ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
জন্মের পর যে ছেলেকে মা-বাবা ত্যাজ্য করেছিলেন, তাঁরা যদি জানতেন সেই ছেলেই একদিন বদলে বিশ্বকে; আজকের পৃথিবী যে প্রযুক্তি শাসন করবে, তাঁদের সেই ফেলে দেওয়া পূত্রই সেই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রক হবেন, তাহলে সেদিন সদ্য ভূমিষ্ট ছোট্ট শিশুকে ফেলে আসতেন বাবা-মা? প্রযুক্তি জগৎকে আমূলে বদলে দেওয়া, স্টিভ জবসকে বজন্মের পর পরেই বাবা-মা পরিত্যাগ করেছিলেন। কেন, আজ জানব সেই ইতিহাস।
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫। জোয়ান শেবলে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। না আর দশটা ধনী আমেরিকন মেয়ের মতো বড় কোনো হাসপাতালে নয়। ছেলের জন্ম হল এক দাতব্যালয়ের ডাক্তারের ঘরে।
অথচ শেবলের বাবা মস্ত ধনী মানুষ। শিশুর যে জন্মদাতা, সেই আবুল ফাত্তাহ জান্দালিব সিরিয়ার মস্ত এক তেল কোম্পানির মালিকের ছেলে। তারপরও তাঁদের পূত্রের জন্ম এভাবে অবৈধ সন্তানের মতো হলো কেন?
সত্যি বলতে কি, সেই সন্তান ছিল সমাজের চোখে অবৈধ! জান্দালিব আর জোয়ানার যে বিয়েই হয়নি!
আমাদের উপমহাদেশে এ ছেলের জন্ম হলে, হয়তো এর আশ্রয় হতো ডাস্টবিন কিংবা সুয়ারেজ লাইনের ড্রেনে। ভাগ্যিস আমেরিকা, নইলে সেই ছেলে বড় হয়ে গোটা বিশ্বের প্রযুক্তির ইতিহাস বদলে দিত কীভাবে?
স্টিভ জবসের জন্মটাই ছিল যেন আজন্ম পাপ।
তাঁর বাবা-মায়ের ভালোবাসা মেনে নিতে পারেননি তাঁর ডাকসাইটে ব্যবসায়ী নানা। বাপের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও জান্দালিবের সাথে সিরিয়ায় চলে গিয়েছিলেন জোয়ানা। সেখানে ছিলেন দুমাস। সেখানেও তাঁরা বিয়ে করেননি! কিন্তু প্রকৃতির নিয়মগুলো মেনে উদ্দাম ভালোবাসাটা চলছিল ঠিকই।
আর তারই ফল জোয়ানার গর্ভধারণ।
জান্দালিব চেয়েছিলেন অ্যাবার্শন করাতে। কিন্তু জোয়ানা তাতে রাজি হননি। চলে গিয়েছিলেন সানফ্রান্সিকোর এক ডাক্তারের কাছে। এই ডাক্তার অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের একটা হিল্লে করেন।
তাঁর কাছে বড়লোকেরা, নিঃন্তানেরা ছুটে আসেন ছেলে কিংবা মেয়ে দত্তক নিতে। কিছুদিন আগে পল জবস নামে এক সাবেক সৈনিক আর মোটর মেকানিক কথা বলে গেছেন সেই ডাক্তারের সঙ্গে। এবার কোনো ছেলে-মেয়ে হাতে এলেই যেন তাঁকে খবর দেন। নিঃসন্তান জবস দম্পতি তাকে দত্তক নিতে চায়।
জোয়না যখন সন্তান জন্ম দিতে যান, তখন সেই ডাক্তার খবর দেন পল জবসকে। জানান একটা সন্তানের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি সেটাকে দত্তক নেবেন কিনা? এক কথায় রাজি পল জবস। ডাক্তারকে বলেন কাগজ-পত্র প্রস্তুত করে আইনগত ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জোয়ানা গড়িমিসি করেন। তাঁর বাবা মৃত্যুশয্যায়। যেকোনো সময় পরপারের ডাক আসতে পারে। তাই আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে চান। বাবা মারা গেলে জোয়ানা বিয়ে করবেন জান্দালিবকে। তখন আর সদ্যজাত সন্তানকে দত্তক দেওয়ার দরকার হবে না। কিন্তু ততোদিনে যে আইনত পল জবস ছেলের দাবীদার হয়ে গেছেন। তাই মন না চাইলেও ছেলেকে ছেড়ে দিতে হলো জোয়ানার।
পল সেই ছেলেকে ঘরে নিয়ে গেলেন। নাম রাখলেন স্টিভ জবস! স্টিভ জবস! একটা ইতিহাসের নাম, কালের নায়ক, যিঁনি বদলে দিয়েছেন পৃথিবীর ইতিহাস। যেমন করে একটা যুদ্ধ বদলে দেয় মহাকালের ইতিহাস, ইতিবাচক অর্থেই তেমনি করে পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন স্টিভ জবস নামের কালের মহানায়ক। যিঁনি কম্পিউটারকে, কম্পিউটার প্রযুক্তিকে মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানি আর গবেষণারের কবল থেকে বের করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। আর নিজে শূন্য থেকে বনে গিয়েছিলেন বিলিয়নিয়ারে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত অ্যাপল জগৎসরা কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম। তাঁর মাথা থেকেই বেরোনো আইফোন এখন বিশ্বব্যাপী মানুষের আভিজাত্যের প্রতীক।
জন্মের পর যে ছেলেকে মা-বাবা ত্যাজ্য করেছিলেন, তাঁরা যদি জানতেন সেই ছেলেই একদিন বদলে বিশ্বকে; আজকের পৃথিবী যে প্রযুক্তি শাসন করবে, তাঁদের সেই ফেলে দেওয়া পূত্রই সেই প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রক হবেন, তাহলে সেদিন সদ্য ভূমিষ্ট ছোট্ট শিশুকে ফেলে আসতেন বাবা-মা? প্রযুক্তি জগৎকে আমূলে বদলে দেওয়া, স্টিভ জবসকে বজন্মের পর পরেই বাবা-মা পরিত্যাগ করেছিলেন। কেন, আজ জানব সেই ইতিহাস।
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫। জোয়ান শেবলে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন। না আর দশটা ধনী আমেরিকন মেয়ের মতো বড় কোনো হাসপাতালে নয়। ছেলের জন্ম হল এক দাতব্যালয়ের ডাক্তারের ঘরে।
অথচ শেবলের বাবা মস্ত ধনী মানুষ। শিশুর যে জন্মদাতা, সেই আবুল ফাত্তাহ জান্দালিব সিরিয়ার মস্ত এক তেল কোম্পানির মালিকের ছেলে। তারপরও তাঁদের পূত্রের জন্ম এভাবে অবৈধ সন্তানের মতো হলো কেন?
সত্যি বলতে কি, সেই সন্তান ছিল সমাজের চোখে অবৈধ! জান্দালিব আর জোয়ানার যে বিয়েই হয়নি!
আমাদের উপমহাদেশে এ ছেলের জন্ম হলে, হয়তো এর আশ্রয় হতো ডাস্টবিন কিংবা সুয়ারেজ লাইনের ড্রেনে। ভাগ্যিস আমেরিকা, নইলে সেই ছেলে বড় হয়ে গোটা বিশ্বের প্রযুক্তির ইতিহাস বদলে দিত কীভাবে?
স্টিভ জবসের জন্মটাই ছিল যেন আজন্ম পাপ।
তাঁর বাবা-মায়ের ভালোবাসা মেনে নিতে পারেননি তাঁর ডাকসাইটে ব্যবসায়ী নানা। বাপের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেও জান্দালিবের সাথে সিরিয়ায় চলে গিয়েছিলেন জোয়ানা। সেখানে ছিলেন দুমাস। সেখানেও তাঁরা বিয়ে করেননি! কিন্তু প্রকৃতির নিয়মগুলো মেনে উদ্দাম ভালোবাসাটা চলছিল ঠিকই।
আর তারই ফল জোয়ানার গর্ভধারণ।
জান্দালিব চেয়েছিলেন অ্যাবার্শন করাতে। কিন্তু জোয়ানা তাতে রাজি হননি। চলে গিয়েছিলেন সানফ্রান্সিকোর এক ডাক্তারের কাছে। এই ডাক্তার অবিবাহিত বাবা-মায়ের সন্তানের একটা হিল্লে করেন।
তাঁর কাছে বড়লোকেরা, নিঃন্তানেরা ছুটে আসেন ছেলে কিংবা মেয়ে দত্তক নিতে। কিছুদিন আগে পল জবস নামে এক সাবেক সৈনিক আর মোটর মেকানিক কথা বলে গেছেন সেই ডাক্তারের সঙ্গে। এবার কোনো ছেলে-মেয়ে হাতে এলেই যেন তাঁকে খবর দেন। নিঃসন্তান জবস দম্পতি তাকে দত্তক নিতে চায়।
জোয়না যখন সন্তান জন্ম দিতে যান, তখন সেই ডাক্তার খবর দেন পল জবসকে। জানান একটা সন্তানের সন্ধান পাওয়া গেছে। তিনি সেটাকে দত্তক নেবেন কিনা? এক কথায় রাজি পল জবস। ডাক্তারকে বলেন কাগজ-পত্র প্রস্তুত করে আইনগত ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে। কিন্তু সন্তান জন্ম দেওয়ার পর জোয়ানা গড়িমিসি করেন। তাঁর বাবা মৃত্যুশয্যায়। যেকোনো সময় পরপারের ডাক আসতে পারে। তাই আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে চান। বাবা মারা গেলে জোয়ানা বিয়ে করবেন জান্দালিবকে। তখন আর সদ্যজাত সন্তানকে দত্তক দেওয়ার দরকার হবে না। কিন্তু ততোদিনে যে আইনত পল জবস ছেলের দাবীদার হয়ে গেছেন। তাই মন না চাইলেও ছেলেকে ছেড়ে দিতে হলো জোয়ানার।
পল সেই ছেলেকে ঘরে নিয়ে গেলেন। নাম রাখলেন স্টিভ জবস! স্টিভ জবস! একটা ইতিহাসের নাম, কালের নায়ক, যিঁনি বদলে দিয়েছেন পৃথিবীর ইতিহাস। যেমন করে একটা যুদ্ধ বদলে দেয় মহাকালের ইতিহাস, ইতিবাচক অর্থেই তেমনি করে পৃথিবীকে বদলে দিয়েছেন স্টিভ জবস নামের কালের মহানায়ক। যিঁনি কম্পিউটারকে, কম্পিউটার প্রযুক্তিকে মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানি আর গবেষণারের কবল থেকে বের করে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। আর নিজে শূন্য থেকে বনে গিয়েছিলেন বিলিয়নিয়ারে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত অ্যাপল জগৎসরা কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম। তাঁর মাথা থেকেই বেরোনো আইফোন এখন বিশ্বব্যাপী মানুষের আভিজাত্যের প্রতীক।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের (প্রশাসন) অফিস থেকে ইতোমধ্যে সব অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, হল ও হোস্টেলের প্রাধ্যক্ষ ও ওয়ার্ডেন এবং প্রক্টর বরাবর একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতিটি অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও হোস্টেলে অভিযোগ বাক্স স্থাপন করে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে
১৭ ঘণ্টা আগে"দেরিতে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে উপস্থিত হওয়ায় জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া দুরূহ হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায সব জ্বরের রোগীকে জ্বর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর অনুরোধ করা হচ্ছে," স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসারজিস আলম বলেন, ‘যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ। এই জায়গাটা তাদের ঠিক করা উচিত। আমাদের কেন বলে দিতে হবে। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না। দেশে কি মার্কার অভাব পড়েছে
১৮ ঘণ্টা আগে