বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাপার উদ্বেগ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ফাইল ছবি

সম্প্রতি বায়ুদূষণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাপা সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যৌথভাবে নিন্মোক্ত বিবৃতি প্রদান করছেন:

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বায়ুদূষণের দেশ হিসেবে শীর্ষে বাংলাদেশ, নগর হিসেবে দ্বিতীয় ঢাকা এই শিরোনামে প্রতিবেদন গত দেশের বিভিন্ন দৈনিক ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদন ২০২৩’–এ এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার নজরদারি স্টেশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইকিউএয়ার প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার (পিএম ২.৫) উপস্থিতি ছিল ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডের চেয়ে অন্তত ১৬ গুণ বেশি।

বাপা মনে করে, বিশ্বের দরবারে বাংঙ্গালী জাতির জন্য এটি অত্যন্ত অপমান ও লজ্জাজনক ঘটনা। সরকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মাত্রারিক্ত বায়ুদূষণের কারণে দেশে স্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা ও এ রোগে মৃত্যু ভয়াবহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বায়ু দূষণের কারণগুলোর মধ্যে প্রাকৃতিক ও আবহাওয়া জনিত কারণ, নগর পরিকল্পনায় ঘাটতি, আইনের দুর্বলতা, আইন প্রয়োগের সীমাবদ্ধতা, ভৌগোলিক কারণ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব অন্যতম। রাস্তা খোঁড়াখুড়ি ও নির্মাণ কাজ থেকে ৩০ শতাংশ, ইটভাটা ও শিল্প কারখানা থেকে ২৯ শতাংশ, যানবাহন থেকে ১৫ শতাংশ আন্তঃদেশীয় বায়ু দূষণ থেকে ৯.৫%, গৃহস্থালী ও বা রান্নার চুলার কাজের থেকে ৮.৫% এবং বর্জ্য পোড়ানো থেকে ৮% বায়ু দূষণ ঘটে। বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন একটি অন্যটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। জীবাশ্ম জ্বালানির দহন ও শিল্পকারখানায় নির্গত ধোঁয়া প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ও ওজন নির্গত করে, যা গ্রিনহাউস গ্যাস নামেও পরিচিত। এসব দূষকের মধ্যে ব্ল্যাক কার্বন, কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনকে শর্ট লাইভ ক্লাইমেট পল্যুশন (SLCPs) বা স্বল্প আয়ুর জলবায়ু দূষক বলা হয়। এই গ্যাস এবং দূষক গুলো একদিকে যেমন বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।

পর পর গত কয়েক বছর ধরে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আমরা তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

বায়ু দূষণ রোধে বাপা’র সুপারিশ ও দাবিসমূহ :

১. নির্মল বায়ু আইন-২০১৯ দ্রুত প্রনয়ন করতে হবে।

২. নির্মাণ কাজের সময় নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখতে হবে ও নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে নিতে হবে।

৩. শুষ্ক মৌসুমে সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এর সমন্বয়ে দূষিত শহর গুলোতে প্রতি দিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. অবৈধ ইটভাটা গুলো বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়াতে হবে।

৫. ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ফিটনেস বিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

৬. পরিবেশ ক্যাডার সার্ভিস এবং পরিবেশ আদালত চালু ও কার্যকর করতে হবে।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

ঘরে বসেই মেট্রোরেলের এমআরটি পাস রিচার্জ

রিচার্জের পর টাকা না ব্যবহৃত থাকলে তা তিন মাস পর্যন্ত বৈধ থাকবে। যদি যাত্রী স্পর্শ না করেন, তাহলে ১০% সার্ভিস চার্জ কেটে রিচার্জ করা টাকা ফেরত নেওয়া যাবে।

৩ ঘণ্টা আগে

‘নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে তরুণদের প্রতিরোধ গড়তে হবে’

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে যে বয়সের ছেলে-মেয়েদের দেখেছিলাম, ২৪ এর যুদ্ধে আবার সেই তরুণ ছেলে-মেয়েদেরকে রাস্তায় খুব কাছে থেকে তোমাদের পাশে থেকে দেখলাম।

৩ ঘণ্টা আগে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘিরে দেশে অস্থিরতা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর দেশে কোনো অস্থিরতা দেখা দিয়েছে কি না এবং আসন্ন বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘রায় হওয়ার পরে কোনো রকম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি। বিজয় দিবসেও কোনো অস্থিরতার শঙ্কা নেই।’

৪ ঘণ্টা আগে

সুষ্ঠু নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বড়: সিইসি

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেয়েও ভোটে বড় ভূমিকা রাজনৈতিক দলগুলোর। দলগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করলে নির্বাচন কমিশনকে বাড়তি চাপ নিতে হয় না।

৫ ঘণ্টা আগে