষ বার স্পন্দিত হয়ে রক্তকে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ও ব্যায়ামের অভাবে অনেকেই আজ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। একবার হার্টের কোনো সমস্যা দেখা দিলে জীবনযাপন পুরোপুরি পালটে ফেলতে হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তখন নজরে রাখতে হয়, তা হলো খাবার। কারণ ভুল খাদ্যাভ্যাস হার্টের অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিতে পারে। তাই হৃদরোগীদের কী কী খাওয়া উচিত নয়, তা জানা খুব জরুরি।
বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ ড. ডিন অর্ণিশ। তিনি হার্টের রোগ প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন, তিনি বলেন—‘আমরা কী খাই তা বদলালে অনেক সময় হৃদরোগের গতিপথই বদলে দেওয়া সম্ভব।’
প্রথমেই যে খাদ্য উপাদানটি হৃদরোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত, তা হলো অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার। বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় চর্বি। এগুলো পাওয়া যায় গরুর মাংস, খাসির মাংস, মাখন, চিজ, এবং ডিপ ফ্রাই খাবারে। এইসব চর্বি শরীরে গিয়ে লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে, যা ধমনিতে চর্বির স্তর জমিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলেই হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, এটা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম বড় কারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চান স্কুল অব পাবলিক হেল-এর পুষ্টিবিদ ড. ওয়াল্টার উইলেট বলেন, `আপনি কতটা চর্বি খাচ্ছেন, তার চেয়েও বড় বিষয় হলো কী ধরনের চর্বি খাচ্ছেন। তিনি বলেন, ট্রান্স ফ্যাটের কোনও নিরাপদ মাত্রা নেই। এটি সরাসরি হার্টের জন্য ক্ষতিকর।’
এরপর আসে লবণ বা সোডিয়ামের কথা। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা হার্টের জন্য একধরনের নীরব ঘাতক। আমাদের দেশে খাবারে লবণ দেওয়ার প্রবণতা বেশি। তার ওপর রয়েছে প্রসেসড ফুড, প্যাকেট স্ন্যাক্স, আচার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস—যেখানে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যধিক। নিয়মিত এসব খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে হাইপারটেনশন দেখা দেয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের পেশিকে দুর্বল করে দেয়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনবা এএইচএ জানায়, প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। অথচ একটি ফাস্ট ফুড বার্গার বা চিপসেই সেই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এএইচএ-র মুখপাত্র ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ ড. লিসা ইয়াং বলেন—‘মানুষ বুঝতেই পারে না যে, কোথায় কোথায় অতিরিক্ত লবণ লুকিয়ে রয়েছে।’
হার্টের রোগীরা অবশ্যই মিষ্টিজাত খাবার, বিশেষ করে ‘রিফাইন্ড সুগার’-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন। প্যাকেটবন্দি কোমল পানীয়, কেক, বিস্কুট, মিষ্টি সিরাপ, এমনকি কিছু দুধজাত পণ্যেও চিনি থাকে অতিরিক্ত মাত্রায়। এসব খেলে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে, যা আবার ধমনির দেয়ালে জমে হঠাৎ ব্লক তৈরি করতে পারে। রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
লন্ডনের কিংস কলেজের কার্ডিওলজিস্ট ও গবেষক ড. রাজ খাজাওয়ালা বলেন, “ যারা আগে থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের শরীরে চিনি বিষের মতো কাজ করে।’
অ্যালকোহল হার্টের জন্য বিপজ্জনক, তা হলো অ্যালকোহল। অনেকেই মনে করেন, অল্প পরিমাণে মদ্যপান হার্টের জন্য উপকারী। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল হার্টের ছন্দে সমস্যা তৈরি করে, রক্তচাপ বাড়ায় এবং কার্ডিওমায়োপ্যাথি সৃষ্টি করে—যাতে হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার *বেকার হার্ট অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট-এর গবেষক ড. টম মার্সডেন ”এমনকি মাঝারি মাত্রার অ্যালকোহলও হার্টের ছন্দপতনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’
হার্টের রোগীদের জন্য আরেকটি বিপজ্জনক খাবার হলো প্রসেসড মাংস। হট ডগ, সসেজ, প্যাকেটজাত সালামি কিংবা বেকন জাতীয় খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ, যেগুলো রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এসব খাবারে হেম আয়রন নামের একটি উপাদান থাকে, এট হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার মতো আরেকটি উপাদান হলো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা চাল, ময়দা, পাউরুটি। এসব খেলে রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বেড়ে যায়, ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া বাড়ে এবং একসময় তা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের দিকে গড়ায়, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. ডেভিড জেনকিন্স গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ধারণার জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অর্থাৎ যারা কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার খান, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।”
তাহলে কী খাবেন? সে প্রশ্নটিও আসবেই। তবে তার আগে জানতে হবে কী কী এড়িয়ে চললে হার্ট সুস্থ থাকে। খাবারে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকতা বজায় রাখা জরুরি। কাঁচা সবজি, ফলমূল, বাদাম, ওটস, ব্রাউন রাইস, হোলগ্রেইন ব্রেড—এসব খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী।
সবশেষে বলা যায়, হার্টের রোগীদের জন্য খাবার যেন ওষুধের মতো। ভুল খাবার শুধু হৃদপিণ্ড নয়, সারা শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। আর সঠিক খাদ্যাভ্যাস শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে। আধুনিক গবেষণা আজ বারবার প্রমাণ করেছে, হার্ট ভালো রাখতে হলে মুখের স্বাদ নয়, বরং হৃদয়ের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

হার্ট বা হৃদযন্ত্র আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর একটি। প্রতিদিন এটি লক্ষ লক্ষ বার স্পন্দিত হয়ে রক্তকে সারা শরীরে পৌঁছে দেয়। কিন্তু আধুনিক জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ও ব্যায়ামের অভাবে অনেকেই আজ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। একবার হার্টের কোনো সমস্যা দেখা দিলে জীবনযাপন পুরোপুরি পালটে ফেলতে হয়। চিকিৎসার পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তখন নজরে রাখতে হয়, তা হলো খাবার। কারণ ভুল খাদ্যাভ্যাস হার্টের অবস্থাকে আরও খারাপ করে দিতে পারে। তাই হৃদরোগীদের কী কী খাওয়া উচিত নয়, তা জানা খুব জরুরি।
বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ ড. ডিন অর্ণিশ। তিনি হার্টের রোগ প্রতিরোধে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের গুরুত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন, তিনি বলেন—‘আমরা কী খাই তা বদলালে অনেক সময় হৃদরোগের গতিপথই বদলে দেওয়া সম্ভব।’
প্রথমেই যে খাদ্য উপাদানটি হৃদরোগীদের এড়িয়ে চলা উচিত, তা হলো অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার। বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় চর্বি। এগুলো পাওয়া যায় গরুর মাংস, খাসির মাংস, মাখন, চিজ, এবং ডিপ ফ্রাই খাবারে। এইসব চর্বি শরীরে গিয়ে লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে, যা ধমনিতে চর্বির স্তর জমিয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলেই হয় অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস, এটা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের অন্যতম বড় কারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি.এইচ. চান স্কুল অব পাবলিক হেল-এর পুষ্টিবিদ ড. ওয়াল্টার উইলেট বলেন, `আপনি কতটা চর্বি খাচ্ছেন, তার চেয়েও বড় বিষয় হলো কী ধরনের চর্বি খাচ্ছেন। তিনি বলেন, ট্রান্স ফ্যাটের কোনও নিরাপদ মাত্রা নেই। এটি সরাসরি হার্টের জন্য ক্ষতিকর।’
এরপর আসে লবণ বা সোডিয়ামের কথা। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়, যা হার্টের জন্য একধরনের নীরব ঘাতক। আমাদের দেশে খাবারে লবণ দেওয়ার প্রবণতা বেশি। তার ওপর রয়েছে প্রসেসড ফুড, প্যাকেট স্ন্যাক্স, আচার, ইনস্ট্যান্ট নুডলস—যেখানে সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যধিক। নিয়মিত এসব খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে হাইপারটেনশন দেখা দেয়, যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হার্টের পেশিকে দুর্বল করে দেয়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনবা এএইচএ জানায়, প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। অথচ একটি ফাস্ট ফুড বার্গার বা চিপসেই সেই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এএইচএ-র মুখপাত্র ও নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ ড. লিসা ইয়াং বলেন—‘মানুষ বুঝতেই পারে না যে, কোথায় কোথায় অতিরিক্ত লবণ লুকিয়ে রয়েছে।’
হার্টের রোগীরা অবশ্যই মিষ্টিজাত খাবার, বিশেষ করে ‘রিফাইন্ড সুগার’-জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন। প্যাকেটবন্দি কোমল পানীয়, কেক, বিস্কুট, মিষ্টি সিরাপ, এমনকি কিছু দুধজাত পণ্যেও চিনি থাকে অতিরিক্ত মাত্রায়। এসব খেলে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে, যা আবার ধমনির দেয়ালে জমে হঠাৎ ব্লক তৈরি করতে পারে। রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
লন্ডনের কিংস কলেজের কার্ডিওলজিস্ট ও গবেষক ড. রাজ খাজাওয়ালা বলেন, “ যারা আগে থেকেই হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের শরীরে চিনি বিষের মতো কাজ করে।’
অ্যালকোহল হার্টের জন্য বিপজ্জনক, তা হলো অ্যালকোহল। অনেকেই মনে করেন, অল্প পরিমাণে মদ্যপান হার্টের জন্য উপকারী। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল হার্টের ছন্দে সমস্যা তৈরি করে, রক্তচাপ বাড়ায় এবং কার্ডিওমায়োপ্যাথি সৃষ্টি করে—যাতে হার্ট দুর্বল হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার *বেকার হার্ট অ্যান্ড ডায়াবেটিস ইনস্টিটিউট-এর গবেষক ড. টম মার্সডেন ”এমনকি মাঝারি মাত্রার অ্যালকোহলও হার্টের ছন্দপতনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।’
হার্টের রোগীদের জন্য আরেকটি বিপজ্জনক খাবার হলো প্রসেসড মাংস। হট ডগ, সসেজ, প্যাকেটজাত সালামি কিংবা বেকন জাতীয় খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ, যেগুলো রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এসব খাবারে হেম আয়রন নামের একটি উপাদান থাকে, এট হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার মতো আরেকটি উপাদান হলো রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, যেমন সাদা চাল, ময়দা, পাউরুটি। এসব খেলে রক্তে গ্লুকোজ দ্রুত বেড়ে যায়, ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া বাড়ে এবং একসময় তা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের দিকে গড়ায়, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. ডেভিড জেনকিন্স গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ধারণার জন্ম দিয়েছেন। তিনি বলেন, “অর্থাৎ যারা কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও বেশি ফাইবারযুক্ত খাবার খান, তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।”
তাহলে কী খাবেন? সে প্রশ্নটিও আসবেই। তবে তার আগে জানতে হবে কী কী এড়িয়ে চললে হার্ট সুস্থ থাকে। খাবারে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিকতা বজায় রাখা জরুরি। কাঁচা সবজি, ফলমূল, বাদাম, ওটস, ব্রাউন রাইস, হোলগ্রেইন ব্রেড—এসব খাবারে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার, যা হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী।
সবশেষে বলা যায়, হার্টের রোগীদের জন্য খাবার যেন ওষুধের মতো। ভুল খাবার শুধু হৃদপিণ্ড নয়, সারা শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে। আর সঠিক খাদ্যাভ্যাস শুধু রোগ প্রতিরোধ নয়, বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে পারে। আধুনিক গবেষণা আজ বারবার প্রমাণ করেছে, হার্ট ভালো রাখতে হলে মুখের স্বাদ নয়, বরং হৃদয়ের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চব্বিশের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় পুড়িয়ে ফেলা শহীদদের জন্য কিছু করতে না পারায় তাদের পরিবারসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রাজসাক্ষী শেখ আবজালুল হক।
৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মনে করেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে শান্ত, উৎসবের রঙে ভরপুর এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য। তিনি নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা কামনা করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
রিচার্জের পর টাকা না ব্যবহৃত থাকলে তা তিন মাস পর্যন্ত বৈধ থাকবে। যদি যাত্রী স্পর্শ না করেন, তাহলে ১০% সার্ভিস চার্জ কেটে রিচার্জ করা টাকা ফেরত নেওয়া যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যে বয়সের ছেলে-মেয়েদের দেখেছিলাম, ২৪ এর যুদ্ধে আবার সেই তরুণ ছেলে-মেয়েদেরকে রাস্তায় খুব কাছে থেকে তোমাদের পাশে থেকে দেখলাম।
৬ ঘণ্টা আগে