
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ডেলটা হাসপাতালে এক নবজাতকের হাত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগে শিশুটির পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নবজাতকটির চিকিৎসায় অবহেলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই নবজাতকের বাবা মো. নূরের সাফাহর করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও সৈয়দ জাহেদ মনসুরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নূরের সাফাহর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান, আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম (সোহেল)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন মো. হানিফসহ অন্যরা।
শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ দিন বয়সী ওই নবজাতক জন্ডিসে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য গত ৩ এপ্রিল ডেলটা হাসপাতালে ডা. এ কে খাইরুল আনাম চৌধুরীর অধীনে ভর্তি করা হয়। শিশুটির বাবা মো. নূরের সাফাহর অভিযোগ, চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে দেখতে পান, তার একটি হাত ভেঙে গেছে।
রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করা আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম (সোহেল) রাজনীতি ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার গুরুতর অভিযোগ আমলে নিয়ে শিশুটির পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন।

ডেলটা হাসপাতাল থেকে দেওয়া শিশুটির ছাড়পত্র। ছবি: সংগৃহীত
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। হাইকোর্ট রুলে এ বিষয়েও জবাব জানতে চেয়েছেন বলে জানা ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম।
শিশুর বাবা নূরের সাফাহ জানান, বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানানো হয়, তাকে দীর্ঘ সময় ধরে টানা ফটোথেরাপি দিতে হবে। এ সময় দুই থেকে তিনবার মা গিয়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবে। বাকি সময়ের জন্য ব্রেস্ট পাম্প করে করে দিলে তারা বাচ্চাকে খাওয়াবে। রাত ১২টার পর বাচ্চার কাছে কেউ থাকতে পারবে না।
নূরের সাফাহ বলেন, তাদের কথামতো আমার স্ত্রী বাচ্চাকে রাত ১২টায় খাইয়ে দিয়ে আসে। সকাল ৭টায় আবার বাচ্চাকে খাওয়াতে গেলে দেখে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এবং কোনোভাবেই তাকে ঘুম থেকে ওঠানো যায়নি। ওই সময় নার্স জানায়, বাচ্চা ঘুম থেকে উঠলে তারা ডাকবে।
সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসায় শিশুটিকে রিলিজ দেওয়া হবে। নূরের সাফাহ বলেন, রিলিজের সময় বাচ্চাকে দিয়ে আমাদের জানায়, বাচ্চার ডান হাতে ক্যানোলা পরানোর কারণে ব্যথা থাকতে পারে। ওই হাত যেন কম নাড়ানো হয়। বাচ্চা তখনো ঘুমাচ্ছিল এবং তার পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল।
বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর ওই নবজাতককে কাঁথা থেকে বের করে খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তার হাত কনুইয়ের ওপরের অংশে ভেঙে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে আবার ডেলটা হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে পরিবারকে জানানো হয়, তারা শিশুটিকে পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেই ডিসচার্জ করেছিল। বাসায় নেওয়ার পথে বা পরে টানাটানির কারণে শিশুটির হাত ভেঙে যেতে পারে। সেখানে এর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে) নিয়ে যেতে বলা হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, বাচ্চার চিকিৎসা জরুরি বিধায় আমরা সেখান থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে আসি। পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চা ঘুমাচ্ছিল এবং তাকে কোনোভাবেই খাওয়ানো যায়নি। সন্ধ্যার পর তার ঘুম ভাঙে।
নূরের সাফাহর অভিযোগ, আগের রাতে বা ভোরের কোনো এক সময়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শিশুটির হাত ভেঙেছে এবং এ বিষয়টি গোপন করার জন্য তাকে কোনো ধরনের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল।
ডেলটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির হাত ভাঙা বা চিকিৎসায় যেকোনো ধরনের অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, শিশুটির চিকিৎসার সঙ্গে হাত ভাঙার কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ডেলটা হাসপাতালে এক নবজাতকের হাত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগে শিশুটির পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ ঘটনা তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় নবজাতকটির চিকিৎসায় অবহেলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই নবজাতকের বাবা মো. নূরের সাফাহর করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১০ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও সৈয়দ জাহেদ মনসুরের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
নূরের সাফাহর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান, আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. শফিকুল ইসলাম (সোহেল)। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও তানিম খান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন মো. হানিফসহ অন্যরা।
শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ দিন বয়সী ওই নবজাতক জন্ডিসে আক্রান্ত হলে তাকে চিকিৎসার জন্য গত ৩ এপ্রিল ডেলটা হাসপাতালে ডা. এ কে খাইরুল আনাম চৌধুরীর অধীনে ভর্তি করা হয়। শিশুটির বাবা মো. নূরের সাফাহর অভিযোগ, চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে দেখতে পান, তার একটি হাত ভেঙে গেছে।
রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করা আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম (সোহেল) রাজনীতি ডটকমকে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা রিট করেছিলেন। হাইকোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার গুরুতর অভিযোগ আমলে নিয়ে শিশুটির পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন।

ডেলটা হাসপাতাল থেকে দেওয়া শিশুটির ছাড়পত্র। ছবি: সংগৃহীত
রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের নিষ্ক্রিয়তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। হাইকোর্ট রুলে এ বিষয়েও জবাব জানতে চেয়েছেন বলে জানা ব্যারিস্টার শফিকুল ইসলাম।
শিশুর বাবা নূরের সাফাহ জানান, বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানানো হয়, তাকে দীর্ঘ সময় ধরে টানা ফটোথেরাপি দিতে হবে। এ সময় দুই থেকে তিনবার মা গিয়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবে। বাকি সময়ের জন্য ব্রেস্ট পাম্প করে করে দিলে তারা বাচ্চাকে খাওয়াবে। রাত ১২টার পর বাচ্চার কাছে কেউ থাকতে পারবে না।
নূরের সাফাহ বলেন, তাদের কথামতো আমার স্ত্রী বাচ্চাকে রাত ১২টায় খাইয়ে দিয়ে আসে। সকাল ৭টায় আবার বাচ্চাকে খাওয়াতে গেলে দেখে সে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন এবং কোনোভাবেই তাকে ঘুম থেকে ওঠানো যায়নি। ওই সময় নার্স জানায়, বাচ্চা ঘুম থেকে উঠলে তারা ডাকবে।
সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসায় শিশুটিকে রিলিজ দেওয়া হবে। নূরের সাফাহ বলেন, রিলিজের সময় বাচ্চাকে দিয়ে আমাদের জানায়, বাচ্চার ডান হাতে ক্যানোলা পরানোর কারণে ব্যথা থাকতে পারে। ওই হাত যেন কম নাড়ানো হয়। বাচ্চা তখনো ঘুমাচ্ছিল এবং তার পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল।
বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর ওই নবজাতককে কাঁথা থেকে বের করে খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তার হাত কনুইয়ের ওপরের অংশে ভেঙে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে আবার ডেলটা হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে পরিবারকে জানানো হয়, তারা শিশুটিকে পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেই ডিসচার্জ করেছিল। বাসায় নেওয়ার পথে বা পরে টানাটানির কারণে শিশুটির হাত ভেঙে যেতে পারে। সেখানে এর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই জানিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে (জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে) নিয়ে যেতে বলা হয়।
শিশুটির বাবা বলেন, বাচ্চার চিকিৎসা জরুরি বিধায় আমরা সেখান থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে আসি। পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চা ঘুমাচ্ছিল এবং তাকে কোনোভাবেই খাওয়ানো যায়নি। সন্ধ্যার পর তার ঘুম ভাঙে।
নূরের সাফাহর অভিযোগ, আগের রাতে বা ভোরের কোনো এক সময়ে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শিশুটির হাত ভেঙেছে এবং এ বিষয়টি গোপন করার জন্য তাকে কোনো ধরনের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল।
ডেলটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটির হাত ভাঙা বা চিকিৎসায় যেকোনো ধরনের অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, শিশুটির চিকিৎসার সঙ্গে হাত ভাঙার কোনো সম্পর্ক নেই। তারপরও লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৮ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩০ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে), ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৮৬ জন, ময়মনসিহং বিভাগে ৫৪ জন, খুলনা বিভাগে ৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৩ জন রোগী রয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে
দেবপ্রিয় বলেন, বর্তমানে দেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চলমান সময়ে দেশবাসী সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ নির্বাচন চায়। নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে শঙ্কা আছে। সেই শঙ্কা দূর করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে
মঙ্গলবার গভীর রাতে মিরপুর-১ এলাকার বাসা থেকে পিয়াসকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় তার মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয় বলে জানান স্ত্রী সুমাইয়া চৌধুরী।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার ভাই ইউসিবি ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং রনির স্ত্রী মেঘনা ব্যাংক পিএলসি’র সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী’র নামে থাকা মেঘনা ব্যাংকের প্রায় সাড়ে চার কোটি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছে সিআইডি। অনুসন্ধানে অবৈধ অর্থ দিয়ে এসব শেয়ার ক্র
১৪ ঘণ্টা আগে