প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন পাবনা-১ আসনের কয়েকশ বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজনের হাতে ছিল— “ইসির অবৈধ গেজেট মানি না, মানব না”, “পাবনার সাঁথিয়া-বেড়া ভাই ভাই, বিভক্তি মানি না”— এসব স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদ্দুজ্জামান নয়ন বলেন, “আমরা বেড়া উপজেলার জনগণের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। ভৌগলিক ও সামাজিক বাস্তবতায় সাঁথিয়ার সঙ্গে বেড়ার সংযোগ সবচেয়ে যৌক্তিক। তাই আমরা আগের সীমানা পুনর্বহাল চাই।”
ইসির গেজেট অনুযায়ী, এবার পাবনা-১ আসনে থাকছে সাঁথিয়া উপজেলা ও বেড়া উপজেলার— বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া, নতুন ভারেংগা, চাকলা ও কৈটোলা ইউনিয়ন। অপরদিকে সুজানগর উপজেলা এবং বেড়ার অবশিষ্ট অংশ যুক্ত হয়েছে পাবনা-২ আসনে।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা ৭টি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেন—
১. ভৌগলিক নিকটবর্তীতা: বেড়া উপজেলা পরিষদ থেকে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের দূরত্ব ৮ কিলোমিটারেরও কম, যেখানে সুজানগরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
২. ভোটার ভারসাম্য: সাঁথিয়া ও আংশিক বেড়া মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার, যা ইসির নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু বেড়া-সুজানগর একত্র করলে ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার, যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. নীতিমালা লঙ্ঘন: ইসির নিয়ম অনুযায়ী আসনভিত্তিক ভোটার পার্থক্য সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে। বেড়া-সুজানগর মিলিয়ে এ হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
৪. শিক্ষা ও সংস্কৃতি: সাঁথিয়া-বেড়া ও সুজানগরের মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা অভিন্ন।
৫. নদী বন্দর ও যোগাযোগ: বেড়ায় ৩টি নদী বন্দর রয়েছে। নতুন সীমানায় এগুলো সব চলে যাচ্ছে পাবনা-২ আসনে, অথচ সাঁথিয়ায় কোনো নদী বন্দর থাকছে না। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬. প্রশাসনিক ভারসাম্য: বেড়ার অংশ সুজানগরের সঙ্গে যুক্ত হলে ওই আসনে পৌরসভা ও ইউনিয়নের সংখ্যা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, যা প্রশাসনিক ভারসাম্য নষ্ট করবে।
৭. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: গত চার দশক ধরে ভৌগলিক বাস্তবতা বিবেচনায় পাবনা-১ এ ছিল সাঁথিয়া ও আংশিক বেড়া, আর পাবনা-২ এ সুজানগর ও আংশিক বেড়া।
বেড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সীমানা পুনঃনির্ধারণে ইসি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ নিয়ে আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।”
সারাদেশের বিভিন্ন আসনের মতো পাবনা-১ আসন নিয়েও এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি, ভৌগলিক অবস্থান, ভোটার ভারসাম্য, নীতিমালা, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও যোগাযোগব্যবস্থার দিক বিবেচনা করলে সাঁথিয়া-বেড়া পুনর্বহালই একমাত্র যৌক্তিক সমাধান।
সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন পাবনা-১ আসনের কয়েকশ বাসিন্দা। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লোকজনের হাতে ছিল— “ইসির অবৈধ গেজেট মানি না, মানব না”, “পাবনার সাঁথিয়া-বেড়া ভাই ভাই, বিভক্তি মানি না”— এসব স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড।
বেড়া পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদ্দুজ্জামান নয়ন বলেন, “আমরা বেড়া উপজেলার জনগণের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। ভৌগলিক ও সামাজিক বাস্তবতায় সাঁথিয়ার সঙ্গে বেড়ার সংযোগ সবচেয়ে যৌক্তিক। তাই আমরা আগের সীমানা পুনর্বহাল চাই।”
ইসির গেজেট অনুযায়ী, এবার পাবনা-১ আসনে থাকছে সাঁথিয়া উপজেলা ও বেড়া উপজেলার— বেড়া পৌরসভা, হাটুরিয়া নাকালিয়া, নতুন ভারেংগা, চাকলা ও কৈটোলা ইউনিয়ন। অপরদিকে সুজানগর উপজেলা এবং বেড়ার অবশিষ্ট অংশ যুক্ত হয়েছে পাবনা-২ আসনে।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা ৭টি যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেন—
১. ভৌগলিক নিকটবর্তীতা: বেড়া উপজেলা পরিষদ থেকে সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের দূরত্ব ৮ কিলোমিটারেরও কম, যেখানে সুজানগরের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
২. ভোটার ভারসাম্য: সাঁথিয়া ও আংশিক বেড়া মিলিয়ে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ১৭ হাজার, যা ইসির নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু বেড়া-সুজানগর একত্র করলে ভোটার সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৪ লাখ ৬২ হাজার, যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. নীতিমালা লঙ্ঘন: ইসির নিয়ম অনুযায়ী আসনভিত্তিক ভোটার পার্থক্য সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশের মধ্যে থাকতে হবে। বেড়া-সুজানগর মিলিয়ে এ হার ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
৪. শিক্ষা ও সংস্কৃতি: সাঁথিয়া-বেড়া ও সুজানগরের মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা অভিন্ন।
৫. নদী বন্দর ও যোগাযোগ: বেড়ায় ৩টি নদী বন্দর রয়েছে। নতুন সীমানায় এগুলো সব চলে যাচ্ছে পাবনা-২ আসনে, অথচ সাঁথিয়ায় কোনো নদী বন্দর থাকছে না। এতে উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬. প্রশাসনিক ভারসাম্য: বেড়ার অংশ সুজানগরের সঙ্গে যুক্ত হলে ওই আসনে পৌরসভা ও ইউনিয়নের সংখ্যা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, যা প্রশাসনিক ভারসাম্য নষ্ট করবে।
৭. ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: গত চার দশক ধরে ভৌগলিক বাস্তবতা বিবেচনায় পাবনা-১ এ ছিল সাঁথিয়া ও আংশিক বেড়া, আর পাবনা-২ এ সুজানগর ও আংশিক বেড়া।
বেড়া কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সালমান হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “সীমানা পুনঃনির্ধারণে ইসি সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। এ নিয়ে আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।”
সারাদেশের বিভিন্ন আসনের মতো পাবনা-১ আসন নিয়েও এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি, ভৌগলিক অবস্থান, ভোটার ভারসাম্য, নীতিমালা, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও যোগাযোগব্যবস্থার দিক বিবেচনা করলে সাঁথিয়া-বেড়া পুনর্বহালই একমাত্র যৌক্তিক সমাধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। এর কিছুক্ষণ পর থেকে ভোটগণনা শুরু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেশিবিরকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আখ্যা দিয়ে ইফাত আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আর স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি কখনো এক হতে পারে না।’
৩ ঘণ্টা আগে