প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে খুলনার কয়রার নিকট অবস্থান করছে। উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ হয়েছে। প্রাণহানিও হয়েছে। মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে রেমাল।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে রাতভর বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। জেলার অন্য এলাকাতেও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।
রেমালের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেঁতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আশঙ্কার তুলনায় আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। বাতাসের তোড়ে এসব এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে ফুফু ও বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফ (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনায় তলিয়ে গেছে ২৭ গ্রাম, ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস। বলেশ্বর নদীর পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে। এতে শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। করমজলসহ বনের উঁচু এলাকাগুলোও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর হাসপাতালের কোন একসাইড ভেঙে ভিতরে পানি ঢুকেছে। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
মোংলার শ্যালা নদী ও পশুর নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপরে। রাস্তা ভেদ করে জয়মুনি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। রাজধানীতে রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
চট্টগ্রামেও রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম। নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে। সকাল নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে যাবে । রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার পর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. মল্লিক বলেন, রেমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ও মঙ্গলবারও (২৮ মে) সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে খুলনার কয়রার নিকট অবস্থান করছে। উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট তছনছ হয়েছে। প্রাণহানিও হয়েছে। মোংলা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও খেপুপাড়ায় তাণ্ডব চালিয়েছে রেমাল।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে রাতভর বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় ভেঙে গেছে ঘর-বাড়ি, গাছ-পালা। জেলার অন্য এলাকাতেও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে।
রেমালের তাণ্ডবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কলাপাড়া, খেপুপাড়া ও কুয়াকাটায়। এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিষখালি-সন্ধ্যা, পায়রা, আন্ধারমানিক, গলাচিপা ও তেঁতুলিয়া নদীর উপচে পড়া পানিতে বরগুনা ও পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আশঙ্কার তুলনায় আগেভাগেই ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগের প্রভাবে পটুয়াখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করে। বাতাসের তোড়ে এসব এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে ফুফু ও বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে মো. শরীফ (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বরগুনায় তলিয়ে গেছে ২৭ গ্রাম, ভেঙে গেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। আমতলী ও তালতলী উপজেলার ২৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে উপজেলা নির্বাহী অফিস। বলেশ্বর নদীর পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাটের বলেশ্বর,পানগুছি-খাসিয়াখালি এবং দড়াটানা নদীর পানি বিপদ সীমার উপরে। এতে শরণখোলা ও মোড়লগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত। রেমালের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গোটা সুন্দরবন। করমজলসহ বনের উঁচু এলাকাগুলোও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। সদর হাসপাতালের কোন একসাইড ভেঙে ভিতরে পানি ঢুকেছে। বাগেরহাটে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
মোংলার শ্যালা নদী ও পশুর নদীর পানি বিপদসীমার অনেক উপরে। রাস্তা ভেদ করে জয়মুনি এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। রাজধানীতে রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইছে।
চট্টগ্রামেও রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ২১ টি গ্রাম। নোয়াখালীর হাতিয়ার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ। খুলনার দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের অনেক জেলায় গুঁড়িগুঁড়ি থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরপর দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠবে। সকাল নাগাদ এটি দুর্বল হয়ে যাবে । রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত ২টার পর ঘূর্ণিঝড় রেমালের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ড. মল্লিক বলেন, রেমালের প্রভাবে সোমবার (২৭ মে) ও মঙ্গলবারও (২৮ মে) সারাদেশেই থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
যেসব এলাকাকে সভা-সমাবেশ, মিছিল-শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য নিষিদ্ধের আওতায় রাখা হয়েছে সেগুলো হলো কচুক্ষেত সড়ক, বিজয় সরণি থেকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ জাহাঙ্গীর গেটসংলগ্ন এলাকা, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে মহাখালী উড়ালসড়কসংলগ্ন এলাকা, সৈনিক ক্লাব মোড়, ভাষানটেক, মাটিকাটা, ইসিব
১৫ ঘণ্টা আগেজেবুন্নেছা আফরোজ বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণের স্ত্রী। ২০১৪ সালে এপ্রিলে সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় হিরণ মৃত্যুবরণ করলে জেবুন্নেছা উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর বরিশালে দায়ের হওয়া একাধিক মামলার তাকে আসামি করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅবৈধ ভারতীয়দের প্রোপার ওয়েতে পাঠানো হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে যেসব ভারতীয় বাংলাদেশে আছেন তাদের ভারতের মতো পুশব্যাক করা হবে না।
২১ ঘণ্টা আগে