সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ‘আটকা’, ভোটের পর সরে দাঁড়াতে চান রাষ্ট্রপতি

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২: ৩৬
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: পিআইডি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দেড় বছর মেয়াদে নানা ঘটনায় ‘অপমানিত’ বোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বলেছেন, চাইলেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের বাস্তবতায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে পারেননি। এখন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলে তখন হয়তো তিনি রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়বেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বিদায় নিতে চাই। আমি এখান থেকে চলে যেতে চাই।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৪ এপ্রিল দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন তিনি। বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পাঁচ বছর মেয়াদে নির্বাচিত হন। সে হিসাবে ২০২৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে সাহাবুদ্দিনের। তবে যে আওয়ামী লীগ সরকারের মনোনয়নে তিনি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, সেই সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে গত বছরের ৫ আগস্ট। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন ভারতে। সংসদ ভেঙে গেছে। দেশের সাংবিধানিক অভিভাবকদের মধ্যে তিনিই ছিলেন স্বপদে।

সাংবিধানিক এই দায়িত্বের কারণেই নির্বাচনের আগে পদ ছাড়তে পারছেন না জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে বলেই আমি এ পদে আছি।’

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে ওই সময় তার মেয়াদ আরও দুই বছরের বেশি বাকি থাকবে। তবে মেয়াদ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না রাষ্ট্রপতি। কারণ প্রায় সাত মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ না হওয়া, তার প্রেস বিভাগ সরিয়ে নেওয়া ও গত সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে তার ছবি সরিয়ে ফেলার ঘটনাগুলোকে চূড়ান্ত অপমানজনক বলে মনে করছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রতিটি কনস্যুলেট, দূতাবাস ও হাইকমিশনে রাষ্ট্রপতির ছবি ছিল। হঠাৎ এক রাতের মধ্যে সব সরিয়ে ফেলা হলো। এতে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। মানুষজন ভাবতে পারে, রাষ্ট্রপতিকে হয়তো সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি।’

ছবি সরিয়ে ফেলা ইস্যুতে চিঠি দিলেও মুহাম্মদ ইউনূস বা অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ না হলেও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে সাহাবুদ্দিনের। তবে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। বলেন, রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকেই তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ, সর্বোত্তম চিকিৎসার আশ্বাস

ওসমান হাদির সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারাদেশ তার জন্য দোয়া করছে। তার সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিতে সবাই চেষ্টা করছে। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় যদি দেশের বাইরে পাঠাতে হয়, যেখানে পাঠানোর প্রয়োজন হবে সরকার সেখানেই তার চিকিৎস

৪ ঘণ্টা আগে

ওসমান হাদিকে গুলি: সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করল ডিএমপি

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেছে।

৪ ঘণ্টা আগে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

৬ ঘণ্টা আগে

‘শংকামুক্ত নন ওসমান হাদি, তবে অবস্থার কিছুটা উন্নতি’

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অপরাধীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায় নি।

৬ ঘণ্টা আগে