ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমরা অনেকেই মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত থাকি। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় যদি মুখে বাজে গন্ধ বের হয়, তাহলে লজ্জা লাগে। আবার অন্য কেউ যদি বলে—“তোমার মুখে গন্ধ হচ্ছে”—তাহলে মাথা নিচু হয়ে যায়। অথচ এই সমস্যাটা খুব সাধারণ। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবারই হতে পারে। কিন্তু ভালো কথা হলো—সঠিক নিয়ম মানলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
প্রথমে বুঝে নেওয়া দরকার, মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়। এই গন্ধ সাধারণত মুখের ভেতর জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া (অণুজীব) থেকে আসে। দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার, জিভের ওপর জমে থাকা ময়লা, শুকনো মুখ, মুখে লালা কম হওয়া—এসব কারণে দুর্গন্ধ হয়। কেউ কেউ ঠিকমতো পানি খায় না। ফলে মুখ শুকিয়ে যায়, আর তখন দুর্গন্ধ হয়। আবার অনেক সময় পেটের সমস্যাও এর কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মুখ ও দাঁত বিশেষজ্ঞ ড. ম্যাথিউ ম্যেসিনা বলেন, “মুখের দুর্গন্ধের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে মুখের ভেতরের সমস্যা থেকে। সঠিকভাবে দাঁত ও জিভ পরিষ্কার না করলে, ব্যাকটেরিয়া গন্ধ তৈরি করে।” তিনি আরও বলেন, “দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ না করলে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।”
তাহলে কীভাবে এই গন্ধ থেকে বাঁচা যায়? প্রথম উপায়—পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অনেকেই শুধু সকালে ব্রাশ করেন। কিন্তু রাতে না করলে সারাদিনের খাবারের কণা মুখে থেকে যায়। আর সেখান থেকে গন্ধ হয়।
এছাড়া জিভ পরিষ্কার করাও খুব দরকার। আমাদের জিভে অনেক সময় সাদা বা হলুদ রঙের আস্তরণ পড়ে। এটাও দুর্গন্ধের বড় কারণ। বাজারে জিভ পরিষ্কার করার জন্য টং স্ক্র্যাপার পাওয়া যায়। সেটা ব্যবহার করলে জিভ পরিষ্কার হয়। তবে জিভ পরিষ্কারের সময় খুব বেশি জোরে চাপ দেওয়া উচিত না।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করাও ভালো উপায়। এক গ্লাস গরম পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে দিনে দুইবার কুলকুচি করলে মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। অনেক সময় মাউথওয়াশ ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে সবসময় কেমিক্যালযুক্ত মাউথওয়াশ না ব্যবহার করাই ভালো। প্রাকৃতিক উপায়ে বানানো মাউথওয়াশ বেছে নেওয়া ভালো।
খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হতে হয়। অনেক সময় যেসব খাবারে পেঁয়াজ, রসুন থাকে, সেগুলোর কারণে মুখে গন্ধ হয়। এগুলো খাওয়ার পরে দাঁত না মাজলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গন্ধ থেকে যায়। তাই এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে নেওয়া বা দাঁত ব্রাশ করা জরুরি।
এছাড়া পানির অভাব থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। মুখে যদি পর্যাপ্ত লালা তৈরি না হয়, তাহলে মুখ শুকিয়ে যায়। তখন ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। তাই দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খেতে হবে। পানি খেলে মুখ আর্দ্র থাকে, আর ব্যাকটেরিয়া কমে যায়।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. হারল্ড কাটজ এই বিষয়ে বলেন, “মুখের লালার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যারা কম পানি পান করেন, তাদের মুখ শুকিয়ে যায়। তখন এই লালার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।” তাঁর মতে, মুখে দুর্গন্ধ রোধে বেশি করে পানি খাওয়া এবং মুখ আর্দ্র রাখা সবচেয়ে সহজ উপায়।
তবে কিছু সময় দুর্গন্ধের মূল কারণ মুখে নয়, শরীরের ভেতরে থাকে। যেমন, হজমের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা টনসিলের সমস্যাও দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। যদি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরও গন্ধ না যায়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা দরকার।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ ও চোয়ালের রোগ বিশেষজ্ঞ ড. সোফিয়া ব্রাউন বলেন, “যদি কেউ দীর্ঘদিন মুখের দুর্গন্ধে ভোগেন, অথচ সব নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে সেটা হতে পারে ভেতরের কোনো রোগের লক্ষণ। অনেক সময় গ্যাস, অ্যাসিড, বা পাকস্থলির ব্যাকটেরিয়াও মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করে।”
তাই শুধু বাহির থেকে পরিষ্কার করলেই হবে না, ভেতরের দিকটাও ঠিক রাখতে হবে। ভালো খাবার খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা—এসব স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মুখেও দুর্গন্ধ হয় না।
মুখে চিবিয়ে খাওয়া তাজা পুদিনা পাতা বা তুলসি পাতা থেকেও উপকার পাওয়া যায়। এই পাতাগুলোতে থাকে প্রাকৃতিক তেল, যা মুখের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। আবার লেবু ও আদার রস মিশিয়ে পান করলেও অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবশেষে বলা যায়, মুখের দুর্গন্ধ খুব ভয় পাওয়ার মতো বিষয় নয়। এটা আমাদের অনেকেরই হয়। কিন্তু নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের জীবনে একটু যত্ন নিলেই মুখ থাকবে সুগন্ধময়, আর আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, যুক্তরাষ্ট্র
আমরা অনেকেই মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত থাকি। কারো সঙ্গে কথা বলার সময় যদি মুখে বাজে গন্ধ বের হয়, তাহলে লজ্জা লাগে। আবার অন্য কেউ যদি বলে—“তোমার মুখে গন্ধ হচ্ছে”—তাহলে মাথা নিচু হয়ে যায়। অথচ এই সমস্যাটা খুব সাধারণ। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবারই হতে পারে। কিন্তু ভালো কথা হলো—সঠিক নিয়ম মানলে মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায়।
প্রথমে বুঝে নেওয়া দরকার, মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়। এই গন্ধ সাধারণত মুখের ভেতর জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া (অণুজীব) থেকে আসে। দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবার, জিভের ওপর জমে থাকা ময়লা, শুকনো মুখ, মুখে লালা কম হওয়া—এসব কারণে দুর্গন্ধ হয়। কেউ কেউ ঠিকমতো পানি খায় না। ফলে মুখ শুকিয়ে যায়, আর তখন দুর্গন্ধ হয়। আবার অনেক সময় পেটের সমস্যাও এর কারণ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মুখ ও দাঁত বিশেষজ্ঞ ড. ম্যাথিউ ম্যেসিনা বলেন, “মুখের দুর্গন্ধের প্রায় ৮০ শতাংশই আসে মুখের ভেতরের সমস্যা থেকে। সঠিকভাবে দাঁত ও জিভ পরিষ্কার না করলে, ব্যাকটেরিয়া গন্ধ তৈরি করে।” তিনি আরও বলেন, “দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ না করলে দুর্গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।”
তাহলে কীভাবে এই গন্ধ থেকে বাঁচা যায়? প্রথম উপায়—পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করতে হবে। অনেকেই শুধু সকালে ব্রাশ করেন। কিন্তু রাতে না করলে সারাদিনের খাবারের কণা মুখে থেকে যায়। আর সেখান থেকে গন্ধ হয়।
এছাড়া জিভ পরিষ্কার করাও খুব দরকার। আমাদের জিভে অনেক সময় সাদা বা হলুদ রঙের আস্তরণ পড়ে। এটাও দুর্গন্ধের বড় কারণ। বাজারে জিভ পরিষ্কার করার জন্য টং স্ক্র্যাপার পাওয়া যায়। সেটা ব্যবহার করলে জিভ পরিষ্কার হয়। তবে জিভ পরিষ্কারের সময় খুব বেশি জোরে চাপ দেওয়া উচিত না।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করাও ভালো উপায়। এক গ্লাস গরম পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে দিনে দুইবার কুলকুচি করলে মুখে থাকা ব্যাকটেরিয়া কমে যায়। অনেক সময় মাউথওয়াশ ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে সবসময় কেমিক্যালযুক্ত মাউথওয়াশ না ব্যবহার করাই ভালো। প্রাকৃতিক উপায়ে বানানো মাউথওয়াশ বেছে নেওয়া ভালো।
খাবারের ব্যাপারেও সতর্ক হতে হয়। অনেক সময় যেসব খাবারে পেঁয়াজ, রসুন থাকে, সেগুলোর কারণে মুখে গন্ধ হয়। এগুলো খাওয়ার পরে দাঁত না মাজলে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত গন্ধ থেকে যায়। তাই এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর মুখ ধুয়ে নেওয়া বা দাঁত ব্রাশ করা জরুরি।
এছাড়া পানির অভাব থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। মুখে যদি পর্যাপ্ত লালা তৈরি না হয়, তাহলে মুখ শুকিয়ে যায়। তখন ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। তাই দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খেতে হবে। পানি খেলে মুখ আর্দ্র থাকে, আর ব্যাকটেরিয়া কমে যায়।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. হারল্ড কাটজ এই বিষয়ে বলেন, “মুখের লালার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যারা কম পানি পান করেন, তাদের মুখ শুকিয়ে যায়। তখন এই লালার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।” তাঁর মতে, মুখে দুর্গন্ধ রোধে বেশি করে পানি খাওয়া এবং মুখ আর্দ্র রাখা সবচেয়ে সহজ উপায়।
তবে কিছু সময় দুর্গন্ধের মূল কারণ মুখে নয়, শরীরের ভেতরে থাকে। যেমন, হজমের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা টনসিলের সমস্যাও দুর্গন্ধ তৈরি করতে পারে। যদি নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরও গন্ধ না যায়, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা দরকার।
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ ও চোয়ালের রোগ বিশেষজ্ঞ ড. সোফিয়া ব্রাউন বলেন, “যদি কেউ দীর্ঘদিন মুখের দুর্গন্ধে ভোগেন, অথচ সব নিয়ম মেনে চলেন, তাহলে সেটা হতে পারে ভেতরের কোনো রোগের লক্ষণ। অনেক সময় গ্যাস, অ্যাসিড, বা পাকস্থলির ব্যাকটেরিয়াও মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করে।”
তাই শুধু বাহির থেকে পরিষ্কার করলেই হবে না, ভেতরের দিকটাও ঠিক রাখতে হবে। ভালো খাবার খাওয়া, প্রচুর পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা—এসব স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মুখেও দুর্গন্ধ হয় না।
মুখে চিবিয়ে খাওয়া তাজা পুদিনা পাতা বা তুলসি পাতা থেকেও উপকার পাওয়া যায়। এই পাতাগুলোতে থাকে প্রাকৃতিক তেল, যা মুখের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে। আবার লেবু ও আদার রস মিশিয়ে পান করলেও অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায়।
সবশেষে বলা যায়, মুখের দুর্গন্ধ খুব ভয় পাওয়ার মতো বিষয় নয়। এটা আমাদের অনেকেরই হয়। কিন্তু নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের জীবনে একটু যত্ন নিলেই মুখ থাকবে সুগন্ধময়, আর আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি অব্যাহত নির্যাতনের প্রতিবাদে বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নেওয়া খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকার কর্মী শহিদুল আলমের পক্ষে সংহতি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞের শিকার গাজার প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।
১৩ ঘণ্টা আগেচীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন এবং বাংলাদেশ পারস্পরিক আস্থা সুসংহত করে চলেছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা প্রসারিত করেছে এবং তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব আরও গভীর করেছে।
১৭ ঘণ্টা আগেঅভিনন্দন বার্তায় ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, ৫০ বছর আগে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ বিকশিত হয়েছে এবং সহযোগিতা ফলপ্রসূ ফলাফল এনেছে, যা উদযাপনের যোগ্য।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৯৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২ জন, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৭ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন।
১৮ ঘণ্টা আগে